আবারো ডিজিটাল স্পেসে নিজেদের দক্ষতা ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করল এশিয়াটিক মাইন্ডশেয়ার লিমিটেড। ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ডসের অষ্টম আসরে ১০টি পুরস্কারের (৩টি সিলভার ও ৭টি ব্রোঞ্জপদক) মাধ্যমে ডিজিটাল গল্পকথনে মাইন্ডশেয়ার পেয়েছে অনন্য স্বীকৃতি। মাইন্ডশেয়ার বাংলাদেশ তাদের গ্রাহকদের প্রতি কৃতজ্ঞ, যাদের আস্থা ও সহযোগিতাই এ সাফল্যের মূল চালিকা শক্তি।

ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ডস, যা বাংলাদেশের ডিজিটাল মার্কেটিং ও কমিউনিকেশনের সর্বোচ্চ স্বীকৃতির প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে ‘ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’-এর বিজয়ীদের সম্মাননা দিয়েছে।

গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায় এই পুরস্কার দেওয়া হয়, যা বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজিত ডিজিটাল সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠান হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়।

‘ডিজিটাল রেনেসাঁ: আগামীর ভোক্তাদের জন্য উদ্ভাবন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এ সম্মেলনে শীর্ষস্থানীয় মার্কেটিং বিশেষজ্ঞরা ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপের বিবর্তন ও ভবিষ্যতের ভোক্তা সম্পৃক্ততা নিয়ে আলোচনা করেন।

২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ড বাংলাদেশে সেরা ও সর্বাধিক প্রভাবশালী ডিজিটাল ক্যাম্পেইনগুলোকে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। এ বছর মাইন্ডশেয়ারের অসাধারণ সাফল্য ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্ডাস্ট্রিতে উদ্ভাবন ও উৎকর্ষ অর্জনের প্রতিশ্রুতি আরও দৃঢ় করেছে।

ঢাকা/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘অসহায়’ শহীদির চাওয়া আফগান নারীরা মাঠে ফিরুক

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আজ মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান। এই সেই ম্যাচ, যে ম্যাচটি বয়কট করতে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে অনুরোধ করেছিলেন দেশটির রাজনীতিবিদেরা।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কয়েক শ সদস্য লিখিত চিঠি লিখে করেছিলেন সেই অনুরোধ। কেন, সেটি তো জানাই। আফগানিস্তানে নারীদের চাকরি-বাকরি, পড়াশোনা ও খেলাধুলা থেকে বিরত রাখার তালেবান শাসনের নীতির বিরুদ্ধে বার্তা দিতেই এমন আহ্বান জানিয়েছিলেন তাঁরা।

সেই দুই দেশ যখন মুখোমুখি ক্রিকেট মাঠে, ক্রিকেটের চেয়ে মাঠের বাইরের ঘটনা নিয়েই তো বেশি কথাবার্তা হওয়ার কথা। বাস্তবে হয়েছেও তাই। ম্যাচ–পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে আফগানিস্তানে নারীদের দুর্দশা, নারী ক্রিকেট দল কেন নেই, এ ব্যাপারে ক্রিকেটারদের কী অবস্থান—সেসব নিয়েই বেশি প্রশ্ন হলো।

আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদির কাছে জানতে চাওয়া হয়, আপনি কি আফগান মেয়েদের ক্রিকেট মাঠে দেখতে চান? মতামত জানাতে দ্বিধা না করলেও তাঁদের যে কিছুই করার নেই, সেটিও বললেন শহীদি, ‘সবাই খেলুক, এটা তো সবারই চাওয়া। তবে এখানে রাজনীতি একটা বিষয়, আর যেটি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। আমরা তো সামান্য ক্রিকেটার, আমরা শুধু মাঠের বিষয়গুলোই নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখি।’

আফগানিস্তানের ব্রিটিশ কোচ জোনাথন ট্রটকেও কথা বলতে হয়েছে এ নিয়ে। বিবিসিকে ট্রট বলেছেন, আফগান খেলোয়াড়দের হাত-পা বাঁধা এ ব্যাপারে, ‘ছেলেগুলো দারুণ সাহসী। কোনটা ঠিক আর কোনটা ঠিক নয়, সেটি তারা জানে। ওদের জন্য পুরো ব্যাপারটা খুবই বিব্রতকর।’

ট্রট অবশ্য আশাবাদী একদিন আফগানিস্তানে অবস্থা বদলাবে, ‘পুরো বিশ্ব যে উদ্বিগ্ন, সেটি আমি জানি। আমি নিজেও এ নিয়ে চিন্তিত। আমার মেয়েরা তো ক্রিকেট খেলে। আশা করছি, একদিন আফগানিস্তানেও এমন কিছু দেখতে পাব।’

ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলারও কথা বলেছেন এ নিয়ে। ট্রটের মতো বাটলারও আশা করছেন একদিন বদলাবে পরিস্থিতি, ‘আফগানিস্তানে নারী ও শিশুদের দুর্দশায় আমরা মর্মাহত। তবে আশা করছি কঠিন এই সময়ে এই ম্যাচ একটু হলেও আশা ও বিনোদন জোগাবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ