সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত জ্বালানি খাতের কোম্পানি ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন পিএলসি গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রেরণ করেছে।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, কোম্পানিটি সমাপ্ত হিসাববছরের নগদ লভ্যাংশ বিইএফটিএন সিস্টেমসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে।
এসকেএস
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
থানায় মামলা করতে না পেরে ফিরলেন ভুক্তভোগীরা
কুষ্টিয়ার খোকসায় মনিরুজ্জামান কাজল নামে উপজেলা বিএনপির সাবেক নেতার বিরুদ্ধে এক মুক্তিযোদ্ধার নির্মাণাধীন টিনের ঘর ভেঙে দেওয়ার পর অপর দুই নারীর মার্কেট ও বাড়ির দেয়াল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়ে থানায় গেলেও প্রতিপক্ষের হুমকিতে মামলা না করেই থানা থেকে ফিরে যান ভুক্তভোগীরা।
ঘটনা নিশ্চিত করে খোকসা থানার ওসি শেখ নাইমুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যরা মামলা করতে থানায় এসেছিলেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে মামলা না করেই ফিরে গেছেন।
মনিরুজ্জামান কাজল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও খোকসা উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আনিসুজ্জামান স্বপনের বড় ভাই।
জানা গেছে, কাজল একটি নতুন রাস্তা তৈরি ও অপর একটি রাস্তা প্রশস্ত করার কথা বলে রেলওয়ে থেকে স্ত্রীর নামে ইজারা নেওয়া রফিকুল আলম তালম নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার জমি দখল নেওয়ার চেষ্টা করে আসছিলেন। সোমবার সকালে কাজলের লোকজন প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে নির্মাণাধীন ঘর ভেঙে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার ইজারাকৃত ১০০ ফুট লম্বা জমি দখল করে নেয়। পরে কাজলের লোকজন দিলরুবা রহমান ও তাঁর বোন আঞ্জুদিলারা বেগম নামে দুই নারীর মার্কেটের বারান্দা ও একটি বসতবাড়ির দেয়াল ভেঙে দিয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, সোমবার সকাল থেকে কাজলের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন তরুণ ও যুবক খোকসা রেলস্টেশন এলাকায় তাণ্ডব শুরু করে। এ সময় তারা মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম তালম, মৃত সাইদুল ইসলামের স্ত্রী দিলরুবা রহমান ও তাঁর বোন আঞ্জুদিলারা বেগমের পরিবারকে ঘরবন্দি করে ফেলে। পরে থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলাকারীদের তাণ্ডব থামায়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম তালম জানান, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার পর তিনি ও তাঁর অন্য দুই প্রতিবেশী মামলা করতে থানায় গিয়েছিলেন। তারা ওসির সঙ্গে কথা বলে মামলার এজাহার লিখতে একটি কম্পিউটারের দোকানে যান। সেখানে হাজির হন বিএনপি নেতার সহযোগীরা। এক পর্যায়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে তাঁর এক আত্মীয় ও থানা বিএনপির সাবেক নেতারা দুই দিনের সময় নিয়েছেন।
অপর ভুক্তভোগী আঞ্জুদিলারা বেগমের ছেলে সাবেক বিজিবি সদস্য দেলোয়ার আজিজ দিলু বলেন, তিনি মামলা করতে থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি নেতারা দুই দিনের সময় নিয়েছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে মনিরুজ্জামান কাজলের ব্যক্তিগত নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হয়। তিনি কল রিসিভ করলেও কথা বলেনি। তাঁর ছোট ভাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আনিসুজ্জামানের বলেন, তিনি শুনেছেন এলাকার লোকজন রাস্তার জমি ক্লিয়ার করেছে। ওই মুক্তিযোদ্ধা গ্রাম থেকে উঠে আসা একটি রাস্তার মাথায় ঘর তুলে রাস্তা বন্ধ করেছিলেন। রাস্তাটির প্রয়োজনও ছিল। তাঁর ভাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত না।