কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় ছুরিকাঘাতে সীমা বেগম (৪০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যু নিয়ে স্বজন ও পুলিশের ভিন্ন ভাষ্য পাওয়া গেছে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম দাবি করেন, অনৈতিক সম্পর্কের জেরে ওই নারীকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ইমাম হোসেন নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

গ্রেপ্তার ইমামের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই নারীর সঙ্গে ইমামের বেশ কিছুদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মাঝে কোনো বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। এর এক পর্যায়ে গতকাল সীমা কেরানীগঞ্জের আমবাগিচা বউবাজার এলাকায় নাজিম উদ্দিনের বাসায় যান। সেখানেই ভাড়া থাকতেন তিনি। সন্ধ্যা ৬টার দিকে সীমাকে ছুরিকাঘাত করে ইমাম। ছুরিকাঘাত করে পালানোর সময় আশপাশের লোকজন ইমামকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। আহত অবস্থায় তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।

সীমার স্বামী আক্তার হোসেন বলেন, সন্ধ্যার দিকে মেয়েকে কোচিং থেকে নিয়ে ফেরার পথে ছিনতাইকারীরা আমার স্ত্রীকে কুপিয়ে টাকা ও কানের দুল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে আমি খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক জানান, সে আর বেঁচে নেই। তার মাথায়, হাতে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সীমার বাড়ি মাদারীপুর জেলার সদর থানার বড়কান্দি এলাকায়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কৃষিপণ্য আমদানিতে বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহারে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

অত্যাবশকীয় কৃষি ও শিল্পকারখানার ব্যবহৃত যন্ত্র এবং যন্ত্রাংশের সব পর্যায়ে আরোপিত বর্ধিত মূল্যসংযোজন কর প্রত্যাহারে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এই সময়ের মধ্যে ভ্যাট প্রত্যাহার করা না হলে বৃহস্পতিবার দুপুরে ২ ঘণ্টার মানববন্ধন শেষে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। 

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘বৈষম্যমূলক ভ্যাট ও কর বৃদ্ধি প্রতিরোধ কমিটি’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আড়াই শতাংশ বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের আহ্বায়ক সহিদুল হক মোল্লা বলেন, সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশক্রমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত ডিজেল ইঞ্জিন মোটরপাম্প, অগভীর ও গভীর পাম্প (সাবমারসিবল পাম্প) শিল্প-কলকারখানার ব্যবহৃত মেশিনারিজ ও যন্ত্রাংশের ওপর কর ও ভ্যাট বৃদ্ধি করেছে। এতে আমরা ব্যবসায়ীরা এবং কৃষক সমাজ হতাশ ও উদ্বিগ্ন। সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলাপ-আলোচনা ছাড়াই গত ৯ জানুয়ারি এই কর বৃদ্ধি সংক্রান্ত গেজেট নোটিফিকেশন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার কর ও ভ্যাট ব্যাপক হারে বৃদ্ধি করায় ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। ক্রেতা সাধারণও পণ্য কিনতে আগ্রহ হারিয়েছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে। দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে হলে কর-ভ্যাট সহনীয় পর্যায়ে রাখা একান্ত জরুরি। কর হার বৃদ্ধি হলে কর ফাঁকির প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। এর সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করে আমলাতন্ত্র। সাধারণ জনগণের কোনো উপকার হয় না।
বাংলাদেশের বাস্তবতায় সুনাগরিক ও সুশিক্ষিত জনসম্পদ গড়ে তোলা না গেলে শুধু করের হার বৃদ্ধি করলেই রাষ্ট্র তার সুফল পাবে না।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সদস্য সচিব শহীদুল হক শহীদ, যুগ্ম সদস্য সচিব শহীদুল ইসলাম স্বপন, ব্যবসায়ী  কামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল মেশিনারী মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পিভিসি পাইপ ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মটর পার্টস অ্যান্ড টায়ার টিউব মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনসহ ৩৫টি সংগঠনের সদস্যরা। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ