আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তারা মিছিলটি করেন। সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দূর্বার বাংলা পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে আবাসিক হলসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

মিছিল থেকে শিক্ষার্থীরা ‘হল ভ্যাকেন্ট, হল ভ্যাকেন্ট, মানি না, মানবো না’, ‘হল ভ্যাকেন্টের সিদ্ধান্ত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘অবৈধ সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত, মানি না মানবো না’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’সহ বিভিন্ন  স্লোগান দেন। এসময় তারা হল না ছাড়ার ঘোষণা দেন।

আরো পড়ুন:

ইবির বাস উল্টে আহত ২৫ শিক্ষার্থী

কুয়েট
গভীর রাতে তালা ভেঙে বাসভবনে ভিসি, শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম 

এর আগে, গতকাল সিন্ডিকেটের ৯৯তম জরুরি সভায় অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ এবং বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কুয়েট প্রশাসন। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েনের জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনারকে কুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

রাতে মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা জানান, ফ্যাসিবাদি কায়দায় হল ভ্যাকেন্ট করে কুয়েটের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফ্যাসিবাদ বিলোপের ৬ মাস পরও কুয়েট প্রশাসন সেই আগের পথে হাটছে। শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই হল ত্যাগ করবে না। 

কুয়েটের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড.

শেখ শরিফুল আলম বলেন, “নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ না করলে কাউকে জোর করে হল ত্যাগ করতে বাধ্য করার কোনো সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নেই। কোনো শিক্ষার্থী হল ছাড়তে চাইলে, তাদেরর নিরাপত্তা দিয়ে সহায়তা করা হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।”

কেএমপির খানজাহান আলী থানার ওসি মো. কবির হোসেন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ৩০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে। তারা কোনো ধরনের সংঘাত, সংঘর্ষ বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ঘটনা ঘটলে সেখানে হস্তক্ষেপ করবে। এর বাইরে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়া সংক্রান্ত কোনো বিষয় তারা হস্তক্ষেপ করবে না।”

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হল ভ য ক ন ট

এছাড়াও পড়ুন:

জিনদের আহার্য

মহানবী (সা.) একবার তার সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.)-কে বললেন কিছু পাথর নিয়ে আসতে। তবে হাড় বা গোবর আনতে নিষেধ করলেন। আবু হুরায়রা (রা.) কাপড়ে করে কিছু পাথর এনে সেগুলো নবীজি (সা.)-এর পাশে রেখে চলে গেলেন। নবীজি (সা.) কাজ সেরে ফিরে আসার পর আবু হুরাইরা জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহর রাসুল, হাড় ও গোবরে সমস্যা কী? তিনি উত্তরে বললেন, সেগুলো জিনদের খাবার। নাসিবিন শহরে (সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যে আলজাযিরার একটি নগরী) জিনদের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। তারা সবাই খুব ভালো জিন। আমার কাছে খাবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল। আমি আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দোয়া করি। তাই তারা যে হাড় বা গোবরের পাশ দিয়ে যাবে, তাতেই নিজেদের জন্য খাবার খুঁজে পাবে। (বুখারি, হাদিস: ৩,৫৭৮)

আরও পড়ুনইবলিস কি জিন নাকি ফেরেশতা১৬ মার্চ ২০২৫

তাই কেউ যদি বিসমিল্লাহ বলে খাবার খায় এবং হাড় থেকে মাংস খাওয়ার পর নাপাক স্থানে না ফেলে, মুমিন জিনেরা সেই হাড় হাতে নিলে তাতে গোশত ফিরে আসবে। (তিরমিজি, হাদিস: ৩,২৫৮)

আর দুষ্ট জিন ও শয়তানরা খায় এমন খাবার, যাতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয় না। যেসব খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হয়, সেগুলো তারা ছুঁয়েও দেখে না।

গোবরে জিনদের পশুদের জন্য খাবার জমা হয়। তার মানে জিনদের পোষা প্রাণী আছে এবং তারা তাতে আরোহণ করে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘গোবর বা হাড় নাপাকি পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার করো না। কারণ এগুলো তোমাদের ভাই জিনদের খাবার।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৮)

আরও পড়ুনকোরআন শুনে একদল জিন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন০৬ আগস্ট ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ