দুই ঘণ্টার চেষ্টায় জামান টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে
Published: 26th, February 2025 GMT
রাজধানীর নয়াপল্টনের জামান টাওয়ারে লাগা আগুন দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
বুধবার সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন।
তিনি বলেন, ঝুঁকি বিবেচনায় জামান টাওয়ারের আগুনে ১৪টি ইউনিট পাঠানো হয়েছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে ৯টি ইউনিট। বাকি ৫টি ইউনিট অপেক্ষায় ছিল। তবে তাদের কাজ করতে হয়নি বলেও জানান তিনি।
প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য জানা যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বর্তমানে ড্যাম্পিং ডাউনের কাজ চলছে।
এর আগে বুধবার ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটের দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ভবনটির চারতলায় ও পাঁচতলায় আগুন লাগার সংবাদ এলে ভবনটি থেকে দুজন পুরুষকে জীবিত উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খসে পড়ছে ছাদ-পলেস্তারা সেবা নিতে দাঁড়াতেও ভয়
ভবনের পলেস্তারা ও ছাদের অংশ প্রায়ই খসে পড়ে। বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে পড়ে পানি। অনেক স্থানে ফাটল ধরেছে। জানালার গ্লাসও ভেঙে গেছে। এমন জরাজীর্ণ অবস্থা গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার প্রধান ডাকঘরের। যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার শঙ্কা মাথায় নিয়ে কাজ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ডাকঘরটি বেহাল হওয়ার কারণে পুরোনো অনেক নথি বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বহুবার জানানো হয়। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। অথচ ডাকঘর একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর। এখান থেকে নিয়মিত রাজস্ব পাচ্ছে সরকার।
বেলকা ডাকঘরের পিয়ন মোস্তাফা মিয়ার ভাষ্য, সুন্দরগঞ্জের ডাকঘরটির অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সব শাখা ডাকঘরের পিয়ন প্রতিদিন চিঠিপত্র আনা-নেওয়ার জন্য এখানে যাতায়াত করেন। ভবনটির ভেতরে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করা অত্যন্ত বিপজ্জনক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জের অধীনে ১২টি শাখা ডাকঘর আছে। আধুনিক ও ডিজিটাল প্রযুক্তি থাকায় এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি আদান-প্রদান হয়। বিশেষ করে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার খাতাপত্র এবং সরকারি দপ্তরের চিঠি ডাকযোগে আদান-প্রদান হচ্ছে। এ ছাড়া রেভিনিউ স্টাম্প সংগ্রহ করতে হয় এখান থেকে।
এসব সেবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও উপজেলার প্রধান ডাকঘরটির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ বলে মন্তব্য করেন দহবন্দ ইউনিয়নের মাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, সেবা নিতে দাঁড়িয়ে থাকতে ভয় লাগে।
সুন্দরগঞ্জ প্রধান ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার নুরুল হুদা বলেন, ভবনটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে গেছে। কাগজ সংরক্ষণ করা দুরূহ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিষয়টি অবগত আছেন বলে জানান জেলা ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার বিল্পব কুমার দাস। তিনি বলেন, ভবনটি সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।