জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস আগামী ১৩ মার্চ চার দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। বুধবার জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আগামী ১৩ থেকে ১৬ মার্চ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের আনুষ্ঠানিক বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ মহাসচিবের দপ্তর। জাতিসংঘ মহাসচিব এ সফরে আসছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা ও অগ্রাধিকার ইস্যুবিষয়ক বিশেষ দূত ড. খলিলুর রহমান গত ৭ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ড. ইউনূসের পাঠানো আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড ইউন স
এছাড়াও পড়ুন:
এপিলেপসি বা মৃগীরোগ কি ভালো হয়
খিঁচুনি হওয়া মানেই কিন্তু মৃগীরোগ নয়। কারণ, নানা কারণে খিঁচুনি হতে পারে, যেমন প্রচণ্ড জ্বর, রক্তে লবণের পরিমাণ কমে যাওয়া, মস্তিষ্কে প্রদাহ অথবা স্ট্রোক। কিন্তু তেমন কোনো অন্তর্নিহিত কারণ ছাড়া যদি বারবার খিঁচুনি হয়, তবে তাকে মৃগীরোগ বা এপিলেপসি বলে।
আমাদের সমাজে মৃগীরোগীরা বেশ অবহেলিত। অনেকের ধারণা, মৃগীরোগীরা অভিশপ্ত; এ রোগ কখনো ভালো হয় না। এখনো গ্রামগঞ্জে এটিকে ভূত বা জিনে ধরা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যদিও ৯০ শতাংশ মৃগীরোগী ওষুধ সেবনে ভালো থাকেন এবং ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগী দুই থেকে পাঁচ বছর ওষুধ খেয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যান।
কেন হয়মৃগীরোগের বেশির ভাগ কারণ বংশগত বা জেনেটিক।
জন্মের সময় শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত পাওয়া।
মস্তিষ্কে প্রদাহ বা এনকেফালাইটিস।
মস্তিষ্কের টিউমার।
স্ট্রোক।
মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর।
লক্ষণমৃগীরোগের প্রধান লক্ষণ হলো খিঁচুনি। অনেক সময় এর সঙ্গে মেধা বা বুদ্ধি কমে যাওয়া ও আচরণগত সমস্যাও থাকতে পারে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষামস্তিষ্কের এমআরআই এ রোগের কারণ নির্ণয়ে সহায়তা করে। ইলেকট্রোএঙ্কেফালোগ্রাম (ইইজি) পরীক্ষা মৃগীরোগের কারণ, ধরন ও চিকিৎসাপদ্ধতি সম্পর্কে ভালো ধারণা দেবে।
আরও পড়ুনঅতিরিক্ত চিন্তা করা কি কোনো রোগ২৫ জানুয়ারি ২০২৫চিকিৎসামৃগীরোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া হঠাৎ করে ওষুধ বন্ধ করা যাবে না। খিঁচুনি রোধে যেসব ওষুধ দেওয়া হয়, সেসবের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। সব সময় নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে।
কিছু ভুল তথ্যমৃগী একটি ছোঁয়াচে রোগ।
খিঁচুনি হলে মুখে জুতা শুকাতে হয়।
খিঁচুনি হলে মুখে চামচ দিতে হয় (মনে রাখবেন, এটি করলে রোগীর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেশি)।
মৃগীরোগীর কার্যক্ষমতা নেই, এরা লেখাপড়ায় ভালো করবে না।
মৃগীরোগীর সন্তান হয় না বা তারা সুস্থ সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম।
আরও পড়ুনমুখের অস্বস্তিকর রোগ মিউকোসিল কেন হয়, চিকিৎসা ও প্রতিকার কী২৯ জানুয়ারি ২০২৫