বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া মুনতাসির আল জেমি কারাগার থেকে পালানোর ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে কারা অধিদপ্তর। সেখানে বলা হয়, ৮৭ জন মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বন্দিসহ ২০২ জন গত ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যায়। তাদের মধ্যে জেমিও ছিল।

এ ঘটনায় ১৫ আগস্ট কোনাবাড়ী থানায় মামলা করে কারা কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সব কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়। এর আগে সোমবার রাতে আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ ফেসবুক পোস্টে জেমির পালানোর বিষয়টি সামনে আনেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। পরে সোমবার গভীর রাতে কারা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) জান্নাত-উল-ফরহাদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আবরার হত্যায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জেমি গত ৬ আগস্ট কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যায়। ইতোমধ্যে ৩৫ জন মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বন্দিসহ ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জেমিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। ওই মামলায় দণ্ডিত ২২ জনের মধ্যে ২১ জন বর্তমানে কারাগারে আছে।

২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী পিটিয়ে হত্যা করে। 


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আবর র ফ

এছাড়াও পড়ুন:

মার্কিন নাগরিকত্ব কেনা যাবে ৫০ লাখ ডলারে: ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন নাগরিকত্ব পেতে হলে খরচ করতে হবে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। ট্রাম্প মূলত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ইবি-৫ ভিসার পরিবর্তে ৫০ লাখ ডলারের একটি ‘গোল্ড কার্ড’ চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন। এই ‘গোল্ড কার্ড’ দিয়ে পরে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বও পাওয়া যাবে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নতুন এই নীতির কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নতুন এই নীতি বাস্তবায়ন হলে ১০ লাখ কার্ড বিক্রি হবে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট। 

বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা সেই কার্ডের মূল্য নির্ধারণ করছি প্রায় ৫০ লাখ ডলার। এটি আপনাকে গ্রিন কার্ডের সুবিধা দেবে এবং এটিতেই (আমেরিকান) নাগরিকত্বের পথও খুলে যাবে এবং এই কার্ডটি কিনে ধনী ব্যক্তিরা আমাদের দেশে আসবেন।এখানে এসে তারা প্রচুর অর্থ ব্যয় করবেন, কর দেবেন, সেই সঙ্গে কর্মসংস্থানও তৈরি করবেন। এ দেশে এসে তারা সফল হবেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই নতুন প্রক্রিয়া চালু হয়ে যাবে। এর জন্য মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করেন না ট্রাম্প। তবে কীভাবে গোল্ড কার্ড পাওয়া যাবে বা এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হবে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারণা দেননি মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট।

অনেকের মতে, নতুন গোল্ড কার্ড চালু হলে বর্তমান ‘ইবি-৫ প্রোগ্রাম’-এর ওপর প্রভাব পড়তে পারে। মূলত ‘ইবি-৫ প্রোগ্রাম’-এর মাধ্যমে অভিবাসী বিনিয়োগকারীরা আমেরিকায় গ্রিন কার্ড পেয়ে থাকেন। এছাড়া নতুন ‘গোল্ড কার্ড’ চালু হলে ‘ইবি-৫ প্রোগ্রাম’ আর থাকবে না বলেই মনে করছেন অনেকে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ