জেলের দেয়াল ভেঙে পালায় আবরার হত্যায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জেমি
Published: 26th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া মুনতাসির আল জেমি কারাগার থেকে পালানোর ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে কারা অধিদপ্তর। সেখানে বলা হয়, ৮৭ জন মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বন্দিসহ ২০২ জন গত ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যায়। তাদের মধ্যে জেমিও ছিল।
এ ঘটনায় ১৫ আগস্ট কোনাবাড়ী থানায় মামলা করে কারা কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সব কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়। এর আগে সোমবার রাতে আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ ফেসবুক পোস্টে জেমির পালানোর বিষয়টি সামনে আনেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। পরে সোমবার গভীর রাতে কারা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) জান্নাত-উল-ফরহাদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আবরার হত্যায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জেমি গত ৬ আগস্ট কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যায়। ইতোমধ্যে ৩৫ জন মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বন্দিসহ ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জেমিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। ওই মামলায় দণ্ডিত ২২ জনের মধ্যে ২১ জন বর্তমানে কারাগারে আছে।
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী পিটিয়ে হত্যা করে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আবর র ফ
এছাড়াও পড়ুন:
তটিনীর ভ্রমণকাহিনি: সূর্যাস্তের সেই সৌন্দর্য আজও মনে গেঁথে আছে
নাটকের শুটিংয়ে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন অভিনয়শিল্পী তানজিম সাইয়ারা তটিনী। কাজে একটু ফুরসত পেলেই ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশটির এ-শহর, ও-শহর। শোনালেন তেমনই একটি অভিজ্ঞতা।
অস্ট্রেলিয়ায় একাধিক নাটকের শুটিং। তাই বলে একটু ঘুরব না! সহশিল্পী খায়রুল বাসারের সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে কথাও বলেছিলাম। কিন্তু সিডনিতে টানা শুটিংয়ে সময় বের করাটাই কঠিন হয়ে পড়ল। একঘেয়েমিও পেয়ে বসল। মন চাইছিল কোথাও একটু ঘুরতে যাই। এর মধ্যেই পাওয়া গেল বিরতি। সময়টা ঘুরেফিরে কাটাতে পারলে মন্দ হয় না। ব্যবস্থা করে দিল আমার কাজিন। সে-ও আমার অবসরের অপেক্ষায় ছিল সস্ত্রীক। সিদ্ধান্ত হলো তাদের সঙ্গে লা-পেরুজে যাব।
হলিউডের অনেক সিনেমার শুটিং সিডনির এই শহরতলিতে হয়েছে। জায়গাটা পর্দায় দেখা। সিনেমার সেসব দৃশ্যের কথা মনে পড়তেই আনন্দে নেচে উঠল মন। লা পেরুজের সূর্যাস্তের কথা তো কতই শুনেছি। পরে আমার কাজিনদের কাছ থেকেও জানলাম। তারাও অনেকবার গিয়েছে।
লা পেরুজে পৌঁছেই মনটা ভালো হয়ে গেল। পরিচ্ছন্ন আর খোলামেলা সৈকত, আবহাওয়াটাও দারুণ।
গাঙচিলদের সঙ্গে কিছুটা সময়