অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর নামে ব্যাঙের নতুন প্রজাতি, কেন
Published: 26th, February 2025 GMT
ব্যাঙের নতুন আবিষ্কৃত এক প্রজাতির নামকরণ করা হয়েছে হলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর নামে। সম্প্রতি গবেষকেরা ইকুয়েডরের ওয়েস্টার্ন মাউন্টেন ফরেস্টে একটি ছোট বাদামি উভচর ব্যাঙের সন্ধান পেয়েছেন। সেই ব্যাঙের নামকরণ করা হয়েছে ফিলোন্যাসটেস ডিক্যাপ্রিও। এই ব্যাঙ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৩৩০ মিটার থেকে ১ হাজার ৭০৫ মিটার উচ্চতায় বাস করে।
গবেষকদের তথ্যমতে, নতুন আবিষ্কৃত প্রজাতির ব্যাঙ শরীরের আকার ও স্বতন্ত্র আঙুলের কারণে অন্য সব ব্যাঙের চেয়ে আলাদা। নতুন ব্যাঙটি ইকুয়েডরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োডাইভারসিটি, ইকুয়েডরের ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি ও সান ফ্রান্সিসকো ইউনিভার্সিটি অব কুইটোর গবেষকদের আবিষ্কৃত সাতটি নতুন প্রজাতির মধ্যে একটি। নতুন প্রজাতির ব্যাঙগুলো বন উজাড় ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হুমকির মুখে রয়েছে। লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও অনেক বছর ধরেই পরিবেশগত বিভিন্ন কাজে যুক্ত থাকায় তাঁর নামে ব্যাঙের নতুন প্রজাতির নামকরণ করা হয়েছে।
টেলিগ্রাফ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ের বিরুদ্ধে দেড় বছরের শিশুকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় ঘুমিয়ে থাকা দেড় বছরের শিশু খাদিজা খাতুনকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা অভিযোগ উঠেছে মার বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের বাটরা গ্রামে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। অভিযুক্ত মাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী।
নিহত খাদিজা খাতুন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের মেয়ে।
গ্রেপ্তারকৃতের নাম আসমা খাতুন (২৪)। তিনি কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের স্ত্রী ও বাটরা গ্রামের আব্দুল মাজেদের মেয়ে।
আরো পড়ুন:
পরকীয়ার জের, প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে হত্যা
নোমানী হত্যার আসামিকে কোপানোর দৃশ্য ভাইরাল, জড়িতরা অধরা
গ্রেপ্তার আসমার বোন রেশমা খাতুন জানান, ২০২১ সালের জুন মাসে তার বোন আসমার সঙ্গে একই উপজেলার কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুই সন্তানের জন্ম হয়। সম্প্রতি আসমা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) আসমাকে চিকিৎসার জন্য শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে আনেন মা আলেয়া খাতুন।
আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসমা তার মেয়ে খাদিজাকে ঘরের বারান্দায় ঘুম পাড়াচ্ছিল। মা আলেয়া মেয়ে আসমাকে ডাক্তারের কাঝে নেওয়ার জন্য ভ্যান আনতে যান। কিছুক্ষণ পর আসমা রান্না ঘর থেকে বটি নিয়ে খাদিজাকে কুপিয়ে হত্যা করে। স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোজাব্বর হোসেন বলেন, “শিশু সন্তানকে হত্যার পর আসমা সেখানেই বসে ছিল। মানসিক ভারসাম্য হারানোর ফলে এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন তিনি।”
কলারোয়া থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “আসমা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশু খাদিজার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ