আধিপত্য বিস্তার ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে শেরপুরে বিএনপি নেতাসহ তিনজনকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে দলীয় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। 

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ এলাকার মাদরাসার সামনে ঘটনাটি ঘটে। 

আহতরা হলেন- শেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও শেরপুর সরকারি কলেজের সাবেক এজিএস জাকারিয়া বাদল (৪৭), সোহাগ আলম (৩৫) ও রুহুল। তাদের মধ্যে বাদল ও সোহাগকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩

ছুরিকাঘাতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ৩ নেতা আহত, থানা ঘেরাও

আহত জাকারিয়া বাদলের স্বজন ও ছাত্রদল কর্মী রমজান আলী জানান, ‍‍কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমানের সঙ্গে বাদলের দীর্ঘ দিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। সম্প্রতি জেলা বিএনপির গ্রুপিং স্থানীয় ওই দুই নেতার সম্পর্ককে আরও জটিল করে তোলে। আবার হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও কৃষকলীগ নেতা নূরে আলমের সঙ্গে তার রাজনৈতিক বৈরিতাও অনেক আগে থেকেই। 

বাদলকে দমন করতে সম্প্রতি শেরপুর জেলা কারাগারে থাকা সাবেক চেয়ারম্যান নূরে আলমের সঙ্গে দেখা করেন লুৎফর। ওই দুইজন এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আগাম পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বিএনপি নেতা লুৎফর জেলে সাক্ষাৎ পরবর্তী এলাকায় গিয়ে কৃষক লীগ নেতা নূরে আলমের লোকজনের সঙ্গে গোপন মিটিং করেন। 

তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার বিকেলে জাকারিয়া বাদলসহ তিনজন একই মোটরসাইকেলে ভীমগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। আগে থেকে ওৎপেতে থাকা নূরে আলম ও লুৎফরের অনুসারীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। তারা বাদলসহ তিনজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। বাদল ও সোহাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠান। 

শেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‍“আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমানের সঙ্গে বিএনপি নেতা জাকারিয়া বাদলের বিরোধ চলছে। এরই জেরে কৃষক লীগ নেতা নূরে আলমের লোকজন লুৎফরের লোকজনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাদলের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে জানতে পেরেছি।”

অভিযোগ অস্বীকার করে কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমান বলেন, “বাদল আমার দলেরই লোক। আমি কেন তার ওপর হামলা করব? বাদলের অনেক শত্রু। তাদেরই কেউ হয়তো হামলা করেছে।”

শেরপুরের পুলিশ সুপার মো.

আমিনুল ইসলাম বলেন, “এলাকায় যৌথ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ হামলাকারীদের ধরতে  অভিযান চালাচ্ছে।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আহত ল ৎফর র ব এনপ র ব দল র আলম র

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাজিল কোচ হওয়ার বিষয়ে যা বললেন আনচেলোত্তি

আর্জেন্টিনার কাছে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বুধবার সকালে ৪-১ ব্যবধানে হার মানে ব্রাজিল। এরপর থেকেই গুঞ্জন চলছে কোচ ডোরিভাল জুনিয়রকে ছাটাই করবে ব্রাজিল। তার জায়গায় রিয়াল মাদ্রিদের কোচ কার্লো আনচেলোত্তিকে নেওয়া হবে।

তবে আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) এই বিষয়টি পরিস্কার করতে কথা বলেছেন আনচেলোত্তি। সেখানে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ হওয়ার বিষয়ে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ হয়নি। এছাড়া, কিংবদন্তি ফুটবলার রোনাল্ডো নাজারিওর দাবি নিয়েও তিনি দ্বিমত প্রকাশ করেছেন। আনচেলোত্তি আবারও নিশ্চিত করেছেন যে তিনি রিয়াল মাদ্রিদেই থাকতে চান।

সম্প্রতি রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তি রোনাল্ডো নাজারিও দাবি করেছিলেন যে, আনচেলোত্তির সঙ্গে ব্রাজিল দলের কোচ হওয়ার বিষয়ে অতীতে আলোচনা হয়েছিল এবং তিনি নিজেও সেই আলোচনায় যুক্ত ছিলেন। তবে আনচেলোত্তি এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

আরো পড়ুন:

তবে কি আনচেলত্তিই হতে যাচ্ছেন ব্রাজিলের কোচ?

৬৬ বছর পর আর্জেন্টিনার কাছে এতো বড় ব্যবধানে হারল ব্রাজিল

“আমি এটা নিয়ে তার (রোনাল্ডো) সঙ্গে কথা বলেছি বলে মনে নেই। আমরা অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি, তবে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা আমার মনে নেই,” — সাংবাদিকদের জানান আনচেলোত্তি।

তিনি আরও বলেন, “আমার চুক্তি খুবই স্পষ্ট, এর বাইরে কিছু বলার নেই। আমি ব্রাজিল জাতীয় দল, তাদের খেলোয়াড় এবং সমর্থকদের অনেক ভালোবাসি। তবে আমি রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। এই চুক্তি একদম পরিষ্কার।”

আনচেলোত্তিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, এই সপ্তাহে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন থেকে আবারও কোনো যোগাযোগ করা হয়েছে কিনা। উত্তরে তিনি সোজাসাপ্টা বলেন, “না।”  

তার ভবিষ্যৎ নিয়ে যেসব গুঞ্জন চলছে, সেগুলো নিয়ে তিনি কীভাবে সামলাচ্ছেন জানতে চাইলে আনচেলোত্তি মজার ভঙ্গিতে উত্তর দেন, “আমি দারুণ সময় কাটিয়েছি। কারণ আমি ইতালিতে আমার দাদা-দাদী, নানা-নানীদেরসহ পূর্বপুরুষদের দেখতে গিয়েছিলাম... এবং সত্যিই ভালো সময় কেটেছে।’’

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ