অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের পদত্যাগ পত্র গৃহীত হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গতকাল মঙ্গলবারই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের পদত্যাগ পত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন মো.

নাহিদ ইসলাম। তিনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর যমুনার সামনে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে কথা বলেন তিনি।

ব্রিফিংয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, আজ বেলা একটায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। বৈঠকে তিনি তাঁর একটি ব্যক্তিগত বিষয় আলোচনা করেছেন এবং আলোচনা সাপেক্ষে প্রধান উপদেষ্টার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। এ ছাড়া জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনসহ সরকারের যেসব কমিটিতে তিনি ছিলেন, সেসব কমিটি থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন।

আরও পড়ুননাহিদ ইসলাম যা লিখলেন তাঁর পদত্যাগপত্রে১৮ ঘণ্টা আগে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন হবে। এই দলের নেতৃত্ব দেবেন নাহিদ ইসলাম। সে কারণে তিনি উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করবেন বলে কয়েক দিন ধরেই আলোচনা চলছিল।

আগামী শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) নতুন এই রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে।

আরও পড়ুনপদত্যাগ করলেন নাহিদ ইসলাম ২০ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনগণ-অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংহত করতে রাজপথে আমার ভূমিকা বেশি হবে: নাহিদ ইসলাম১৯ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পদত য গপত র ন হ দ ইসল ম র পদত য গ উপদ ষ ট মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

নিরাপত্তা ও পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত হোক

এবার ঈদুল ফিতরের ৯ দিনের লম্বা ছুটি পড়েছে। ঈদের ছুটিতে মানুষ শহর ছেড়ে যান পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে আনন্দ উদ্‌যাপন করতে। এবার লম্বা ছুটি থাকায় অনেকে বেরিয়ে পড়বেন বেড়াতেও। বিগত লম্বা ছুটিগুলোর অভিজ্ঞতা এমনটিই বলে। ফলে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে বাড়তি ভিড় হবে বলে পর্যটন–সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়া দরকার।

দেশের ভ্রমণপ্রিয় মানুষের সবচেয়ে পছন্দের স্থান কক্সবাজার। হোটেল–মোটেলমালিকেরা জানাচ্ছেন, গত বছর ঈদুল ফিতরের টানা ছুটিতে ৯ লাখ ৭০ হাজার পর্যটক ভ্রমণ করেছিলেন কক্সবাজারে। এবারের ঈদের ছুটির দ্বিতীয় দিন থেকে হোটেল–মোটেলগুলো বুকিং হয়েছে। ঈদের ছুটি ৫ এপ্রিল পর্যন্ত হলেও ১২ এপ্রিল পর্যন্ত টানা কক্ষ বুকিং রয়েছে বেশির ভাগ হোটেলে। ইতিমধ্যে শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল, গেস্টহাউস, রিসোর্ট ও কটেজে ৫৫ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। অবশিষ্ট কক্ষগুলোও ৩১ মার্চের আগে বুকিং হয়ে যাবে।

পাঁচ শতাধিক হোটেলের দৈনিক ধারণক্ষমতা ১ লাখ ৮৭ হাজার। তবে এবারও গতবারের চেয়ে বেশি, অন্তত ১২ লাখ পর্যটক সমাগম হতে পারে বলে ধারণা করছেন হোটেল–মোটেলমালিকেরা। ফলে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি পর্যটকের চাপ তৈরি হওয়ায় থাকা–খাওয়ার চরম দুর্ভোগ হতে পারে। আর এমন পরিস্থিতি কক্সবাজারের ক্ষেত্রে নতুন নয়। শুধু কক্সবাজার নয়; পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে এবার পর্যটকের বিপুল চাপ দেখা দিতে পারে।

পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় বেশি হলে প্রতারণার ঘটনাও বেশি ঘটে। ফলে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি হোটেল–মোটেল, রেস্তোরাঁ এবং যানবাহনে যাতে অতিরিক্ত টাকা আদায় না করা হয়, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে প্রশাসনকে। আর অতিরিক্ত পর্যটকের চাপ এড়াতে প্রশাসনের পদক্ষেপও জরুরি। পর্যটনকেন্দ্রের ধারণক্ষমতা অতিক্রম করলে স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করতে পারে। অনেকে পরিস্থিতি না বুঝে পর্যটনকেন্দ্রে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন। এতে সময়, অর্থ ও আনন্দ—সবকিছুই মাটি হয়ে যায়। প্রশাসন থেকে সচেতনতার বার্তা পেলে ঘুরতে যাওয়ার আগে মানুষের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া সুবিধা হবে।

তা ছাড়া ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পর্যটকের কারণে পর্যটনকেন্দ্রের পরিবেশ, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ ব্যাপারেও প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে পদক্ষেপ নিতে হবে। সচেতন হতে হবে আমাদেরও। সবার ঈদের ছুটি উদ্‌যাপন ও ঘোরাঘুরি নিরাপদ হোক, সেটিই কাম্য।

সম্পর্কিত নিবন্ধ