রাঙামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় শতকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। শুধু ৩৪টি কটেজ-রিসোর্ট পুড়েই ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সাজেকে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকার কারণেই বড় ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সহায়সম্বল হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্তরা এখন দিশেহারা। বিশেষ করে ত্রিপুরা ও লুসাই সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ পরিবার এখনও সরকারি সহায়তা পায়নি। তারা গির্জা, মন্দির ও স্বজনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে, আগুনের ঘটনার পরই জেলা প্রশাসন পর্যটক ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও মঙ্গলবার বিকেলে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। অন্যদিকে প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে তদন্ত কমিটি এখনও কাজ শুরু করেনি। গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা গেছে, আগুনের বীভৎসতা এখনও চারদিকে ছড়িয়ে আছে। কিছু কিছু স্থানে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। 
থাঙগা লুসাই বলেন, তাঁর ওষুধের দোকানসহ তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার রুপা চাকমা জানান, ছোট একটা দোকান দিয়েছিলেন। সব পুড়ে গেছে। তিনি এখনও সরকারি কোনো সহায়তা পাননি। 
স্থানীয় কারবারি অনিল ত্রিপুরা জানান, তাঁর দুটি রিসোর্ট পুড়ে গিয়ে দেড় কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। 
সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল আমিন জানান, মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে আগুন নিভে যায়। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘সঙ্কটাপন্ন’

রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের স্বাস্থ্য গত ২৪ ঘণ্টায় অবনতি হয়েছে।

রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

৮৮ বছর বয়সী এই ধর্মগুরুকে শ্বাসনালীর প্রদাহ ব্রঙ্কাইটিস চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ইতালির রোমে অগস্টিনো জেমেল্লি ইউনিভার্সিটি পলিক্লিনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তী সময়ে তার উভয় ফুসফুসে নিউমোনিয়া ধরা পড়ে।

শনিবার এক বিবৃতিতে ভ্যাটিকান জানায়, পোপ ফ্রান্সিস দীর্ঘদিন ধরে হাঁপানির মতো শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। গতকালের চেয়ে তার অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ধর্মগুরুর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। তিনি বিপদমুক্ত নন।

ভ্যাটিকান জানায়, পোপ তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে এখনও সচেতন এবং সারাদিন একটি চেয়ারে বসে কাটিয়েছেন। যদিও তার শারীরিক অবস্থা গতকালের চেয়েও খারাপ। অতিরিক্ত অক্সিজেনের পাশাপাশি পোপের রক্ত​সঞ্চালনেরও প্রয়োজন। পরীক্ষায় দেখা গেছে তার প্লাটিলেটেও কমে গেছে।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে বেশ কয়েক দিন ধরে ব্রঙ্কাইটিসের লক্ষণ ছিল পোপের। এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি ভ্যাটিকান এক বিবৃতিতে জানায়, পোপ ফ্রান্সিসকে জটিল শারীরিক অবস্থার কারণে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যত দিন প্রয়োজন, তত দিন হাসপাতালে থাকবেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেষ সময়েও নতুন দলের নেতৃত্বে টানাপোড়েন
  • সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার 
  • মান্নাকে নির্বাচনী এলাকায় ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা
  • এখনও খেলছেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ, অবাক কার্তিক
  • সংসদ নির্বাচন আয়োজনে ইসি পুরোনো পথে
  • দ্বিতীয় কিস্তির টাকা মেলেনি বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি
  • ইংরেজি-বাংলার আগ্রাসনে সংকুচিত নৃগোষ্ঠীর ভাষা
  • নাহিদ উপদেষ্টার পদ ছাড়বেন মঙ্গলবার, দল ঘোষণা পরদিন
  • পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘সঙ্কটাপন্ন’