মেঘনা পেট্রোলিয়ামের অর্ধবার্ষিকে মুনাফা বেড়েছে ৫৯.১৫ শতাংশ
Published: 26th, February 2025 GMT
পুঁজিবাজারে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কোম্পানি মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৪) ও অর্ধবার্ষিক (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
আরো পড়ুন:
লেজার জেট প্রিন্টার কিনবে বিএটিবিসি
ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়
তথ্য মতে, এদিকে আলোচ্য অর্থবছরে দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১৫.
অপরদিকে, ৬ মাস বা অর্ধবার্ষিক প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২৭.৮২ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ১৭.৪৮ টাকা। সে হিসাবে অলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ১০.৩৪ টাকা বা ৫৯.১৫ শতাংশ।
২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৪৪.৯৪ টাকা।
ঢাকা/এনটি/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফুটবলার মোরসালিনের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা, সমন জারি
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় শেখ মোরসালিনের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোরসালিনের স্ত্রী সেঁজুতি বিনতে সোহেল বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামি শেখ মোরসালিনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সেঁজুতি বিনতে সোহেলের আইনজীবী ইশফাকুর ররহমান গালিব বলেছেন, “প্রেমের সম্পর্কের পর শেখ মোরসালিনের সঙ্গে সেঁজুতির বিয়ে হয়। কিন্তু, দীর্ঘদিন ধরে আসামি বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। আসামি বাদীর কাছে গাড়ি কেনার জন্য ২০ লাখ টাকা যৌতুকও দাবি করেছেন। বাদী ন্যায়বিচারের জন্য আদালতে এসেছেন।”
এ বিষয়ে সেঁজুতি বিনতে সোহেল বলেছেন, “প্রেমের সম্পর্কের পর মোরসালিনের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার আচরণে পরিবর্তন এসেছে। আমার কাছে যৌতুক চেয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সে আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে না। আমি তার সাথে সংসার করতে চাই।”
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ২৯ নভেম্বর শেখ মোরসালিনের সঙ্গে সেঁজুতি বিনতে সোহেলের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার জন্য ২০ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন মোরসালিন। বিয়ের পর সেঁজুতি বুঝতে পারেন— মোরসালিন পরধনলোভী এবং পরনারীতে আসক্ত। আসামি যৌতুক দাবি করে বারবার বাদীকে মানসিক চাপ দেন এবং সেঁজুতির বাবার সব সম্পত্তি বিক্রি করে নগদ টাকা মোরসালিনের হাতে তুলে দিতে বলেন। এরপর বাদী অনুনয় করে আসামিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, তার বাবা-মার যা সাধ্য ছিল, তা বিয়ের সময় খরচ করেছেন। মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে দিলে তাদের পথে বসতে হবে।
মামলার অভিযোগে আরো বলা হয়, শতবার বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও মোরসালিন সেঁজুতির ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেন। সেঁজুতি অন্য উপায় না দেখে বাবার বাসায় চলে যান।
পরে ২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর রাত ১০টার সময় মোরসালিন শ্বশুরবাড়িতে যান। এ সময় সেঁজুতি মোরসালিনের জন্য রাতের খাবারের ব্যবস্থা করতে গেলে তিনি বলেন, “আমি খাবার খেতে আসিনি। ২০ লাখ টাকা নেওয়ার জন্য এসেছি।” তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত সেঁজুতির বাবা-মা জানান, ২০ লাখ টাকা দেওয়ার মতো সামর্থ তাদের নেই। তখন মোরসালিন স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে গালি ও হুমকি দিতে থাকেন।
ঢাকা/মামুন/রফিক