ইউক্রেনের জনগণ এখনো রুশ বাহিনীর আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ এখন এক দীর্ঘায়িত, কঠিন পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রতি টুকরা ভূমির জন্য লড়াই অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। এতে কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়েছে ইউক্রেনের সহ্যশক্তি আর পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার সদিচ্ছা।

এই সংকটময় সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন ইউক্রেন নীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে। তারা দ্রুত একটি শান্তি চুক্তি সম্পন্ন করার দাবি জানাচ্ছে। গত সপ্তাহে মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তারা সরাসরি আলোচনায় বসেন সৌদি আরবে। সেখানে ইউক্রেনকে রাখা হয়নি। এই বৈঠক ও ওয়াশিংটনের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনের নামে বড় ধরনের ছাড় দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

কূটনৈতিক সমাধান অনুসরণ করা উচিত কি না, সেটি ইউক্রেনের জন্য মূল প্রশ্ন নয়। কারণ, শেষ পর্যন্ত যেকোনো যুদ্ধই আলোচনার মাধ্যমে শেষ হয়। বরং আসল প্রশ্ন হলো, সেই আলোচনার শর্ত কী হবে? যদি মূল লক্ষ্য শুধু দ্রুত যুদ্ধ থামানো হয়, তাহলে ইউক্রেনের দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তার বিষয়টি উপেক্ষিত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। এতে হয়তো যুদ্ধ সাময়িকভাবে স্তিমিত হবে, কিন্তু কোনো স্থায়ী সমাধান হবে না।

সাম্প্রতিক সময়েই এমন যেকোনোভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যর্থতার নজির পাওয়া যায়। ২০১৪ সালে ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয়। দুই মাস পর রুশ সেনারা স্থানীয় রুশপন্থী বাহিনীর সহযোগিতায় পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযান চালিয়ে কিছু ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নেয়। সেই বছরের আগস্টে ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যস্থতায় কিয়েভকে এক অসম শান্তি চুক্তির আলোচনায় বসতে বাধ্য করা হয়। লক্ষ্য ছিল সংঘর্ষ বন্ধ করা।

এ আলোচনার ফলাফল ছিল ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে স্বাক্ষরিত মিনস্ক-১ চুক্তি। কিন্তু এটি ছয় মাসও টেকেনি। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে মস্কোপন্থী বাহিনী ও রাশিয়ার নিয়মিত সেনারা নতুন করে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করে। পরবর্তী মাসে ফেব্রুয়ারিতে মিনস্ক-২ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তিতে শর্ত দেওয়া হয়, কিয়েভকে কার্যত রাশিয়ার দখলে চলে যাওয়া দনবাস অঞ্চলের দুটি অংশের ‘বিশেষ মর্যাদা’ স্বীকার করতে হবে।

এই যুদ্ধ শুধু হারানো ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারের লড়াই নয়, এটি ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখার লড়াইও। এখন প্রশ্ন হলো, পশ্চিমা দেশগুলোর নীতি এই লক্ষ্যকে সমর্থন করবে, নাকি শুধু নিজেদের স্বল্পমেয়াদি স্বার্থের দিকে ঝুঁকবে? এ প্রশ্নের উত্তরই নির্ধারণ করবে এই যুদ্ধের পরবর্তী ধাপ।

শেষ পর্যন্ত মিনস্ক চুক্তিগুলো টেকসই শান্তি আনতে কোনো কাজে লাগেনি। চুক্তি হয়েছিল সংঘর্ষ সাময়িকভাবে আটকে রাখার উদ্দেশ্যে। ফলে রাশিয়া দখলকৃত ভূখণ্ডগুলোর ওপর আরও শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। ইউক্রেন রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে আরও দুর্বল হয়ে যায়।

মিনস্ক চুক্তির ব্যর্থতা আমাদের জন্য এক সতর্কবার্তা। ইউক্রেনের নিরাপত্তা ও জনগণের প্রত্যাশাকে উপেক্ষা করে কোনো সমঝোতা দীর্ঘস্থায়ী শান্তি আনতে পারবে না। তা বরং পরবর্তী সংঘাতের পথ প্রশস্ত করবে।

ইউক্রেনের জনগণ তিন বছর ধরে এ যুদ্ধের ভয়াবহতা সহ্য করে আসছে। যেকোনো শান্তি চুক্তিতে অবশ্যই সেই জনগণের ইচ্ছাকে প্রতিফলিত করতে হবে।

যুদ্ধের ধকল একটি বাস্তব বিষয়। এই ক্লান্তির প্রতিফলন ঘটে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ইউক্রেনের নাগরিকদের মধ্যে পরিচালিত গ্যালাপের এক জরিপে। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৫২ শতাংশ উত্তরদাতা শান্তি আলোচনাকে সমর্থন করেছেন। তবে যখন প্রশ্ন আসে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে, তখন মাত্র ২৭ শতাংশ মানুষ মনে করেছেন, ইউক্রেনের এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ ইউক্রেনীয় কোনো ভূখণ্ড ছেড়ে দিয়ে শান্তি চুক্তি করার বিষয়টিকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে।

এই পরিসংখ্যানগুলো একটি রাজনৈতিক বাস্তবতা তুলে ধরে—রাশিয়ার দখলকৃত এলাকা বৈধতা দেবে, এমন কোনো শান্তি চুক্তির পক্ষে ইউক্রেনে ব্যাপক সমর্থন নেই। কোনো ইউক্রেনীয় নেতৃত্ব যদি এমন চুক্তির পথে হাঁটে, তবে তা জনসাধারণ মেনে নেবে না। এমনকি যদি কূটনৈতিক পর্যায়ে কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ও বাস্তবে তা কার্যকর করার চেষ্টা কঠোর অভ্যন্তরীণ প্রতিরোধের সম্মুখীন হবে।

এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা নীতিনির্ধারকেরা যদি দ্রুত কোনো সমঝোতা প্রতিষ্ঠার কথা ভাবেন, তবে তাঁরা ইউক্রেনীয় জনগণের ইচ্ছাকে উপেক্ষা করতে পারেন না। যদি তাঁরা সত্যিই একটি দীর্ঘস্থায়ী শান্তি চুক্তি চান, তবে তাঁদের উচিত, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখা। আলোচনার টেবিলে ইউক্রেনের পক্ষে শক্ত অবস্থান ধরে রাখা কেবল তখনই সম্ভব, যখন সামরিক ময়দানে তারা সাফল্য অর্জন করতে পারবে আর তাদের মিত্ররা ঐক্যবদ্ধ থাকবে।

পশ্চিমা দেশগুলোর উচিত ইউক্রেন নিয়ে তাদের নীতিনির্ধারণে রাশিয়ার বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা না দেওয়া। মস্কো তার দুর্বলতা আড়াল করে কেবল শক্তির ভান দেখিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তুবে রাশিয়া অভ্যন্তরীণভাবে নানা সংকটের মুখে রয়েছে।

রুশ কর্মকর্তারা দাবি করে আসছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে। ফলে তাদের সামরিক অভিযান দীর্ঘ মেয়াদে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। রুশ প্রতিনিধিরা নাকি বলেছেন, মস্কোর ব্যবসা-বাণিজ্য ফুলেফেঁপে উঠেছে, রেস্তোরাঁগুলো লোকে লোকারণ্য এবং ইউক্রেনের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে কেবল পশ্চিমা অর্থনীতিই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

রাশিয়ার বার্তাটি স্পষ্ট। তারা যত দিন প্রয়োজন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত। আর পশ্চিমারা ধীরে ধীরে এর চাপ সহ্য করতে না পেরে পিছু হটবে। এ ধারণা থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে কিছু নীতিনির্ধারক মনে করছেন, এমনকি ইউক্রেনের পক্ষ থেকে কিছু ছাড় দিয়ে হলেও দ্রুত একটি শান্তি চুক্তি করাই সবচেয়ে বাস্তবসম্মত পথ।

কিন্তু এটি মোটেও সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি নয়। রাশিয়াকে তুষ্ট করার মানে হবে তাদের আরও আগ্রাসনের সুযোগ দেওয়া। অতীতে দেখা গেছে, আপসের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা রাশিয়াকে আরও আগ্রাসী করে তুলেছে।

ইউক্রেনে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে হলে একটি শক্তিশালী যুদ্ধ-পরবর্তী নিরাপত্তাকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। তা হতে পারে ইউক্রেনের ন্যাটোর সদস্য পদ, দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা চুক্তি বা ইউরোপীয় নেতৃত্বাধীন একটি সুসংগঠিত নিরাপত্তাব্যবস্থা। কিন্তু চুক্তি যা–ই হোক, সেখানে যদি ইউক্রেনের জন্য স্পষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চয়তা না থাকে, তাহলে নতুন করে সংঘাতের ঝুঁকি থেকেই যাবে।

আগামী কয়েক মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ওয়াশিংটন ইউক্রেনে তাদের ভূমিকাকে পুনর্মূল্যায়ন করবে। অনেক কিছুই অনিশ্চিত। তবে একটি ব্যপার স্পষ্ট, এই যুদ্ধ শুধু হারানো ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারের লড়াই নয়, এটি ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখার লড়াইও। এখন প্রশ্ন হলো, পশ্চিমা দেশগুলোর নীতি এই লক্ষ্যকে সমর্থন করবে, নাকি শুধু নিজেদের স্বল্পমেয়াদি স্বার্থের দিকে ঝুঁকবে? এ প্রশ্নের উত্তরই নির্ধারণ করবে এই যুদ্ধের পরবর্তী ধাপ।

মাক্সিম স্ক্রিপচেঙ্কো প্রেসিডেন্ট, ট্রান্সআটলান্টিক ডায়ালগ সেন্টার

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন য় এই য দ ধ পরবর ত র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

৬২০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দীর মুক্তি ছাড়া কোনো আলাপ নয়: হামাস

আগে ফিলিস্তিনি কারাবন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। তাহলেই কেবল গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা করবে হামাস।

হামাস নেতা বাসেম নাঈম গতকাল রোববার এ কথা বলেন।

হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য নাঈম রয়টার্সকে বলেন, ‘মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে শত্রুদের সঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনার শর্ত হচ্ছে আগে ৬২০ বন্দীকে মুক্তি দিতে হবে, যাদের ৬ ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তি এবং ৪ জিম্মির মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার বিনিময়ে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। ছয় জিম্মিকে ও চার মৃতদেহ গত শনিবারই হস্তান্তর করা হয়েছে।’

বাসেম নাঈম জোর দিয়ে আরও বলেন, চুক্তিতে সেসব শর্ত থাকে, শত্রুরাও যেন তা মেনে চলে, তা মধ্যস্থতাকারীদের নিশ্চিত করতে হবে।

শনিবার ছয় ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। তাদের সঙ্গে চার জিম্মির মৃতদেহও হস্তান্তর করা হয়। বিনিময়ে ৬২০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দীকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরায়েলের। কিন্তু ইসরায়েল ফিলিস্তিনি কারাবন্দীদের মুক্তি পিছিয়ে দিয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে গতকাল বলা হয়েছে, ‘পরবর্তী জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এবং জিম্মি মুক্তির সময় অসম্মানজনক অনুষ্ঠান বাতিল না করা পর্যন্ত ৬২০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দী ও বন্দীদের হস্তান্তর করার অপেক্ষা করবে ইসরায়েল।’

ইসরায়েলের অভিযোগ, সম্প্রতি জিম্মি মুক্তি দেওয়ার সময় হামাস জিম্মিদের সঙ্গে ‘অসম্মানজনক আচরণ’ করছে। জাতিসংঘের কর্মকর্তারাও বলেছেন, জিম্মিদের সম্মান রক্ষা পায়নি, যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।

হোয়াইট হাউস থেকেও ইসরায়েলের সিদ্ধান্তে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। গতকাল হোয়াইট হাউস থেকে বলা হয়, ‘হামাস ইসরায়েলি জিম্মিদের সঙ্গে বর্বর আচরণ করেছে। (ফিলিস্তিনি কারাবন্দীদের মুক্তি) পিছিয়ে দেওয়া এর যথাযথ জবাব হয়েছে।’

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র ব্রায়ান হিউস বলেন, ‘হামাস সম্পর্কে ইসরায়েল যে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেবে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাতেই সমর্থন দিতে প্রস্তুত আছেন।’

হামাস জিম্মিদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। ওই অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে মুখোশ পরা হামাসের যোদ্ধারা জিম্মিদের একটি মঞ্চে নিয়ে যান। এ সময় সেখানে উপস্থিত গাজাবাসীর উদ্দেশে জিম্মিদের হাত নাড়াতে এবং বক্তব্যও দিতে দেখা যায়। জিম্মিদের মৃতদেহের কফিনগুলোও ভিড়ের ভেতর দিয়ে আনা হয়।

ইসরায়েল ফিলিস্তিনি বন্দী মুক্তি পিছিয়ে দেওয়ায় বন্দীদের পরিবারগুলোর মধ্য হতাশা নেমে এসেছে।

আরও পড়ুনছয় জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দিলেন না নেতানিয়াহু২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ইসরায়েলের কারাগার থেকে শনিবার মুক্তি পাবেন ভাই, গাজায় সেই অপেক্ষায় ছিলেন ঘাসান ওয়াশাহি। তিনি বলেন, ‘প্রতিবার কারাগার থেকে কে কে মুক্তি পাচ্ছেন, তার একটি তালিকা দেওয়া হয়। আমরা অপেক্ষা করি, আশায় থাকি, এবার হয়তো আমার ভাই ইসলামের নাম আসবে, কিন্তু কখনো তাঁর নাম তালিকায় থাকে না।’

তাঁর মা ছেলের মুক্তির আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন বলেও জানান ঘাসান ওয়াশাহি। তিনি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত যখন মুক্তির তালিকায় তাঁর নাম এল, ইসরায়েল চুক্তিই স্থগিত করে দিল।’

গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলছে। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের ৪২ দিনে হামাসের মোট ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাড়তে পারে রাতের তাপমাত্রা
  • অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কুয়েট, হল ত্যাগের নির্দেশ
  • কুয়েট এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, বুধবার সকালেই হল ত্যাগের নির্দেশ
  • পরবর্তী তথ্য উপদেষ্টা হিসেবে যাঁকে নিয়ে আলোচনা
  • ফেনীতে সমন্বয়ক পরিচয়ে ঘরে ঢুকে তল্লাশি, আটক ৫
  • বিসিবির প্রস্তাবে পিসিবির সাড়া, জুলাইয়ে বাংলাদেশে যাবে পাকিস্তান দল
  • সিদ্ধিরগঞ্জে বাবা মায়ের সাথে অভিমান ঘর ছাড়লো স্কুল ছাত্র শুভ  
  • কক্সবাজারে বিমানঘাঁটিতে সংঘর্ষের ঘটনার বিবরণ ও ব্যাখ্যা আইএসপিআরের
  • ৬২০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দীর মুক্তি ছাড়া কোনো আলাপ নয়: হামাস