মতপার্থক্য থাকবে, ঐক্যের জায়গা চিহ্নিত করতে হবে: আলী রিয়াজ
Published: 26th, February 2025 GMT
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেছেন, ‘সমাজে মতপার্থক্য থাকবে, ভিন্নমত থাকবে। কিন্তু সহিষ্ণুতা থাকতে হবে। ঐক্যের জায়গাটা চিহ্নিত করতে হবে।’ গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক বাংলাদেশ’-এর সম্পাদক ডা.
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ভিন্ন কথা বলতে পারে, কারণ তারা ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দল। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে পার্থক্য থাকবেই। দেখতে হবে ঐক্যের জায়গাটা কোথায়। ঐক্যের জায়গাটা চিহ্নিত করতে হবে। সেই সনদ তৈরি করতে হবে যা আসলে সামাজিক চুক্তি হিসেবে ব্যবহৃত হবে, যেটি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য দিকনির্দেশনা দেবে। এটিই হবে বাংলাদেশের সনদ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ চায় নিরাপত্তা, ভোটের অধিকার এবং সরকার যেন তাকে না জানিয়ে যা খুশি তা করতে না পারে। মতপার্থক্যকে শত্রুভাবাপন্ন ভাবলে হবে না।
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আজকেও যারা গৃহযুদ্ধের ভয় দেখাচ্ছে, সেটি আমার কাছে অমূলক মনে হয়। গৃহযুদ্ধ হতে হলে বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ে বিভক্ত একটা দেশ লাগে।’
প্রকাশনা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন আহমদ পাবলিশিং হাউসের প্রকাশক মেছবাহ উদ্দিন আহমদ। চ্যানেল আইয়ের সাংবাদিক আদিত্য শাহীনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আব্দুল্লাহ, আমেরিকা বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের কো-চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান হাসান ও নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবিতে ট্যুরিজম কার্নিভাল শুরু
ঢাকা ইউনিভার্সিটি ট্যুরিস্ট সোসাইটির (ডিইউটিএস) উদ্যোগে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ ট্যুরিজম কার্নিভাল শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে এ আয়োজন করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কার্নিভাল উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিইউটিএস এর উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইসতিয়াক এম সৈয়দ, মাউন্ট এভারেস্ট জয়ী ষষ্ঠ বাংলাদেশী বাবর আলী, বিশ্ব রেকর্ডধারী সাইক্লিস্ট ও অভিযাত্রী তাম্মাত বিল খোয়ার প্রমুখ।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান কার্নিভালের বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং দেশের পর্যটন খাতের টেকসই উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের জন্য তিনি যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
কার্নিভালের প্রথমদিনে ঐতিহ্যবাহী ও বাণিজ্যিক প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য তুলে ধরা হয়। এছাড়া ইকো-ট্যুরিজম এবং টেকসই পর্যটন নিয়ে সেমিনার ও টক-শো আয়োজন করা হয়।
দুই দিনব্যাপী কার্নিভালে কুইজ প্রতিযোগিতা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি, সাংস্কৃতিক পরিবেশনাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী