সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

আফগানিস্তানের দুটি প্রদেশে শিলাসহ ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে অন্তত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় ফারাহ প্রদেশে ভয়াবহ শিলাবৃষ্টির কারণে ২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন ছয়জন। প্রদেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ ইসরাইল সায়ার জানান, নিহতরা দুটি পরিবারের সদস্য এবং তারা পিকনিকে গিয়েছিলেন।

এদিকে, দক্ষিণ কান্দাহারে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আটজনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছেন।

স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়— চারজন নারী কাপড় ধোয়ার সময় আকস্মিক বন্যার পানিতে ভেসে যান। একটি বাড়ির ছাদ ধসে আরও চারজন প্রাণ হারান।

বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম আফগানিস্তান জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

২০২৩ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার আফগানিস্তান প্রতিনিধি স্টিফেন রড্রিকেস সতর্ক করেছিলেন যে— ‘খরা, বন্যা, নদীভাঙন এবং কৃষি উৎপাদনশীলতা হ্রাস দেশটির জন্য প্রধান হুমকি হয়ে উঠেছে।’

২০২৪ সালের মে মাসে আকস্মিক বন্যায় শত শত মানুষ নিহত হন। প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ কৃষিজমি, ব্যাপক ক্ষতি হয় অবকাঠামোরও।

এম জি

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন

এছাড়াও পড়ুন:

এপিলেপসি বা মৃগীরোগ কি ভালো হয় 

খিঁচুনি হওয়া মানেই কিন্তু মৃগীরোগ নয়। কারণ, নানা কারণে খিঁচুনি হতে পারে, যেমন প্রচণ্ড জ্বর, রক্তে লবণের পরিমাণ কমে যাওয়া, মস্তিষ্কে প্রদাহ অথবা স্ট্রোক। কিন্তু তেমন কোনো অন্তর্নিহিত কারণ ছাড়া যদি বারবার খিঁচুনি হয়, তবে তাকে মৃগীরোগ বা এপিলেপসি বলে। 

আমাদের সমাজে মৃগীরোগীরা বেশ অবহেলিত। অনেকের ধারণা, মৃগীরোগীরা অভিশপ্ত; এ রোগ কখনো ভালো হয় না। এখনো গ্রামগঞ্জে এটিকে ভূত বা জিনে ধরা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যদিও ৯০ শতাংশ মৃগীরোগী ওষুধ সেবনে ভালো থাকেন এবং ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগী দুই থেকে পাঁচ বছর ওষুধ খেয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যান। 

কেন হয়

মৃগীরোগের বেশির ভাগ কারণ বংশগত বা জেনেটিক।

জন্মের সময় শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত পাওয়া।

মস্তিষ্কে প্রদাহ বা এনকেফালাইটিস।

মস্তিষ্কের টিউমার।

স্ট্রোক।

মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর।

লক্ষণ

মৃগীরোগের প্রধান লক্ষণ হলো খিঁচুনি। অনেক সময় এর সঙ্গে মেধা বা বুদ্ধি কমে যাওয়া ও আচরণগত সমস্যাও থাকতে পারে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা

মস্তিষ্কের এমআরআই এ রোগের কারণ নির্ণয়ে সহায়তা করে। ইলেকট্রোএঙ্কেফালোগ্রাম (ইইজি) পরীক্ষা মৃগীরোগের কারণ, ধরন ও চিকিৎসাপদ্ধতি সম্পর্কে ভালো ধারণা দেবে। 

আরও পড়ুনঅতিরিক্ত চিন্তা করা কি কোনো রোগ২৫ জানুয়ারি ২০২৫চিকিৎসা

মৃগীরোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া হঠাৎ করে ওষুধ বন্ধ করা যাবে না। খিঁচুনি রোধে যেসব ওষুধ দেওয়া হয়, সেসবের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। সব সময় নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে।

  কিছু ভুল তথ্য

মৃগী একটি ছোঁয়াচে রোগ।

খিঁচুনি হলে মুখে জুতা শুকাতে হয়।

খিঁচুনি হলে মুখে চামচ দিতে হয় (মনে রাখবেন, এটি করলে রোগীর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেশি)।

মৃগীরোগীর কার্যক্ষমতা নেই, এরা লেখাপড়ায় ভালো করবে না।

মৃগীরোগীর সন্তান হয় না বা তারা সুস্থ সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম।

আরও পড়ুনমুখের অস্বস্তিকর রোগ মিউকোসিল কেন হয়, চিকিৎসা ও প্রতিকার কী২৯ জানুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ