Prothomalo:
2025-03-31@03:02:02 GMT

এ যেন বড় এক ‘কুকুরছানা’

Published: 26th, February 2025 GMT

বহমান নদীর পাশে মাটিতে থুতনি ঠেকিয়ে যেন বিশ্রাম নিচ্ছে বিশাল আকৃতির একটি কুকুরছানা। বেড়াতে গিয়ে তোলা ছবি ঘাঁটতে গিয়ে এমন এক দৃশ্য খুঁজে পান গুও শিংসান।

সাংহাইভিত্তিক ডিজাইনার গুও গত মাসের শেষদিকে মধ্য চীনের হুবেই প্রদেশে নিজের শহর ইচাংয়ে বেড়াতে যান। সেখানে তিনি একটি পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন, বেশ কিছু ছবিও তোলেন।

পরে ছবিগুলো ঘাঁটতে গিয়ে একটি ছবিতে যে দৃশ্য দেখতে পান, সেটা তিনি আগে খেয়াল করেননি। ইয়াংসি নদীর পাশে একটি পাহাড়কে দেখে মনে হচ্ছে যেন একটি কুকুর মাটিতে মাথা রেখে বিশ্রাম নিচ্ছে।

১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে ছবিটি পোস্ট করে গুও ক্যাপশনে লেখেন ‘কুকুরছানা পাহাড়’। তাঁর ওই পোস্ট চীনে আলোড়ন তোলে। প্রচুর পর্যটক পাহাড়টি দেখতে যেতে শুরু করেন।

গুও বলেন, ‘এটা দারুণ বিস্ময়কর ও মিষ্টি। এটা আবিষ্কার করতে পেরে আমি দারুণ আনন্দিত ও খুশি হয়েছিলাম। ওই কুকুরছানার ভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে, সেটি পানি পান করছে অথবা মাছের দিকে তাকিয়ে আছে। এটাকে দেখে এমনও মনে হয়েছে যে সেটি নীরবে ইয়াংসি নদী পাহারা দিচ্ছে।’

চীনের একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিটি পোস্ট করেন গুও। ১০ দিনে ওই ছবির নিচে ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি ‘লাইক’ পড়ে। উইবোতে কয়েক লাখ মানুষ ছবিটি দেখেন।

পোষা কুকুর আছে, এমন ব্যক্তিরা নিজেদের কুকুরের ছবি পোস্ট করা শুরু করেন। তাঁরা দেখতে চান, ওই পাহাড়ের সঙ্গে কার কুকুরের মুখ সবচেয়ে বেশি মিলে যায়।

অনেকেই পাহাড়টি নিজের চোখে দেখতে ইচাংয়ে ঘুরতে যান। কেউ কেউ সঙ্গে পোষা কুকুরও নিয়ে যান।

ইচাংয়ের জিগুই কাউন্টিতে পাহাড়টির অবস্থান। পর্যটকদের পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য মাচার মতো যেসব জায়গা থাকে, সেখান থেকে ‘কুকুরছানা পাহাড়’ স্পষ্ট দেখা যায়।

চীনের সবচেয়ে দীর্ঘ নদী ইয়াংসি। এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ নদীও বটে। একটি পাহাড়ি অঞ্চল দিয়ে ওই নদী বয়ে গেছে।

গুও ছবি পোস্ট করার পর অনেকে একই মাচা থেকে তোলা ওই পাহাড়ের ছবি পোস্ট করেন। তবে তাঁদের বেশির ভাগই স্বীকার করেন, পাহাড়টি যে একটি কুকুরছানার মুখের মতো দেখতে, সেটা তাঁরা আগে খেয়াল করেননি।

তাঁদের একজন ইচাংয়ের বাসিন্দা সি টং বলেন, তিনি আগেই ওই পাহাড় দেখেছেন এবং পাহাড়ের একই জায়গার একটি ছবিও পোস্ট করেন। ছবিটি ২০২১ সালে তোলা।

সি টং লেখেন, ‘আমি অনলাইনে পাপি মাউন্টেইনের ছবি দেখার পর খুঁজে দেখার চেষ্টা করি, এটি আসলে কোথায়। এবং তারপরই আমি বুঝতে পারি, আরে আমি তো আগেই ওই জায়গায় গিয়েছি। সে সময় আমার কাছেও মনে হয়েছিল যে পাহাড়টি একটি কুকুরের মতো দেখতে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প স ট কর

এছাড়াও পড়ুন:

যে পরীক্ষায় অংশ নিলে শুয়ে শুয়ে মিলবে ৪১০০ পাউন্ড

ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি একটি গবেষণার অংশ হিসেবে ভিন্ন ধরনের পরীক্ষা পরিচালনা করছে। ১০ দিনের জন্য পানির নিচে থাকা একটি বিছানায় শুয়ে থাকার জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করছে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি। ভিভাল্ডি থ্রি নামক এই পরীক্ষাটি ফ্রান্সের টুলুজ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের মেডিস স্পেস ক্লিনিকে পরিচালনা করা হচ্ছে। মানুষের শরীরে মহাকাশযানের প্রভাব জানতে এই পরীক্ষা ডিজাইন করা হয়েছে। এই পরীক্ষায় ১০ জন স্বেচ্ছাসেবককে পানিরোধী কাপড় দিয়ে আবৃত করে বাথটাবের মতো যন্ত্রে শুয়ে থাকতে হবে। এই কাপড়ে তাঁরা একইভাবে শুষ্ক থাকেন ও সমানভাবে পানিতে ভেসে থাকেন। এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা শারীরিক সমর্থন ছাড়াই ভাসমান অনুভূতি অনুভব করবেন। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নভোচারীরা যেমন অনুভব করেন তেমনিই অনুভূতি থাকবে পরীক্ষার সময়। এই পরীক্ষায় নির্বাচিত হলে ৪ হাজার ১০০ পাউন্ড পুরস্কার দেওয়া হবে।

এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সময় বিশেষভাবে টয়লেট ব্যবহারের সুযোগ থাকবে। টয়লেট বিরতির জন্য অংশগ্রহণকারীদের সাময়িকভাবে একটি ট্রলিতে স্থানান্তরিত করে টয়লেটের ব্যবস্থা করা হবে। মানবদেহে ওজনহীনতার প্রভাব বুঝতে এই পরীক্ষা পরিচালনা করছেন বিজ্ঞানীরা। এই পরীক্ষা ২০ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর পরিচালিত হবে। শুধু পুরুষ অংশগ্রহণকারীরা এ পরীক্ষায় অংশ নেবেন। স্বেচ্ছাসেবকদের মোট ২১ দিনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। ২১ দিনের মধ্যে ১০ দিন পানির মধ্যে থাকা বিশেষ বিছানায় শুয়ে কাটাতে হবে। অংশগ্রহণকারীরা বিস্তৃত চিকিৎসা–সংক্রান্ত পরীক্ষায় ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অংশ হিসেবে কাজ করবেন।

খাওয়ার সময় তাঁদের একটি ভাসমান বোর্ডে খাবার দেওয়া হবে। ঘাড় বালিশ ব্যবহার করে তাঁরা খাবার গ্রহণ করবেন। অংশগ্রহণকারীরা এ সময় ফোন ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। গবেষণায় ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী পুরুষেরা অংশ নিতে পারবেন। ভালো স্বাস্থ্যের অধূমপায়ী অংশগ্রহণকারীদের নির্বাচন করা হবে। মহাকাশের ভারহীনতায় মহাকাশচারীদের দেহ মাধ্যাকর্ষণের অভাবে বিস্তৃত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। সেখানে মহাকাশচারীরা পেশি ও হাড়ের ঘনত্ব হারায়। চোখের মণির আকার পরিবর্তন হতে পারে ও শরীরের তরল মস্তিষ্কে জমা হতে পারে। নতুন পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ওজনহীনতার মতো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।

সূত্র: ডেইলি মেইল

সম্পর্কিত নিবন্ধ