গাজীপুরের কালীগঞ্জে মো. জাকির হোসেন নামে এক বিএনপি নেতাকে দল থেকে থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে কালীগঞ্জ পৌর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃত নেতার নাম মো. জাকির হোসেন। তিনি কালীগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। তিনি ওই ওয়ার্ডের চৈতরপাড়া গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে।
আরো পড়ুন:
সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আব্দুল্লাহ আল নোমানের জানাজা অনুষ্ঠিত
অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে জনগণের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে: তারেক রহমান
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেওপাড়া এলাকায় অবস্থিত একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ওয়ার্কশপ থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাড়ি বোঝাই করে ওয়েস্টেজ মালামাল বের করা হচ্ছিল। এ সময় জাকির হোসেনের নেতৃত্বে তার দুই ভাই সোহরাব ও রাজিব এতে বাধা দেন। একপর্যায়ে তারা গাড়িচালককে মারধর করেন। এসময় ওয়ার্কশপের দুইজন নিরাপত্তাকর্মী ও একজন জুনিয়র কর্মকর্তা চালককে রক্ষা করতে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। পরবর্তীতে রাতে পৌর বিএনপি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জাকির হোসেনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জাকির হোসেনকে কালীগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির পদ ও দলীয় প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। দল তার কোনো অপকর্মের দায়ভার নেবে না। বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী দল কালীগঞ্জ পৌর শাখার সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন আরমান ও সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম প্রধান ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।”
ঢাকা/রফিক/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদ ঘিরে কাপড়ের ব্যবসায় মন্দাভাব
আশানুরূপ বেচাকেনা হয়নি নবীগঞ্জের কাপড়ের বাজারে। ঈদ ঘিরে ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা। বিশেষ করে থান কাপড় ব্যবসায় মন্দাভাব। মাত্র দিন দু’এক পরেই ঈদ। তাতে নবীগঞ্জের বিভিন্ন বিপণিবিতানে পোশাক ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা বাড়লেও বেচাকেনা সেভাবে হচ্ছে না।
ব্যবসায়ীরা জানান, রোজার আগে থেকে প্রস্তুতি ছিল থান কাপড় ও থ্রিপিস ব্যবসায়ীদের। এবারের ঈদে থান কাপড়ের দোকানগুলোর বেশির ভাগই ক্রেতাশূন্য। ফলে ক্রেতার অপেক্ষায় অলস সময় পার করছেন ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে কাপড়ের দোকানগুলোতে নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক সাজিয়ে রেখেছেন দোকানিরা। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা কাপড় দেখে, দরদাম করলেও দামে মিলছে না অধিকাংশের। এতে আশানুরূপ কেনাবেচা হচ্ছে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
নবীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, এ বছর ঈদকে সামনে রেখে অন্যবারের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি কাপড় দোকানে তুলেছেন তারা। বিশেষ করে থান কাপড়ের ব্যবসায়ীরা রমজানের আগেই বেশি করে কাপড় কিনেছেন। কারণ, অন্যান্য কাপড়ের তুলনায় থান কাপড় আগে বিক্রি হয়। কিন্তু এবার বাজারে ক্রেতা কম। ১ রমজান থেকে ২০ রমজান এই সময়টায় বেশি কাপড় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও ২৭ রমজান চলে গেলেও এবার প্রত্যাশিত বিক্রি হচ্ছে না। সন্তোষজনক কেনাবেচা না হওয়ায় হতাশ কাপড় ব্যবসায়ীরা।
ক্রেতারা জানান, ঈদের বাজারে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির চাপ এখনও বিদ্যমান। সাধারণ মানুষ অর্থসংকটে রয়েছেন। এ ছাড়া থান কাপড় কিনে পোশাক তৈরিতে সময় ও সেলাই খরচ বেশি হয়।
পশ্চিমবাজার এলাকার একটি শপিংমলের কর্মচারী আলাউর রহমান বলেন, সব জিনিসের দাম বেড়েছে। ক্রেতার বাজেট তো আর বাড়েনি। এ কারণে কেনাবেচা কম হচ্ছে। বাড়তি দাম দিয়ে থান কাপড় কিনতে হয়। গত রমজান থেকে এবার দেশি কাপড়ে গজপ্রতি প্রায় ১০ টাকা ও বিদেশি কাপড়ে ৪০ টাকা বেড়েছে। সব খরচ মিলিয়ে ব্যবসায়ীদের পোশাকের দাম বাড়াতে হচ্ছে।
শহরের মধ্যে থান কাপড়সহ অন্য কাপড়ের ছোট ও মাঝারি দুটি দোকান আছে কাওসার আহমদের। তিনি জানান, প্রত্যাশা অনুযায়ী ক্রেতা পাচ্ছেন না। সব মিলিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় আছেন। এভাবে চললে চাপের মুখে রয়ে যাবেন।
নবীগঞ্জ বাজার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক হাফেজ শোয়েব আহমদ চৌধুরী জানান, বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন কেনাবেচা আশানুরূপ হচ্ছে না। তারা আশাবাদী, শেষ পর্যন্ত কেনাবেচা ভালো হবে।