দুর্ঘটনার কবলে রোনালদোদের বাস, এরপর রোনালদো গোলেই এগিয়ে আল নাসর
Published: 25th, February 2025 GMT
সৌদি প্রো লিগে সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না আল নাসরের। আগের ম্যাচে আল ইত্তিফাকের কাছে হেরে পয়েন্ট তালিকার চারে নেমে গেছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দল। শীর্ষে থাকা আল ইত্তিহাদের চেয়ে ১১ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকায় শিরোপার লড়াইয়েও অনেক পেছনে পড়েছে রিয়াদের ক্লাবটি।
এবার মাঠের বাইরে থেকেও এল বড় দুঃসংবাদ। মক্কার ক্লাব আল ওয়েহদার বিপক্ষে খেলতে স্টেডিয়ামে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে আল নাসরের বাস। বাসটিতে রোনালদো, সাদিও মানে, আইমেরিক লাপোর্তের মতো তারকাসহ সব খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফ ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, চলন্ত বাসটির সামনের অংশ রাস্তার সঙ্গে আটকে গেছে। এতে বাসের সামান্য ক্ষতি হলেও সবাই অক্ষত ছিলেন।
মক্কার কিং আবদুলআজিজ স্টেডিয়ামে আল ওয়েহদা–আল নাসর ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়। কিন্তু দুর্ঘটনার শিকার রোনালদোরা যথাসময়ে মাঠে পৌঁছাতে না পারায় খেলা শুরু হয়েছে রাত ১১টায়।
প্রথমার্ধ গোল বন্ধ্যাত্বে কাটলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ‘ডেডলক’ ভেঙেছেন রোনালদো। ৪৮ মিনিটে পর্তুগিজ মহাতারকার গোলেই এগিয়ে গেছে আল নাসর। সৌদি প্রো লিগের এবারের মৌসুমে এটি তাঁর ১৭তম গোল, ছাড়িয়ে গেছেন ১৬ গোল করা আল ইত্তিহাদের করিম বেনজেমাকে।
সৌদি আরবের দৈনিক ‘ওকাজ’–এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো দল নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে মাঠে এলে ১০ হাজার রিয়াল (৩ লাখ ২৩ হাজার টাকা) জরিমানা করার নিয়ম আছে। কিন্তু রোনালদোদের বাস দুর্ঘটনার শিকার হওয়ায় জরিমানা নাও করা হতে পারে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন র
এছাড়াও পড়ুন:
মধ্যরাতে সাংবাদিককে অবরুদ্ধ, পরে পুলিশে হস্তান্তর
নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে মধ্যরাতে জামাল হোসেন (৪৫) নামের এক সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। এরপর তাঁকে পুলিশের হস্তান্তর করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের টাউনহল মোড়–সংলগ্ন ফ্ল্যাট রোডে এ ঘটনা ঘটে। একদল তরুণ তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
জামাল হোসেন দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি ও নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। একটি কুরিয়ার সার্ভিসের স্থানীয় পরিবেশক হিসেবেও রয়েছেন তিনি।
জামাল হোসেনের ব্যবসায়িক অংশীদার মো. জিহাদ প্রথম আলোকে বলেন, রাতে তিনি জামাল হোসেনের সঙ্গে নিজেদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় কয়েকজন তরুণ জামাল হোসেনের কাছে এসে তাঁর পরিচয় জানতে চান। একপর্যায়ে গণজাগরণ মঞ্চের ব্যানারে যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবিতে আয়োজিত একটি মানববন্ধনের ছবি দেখিয়ে সেখানে জামাল হোসেনের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন।
মো. জিহাদ আরও বলেন, জামাল হোসেন ওই তরুণদের পরিচয় জানতে চাইলে ইয়াছিন আরাফাত নামের তাঁদের একজন নিজেকে জাতীয় নাগরিক কমিটির লোক দাবি করেন। এরপর জামাল হোসেনের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের কারণে আমাদের নেতাদের ফাঁসি হয়েছে।’ জামাল হোসেন তখনকার পরিপ্রেক্ষিতে মানববন্ধনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেন। এর মধ্যে আরও কিছু তরুণ সেখানে জড়ো হয়ে তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে তাঁকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জামাল হোসেনকে অবরুদ্ধ করে রাখার বিষয়ে জানতে চেয়ে আজ বুধবার দুপুরে ইয়াছিন আরাফাত নামের ওই তরুণকে ফোন করা হয়। তখন তিনি বলেন, ‘ভাই এটা সেন্ট্রাল বিষয়। আমি থানায় আছি। এখানে সবাই আছেন।’ এরপর তিনি ফোন কেটে দেন।
জানতে চাইলে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ইসহাক খোন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাংবাদিক জামাল হোসেনকে কারা অবরুদ্ধ করেছেন কিংবা পুলিশে দিয়েছেন, তা তিনি জানেন না। যাঁদের নাম শুনছেন, তাঁদের তিনি চেনেন না। এ ছাড়া সাংগঠনিকভাবে জামায়াতের এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেই।’
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় সুনির্দিষ্টভাবে কোনো মামলা নেই। গতকাল মধ্যরাতে লোকজন তাঁকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ ছাড়া তখন তাঁকে পুলিশ উদ্ধার না করলে অপ্রীতিকর ঘটনারও আশঙ্কা ছিল। ওসি আরও বলেন, যাঁরা তাঁকে আটক করেছেন, তাঁরা আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। বিষয়টি নিয়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।