সশস্ত্র বাহিনীতে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালিত
Published: 26th, February 2025 GMT
সশস্ত্র বাহিনীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রথমবারের মতো মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালিত হয়েছে।
২০০৯ সালের এই দিনে পিলখানায় বিপথগামী তৎকালীন বিডিআর সদস্যদের হাতে নির্মমভাবে নিহত সেনা শহীদদের স্মরণে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক প্রতিবছর এই দিনটিকে 'জাতীয় শহীদ সেনা দিবস' হিসেবে পালনের পরিপত্র জারি করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে, দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ উপলক্ষ্যে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। সকালে সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান এবং বিমান বাহিনী প্রধান নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে বনানী সামরিক কবরস্থানে শায়িত পিলখানায় শহীদ সামরিক কর্মকর্তা ও সদস্যদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া, বাহিনী প্রধানগণের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ, এক মিনিট নীরবতা পালন ও পরিশেষে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন
মালদ্বীপে ৫৪তম বিজয় দিবস উদযাপন
বিশেষ এই দিনের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধানগণ পৃথক পৃথক বাণী প্রদান করেছেন এবং সশস্ত্র বাহিনীর দরবার/বোথ ওয়াচেস/এ্যাসেম্বলির মাধ্যমে বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে দেশের সব সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটি এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটির মসজিদসমূহে পিলখানায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় পবিত্র কোরআন খতম এবং বাদ জোহর বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত আয়োজন করা হয়।
২০০৯ সালে পিলখানায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডে শাহাদত বরণকারী সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে রাজধানীর মহাখালীর রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (রাওয়া) ক্লাবের হেলমেট হলে জাতীয় শহীদ সেনা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।
স্মরণসভায় শহীদগণের পরিবার, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পরিবারের পাশাপাশি সেনা ও নৌ বাহিনী প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য এবং করণীয় ইত্যাদি বিষয়ে বহুল প্রচারিত বিভিন্ন রেডিও/টেলিভিশন চ্যানেলেসমূহে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে জাতির সূর্য সন্তান শহীদ সেনাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও শোক সন্তপ্ত শহীদ পরিবারের প্রতি রইলো গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করা হয় বলে আইএসপিআর-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/হাসান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সশস ত র ব হ ন পর ব র র প কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
রিয়াদে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজ বাংলাদেশ দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের নিয়ে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্বাগত বক্তব্য দেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলওয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত ওমর লিব্বি আমের আজওয়াদ, কূটনৈতিক কোরের ডিন জিবুতির রাষ্ট্রদূত দায়া আদদীন সাঈদ বামাখারামা এবং প্রিন্স সুলতান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নুরুন্নবী।
রাষ্ট্রদূত ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে মাতৃভাষা রক্ষার বিষয়ে বাঙালি জাতির অবদানের কথা বিদেশিদের কাছে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “দ্রুতই পৃথিবী থেকে বিভিন্ন ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে, সাথে সাথে হারিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।”
মাতৃভাষা রক্ষায় দেশ-কালভেদে পৃথিবীর সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।
অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর নিজ নিজ ভাষায় শিক্ষা গ্রহণ এবং নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে প্রত্যেককে নিজ নিজ ভাষা চর্চা বৃদ্ধির মাধ্যমে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বজায় রাখার আহ্বান জানান তারা।
২১ ফ্রেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে অবদান রাখায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একটি তথ্যচিত্র ও বিভিন্ন ভাষায় একুশে ফেব্রুয়ারির গান পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে ১০ জন রাষ্ট্রদূতসহ ৪০ জন কূটনীতিক যোগ দেন।
ঢাকা/হাসান/রফিক