ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের (আইবিএফ) উদ্যোগে রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় অডিটোরিয়ামে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক মো. আবদুল জলিল।

বক্তব্য রাখেন আইবিএফ’র নির্বাহী কমিটি ও ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব এবং আইবিএফের নির্বাহী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আলী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আইবিএফ’র মহাব্যবস্থাপক ফায়জুল কবির।

এ সময় বিজয়ী প্রতিযোগীদের মধ্যে ড.

রিয়াজুল ইসলাম ও ড. মাহমুদ আহমেদ অনুভূতি প্রকাশ করেন।

সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও সম-সাময়িক বিষয়াবলী সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মকে সচেতন করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত রচনা প্রতিযোগিতায় চারটি ক্যাটাগরিতে মোট ২৫০০ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।

এর মধ্যে, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৪০ হাজার ও ৩০ হাজার টাকাসহ মোট ৪০ জন বিজয়ীর মাঝে চেক ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

ঢাকা/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়াকাটায় জলকেলিতে মাতলেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা

পবিত্র জলে গাঁ ভিজিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে রাখাইনদের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন রাখাইন মার্কেটে তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম।  

অনুষ্ঠানের শুরুতে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন রাখাইন জনগোষ্ঠী। 

আরো পড়ুন:

বৈশাখে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাস 

রঙে-আলোয় উজ্জ্বল বর্ষবরণ

বর্ষবরণের জলকেলি উৎসব উপলক্ষে নাচে-গানে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা। পরে তারা মাঠের মধ্যে রাখা একটি নৌকার পানি একে অপরের শরীরে ছিটিয়ে জলকেলিতে মেতে ওঠেন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা অং চো বলেন, “কক্সবাজার থেকে এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য এসেছি। নাচ, গান আর জলকেলি উৎসবে অংশগ্রহণ করেছি। দিনটি আমাদের দারুন কেটেছে। প্রতিবছর এ অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।” 

কেরানিপাড়ার রাখাইন তরুণী ম্যাসুয়েন বলেন, “বর্ষবরণ উপলক্ষে দিনভর নানা আয়োজন ছিল। এখানে সব অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। বিশেষ করে জলকেলির সঙ্গে নাচ আর গান দারুনভাবে উপভোগ করেছি। এমন আয়োজন করার জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।”

কলাপাড়ার ইউএনও রবিউল ইসলাম বলেন, “উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে ও রাখাইনদের সহযোগিতায় তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে। রাখাইনদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে।”

পটুয়াখালী রাখাইন বুড্ডিস ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমং তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- সরকারি মোজাহার উদ্দিন অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফাতেমা হেরেন, কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম ও কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান। 

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ