সৌদি প্রো লিগে সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না আল নাসরের। আগের ম্যাচে আল ইত্তিফাকের কাছে হেরে পয়েন্ট তালিকার চারে নেমে গেছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দল। শীর্ষে থাকা আল ইত্তিহাদের চেয়ে ১১ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকায় শিরোপার লড়াইয়েও অনেক পেছনে পড়েছে রিয়াদের ক্লাবটি।

এবার মাঠের বাইরে থেকেও এল বড় দুঃসংবাদ। মক্কার ক্লাব আল ওয়েহদার বিপক্ষে খেলতে স্টেডিয়ামে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে আল নাসরের বাস। বাসটিতে রোনালদো, সাদিও মানে, আইমেরিক লাপোর্তের মতো তারকাসহ সব খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফ ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, চলন্ত বাসটির সামনের অংশ রাস্তার সঙ্গে আটকে গেছে। এতে বাসের সামান্য ক্ষতি হলেও সবাই অক্ষত ছিলেন।

মক্কার কিং আবদুলআজিজ স্টেডিয়ামে আল ওয়েহদা–আল নাসর ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়। কিন্তু দুর্ঘটনার শিকার রোনালদোরা যথাসময়ে মাঠে পৌঁছাতে না পারায় খেলা শুরু হয়েছে রাত ১১টায়।

প্রথমার্ধ গোল বন্ধ্যাত্বে কাটলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ‘ডেডলক’ ভেঙেছেন রোনালদো। ৪৮ মিনিটে পর্তুগিজ মহাতারকার গোলেই এগিয়ে গেছে আল নাসর। সৌদি প্রো লিগের এবারের মৌসুমে এটি তাঁর ১৭তম গোল, ছাড়িয়ে গেছেন ১৬ গোল করা আল ইত্তিহাদের করিম বেনজেমাকে।

সৌদি আরবের দৈনিক ‘ওকাজ’–এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো দল নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে মাঠে এলে ১০ হাজার রিয়াল (৩ লাখ ২৩ হাজার টাকা) জরিমানা করার নিয়ম আছে। কিন্তু রোনালদোদের বাস দুর্ঘটনার শিকার হওয়ায় জরিমানা নাও করা হতে পারে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন র

এছাড়াও পড়ুন:

পাবিপ্রবিতে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে উত্তেজনা, খেলা স্থগিত

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) শহীদ জাহিদ আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের অভিযোগে খেলোয়াড় ও দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে খেলা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অর্থনীতি বিভাগ বনাম ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের মধ্যকার বৃষ্টিবিঘ্নিত ফাইনাল ম্যাচে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগ টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। নির্ধারিত ১০ ওভারে তারা অর্থনীতি বিভাগকে ১০৬ রানের টার্গেট দিলে খেলায় বৃষ্টি হানা দেয়। ফলে রবিবার বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচের বাকী অংশ শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দুপুর তিনটায় ১০৬ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামে অর্থনীতি বিভাগ। ছন্দহীন খেলায় ৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৭৯ রান করে তারা। শেষ ওভারে অর্থনীতি বিভাগের প্রয়োজন ছিল ৬ বলে ২৭ রান, হাতে ছিল ৩ উইকেট। নিশ্চিত জয়ের ম্যাচে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধিনায়ক সিজান বল হাতে তুলে দেন বাঁহাতি বোলার সজীবের হাতে। অর্থনীতি বিভাগের স্টাইকিংয়ে তখন ব্যাটসম্যান মনিরুল, নন স্টাইকিংয়ে আসাদুল।

স্টাইকিংয়ে থেকে মনিরুল সজীবের বলে পরপর তিনটি ছক্কা মারেন। এরপর এক রান নিয়ে আসাদুলকে স্টাইক দেন। আসাদুল আবার এক রান নিয়ে মনিরুলকে স্টাইক দেন। ফলে শেষ বলে প্রয়োজন হয় ৭ রান। 

শেষ বলে করার জন্য বোলার সজীব দৌড় শুরু করেন। একই সময়ে ডিপ মিড উইকেট থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধিনায়ক সিজান ৩০ গজের মধ্যে দৌড়ে ঢুকে বোলার সজীবকে থামাতে এগিয়ে যান। কিন্তু অধিনায়ক সিজান সজীবকে থামানোর আগেই সজীব বল করে দেয় এবং ব্যাটিং মনিরুল কাভার অঞ্চল দিয়ে গড়িয়ে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেন। বল সীমানা পাড় হওয়ার পর আম্পায়ার চারের ঘোষণা দিয়ে দেন। 

এ সময় বলটি নো দাবি করে অর্থনীতি বিভাগের খেলোয়াড় ও দর্শকরা আম্পায়ারের দিকে তেড়ে যান এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দর্শকরা জয়ের আনন্দে পাঠে নেমে পড়েন। এরপর দুই বিভাগের দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। মাঠে উপস্থিত শিক্ষকরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও উত্তেজনা চলতে থাকে। 

এরপর আয়োজক কমিটির মধ্যস্থতায় দুইদলের অধিনায়ক এবং শিক্ষকদের মাঠে ডাকেন দায়িত্বরত আম্পায়ারা। তারা জানান, শেষ বলে যে অধিনায়ক সিজান যে ডিপ মিড উইকেট থেকে দৌড়ে বোলারকে থামাতে আসেন, তারা এটা দেখতে পাননি। তাদের নজর বল আর ব্যাটসম্যানের দিকে ছিল। মাঠে কি হচ্ছে এটা তারা দেখননি।

পরে ঝামেলা শুরু হওয়ার পর তারা খেলার লাইভ দেখে নিশ্চিত হন অধিনায়ক সিজান ডিপ মিড উইকেট থেকে দৌড়ে এসে বোলারকে থামাতে চেষ্টা করেন। এজন্য তারা দুইজন দুই দলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। এরপর তারা শেষের বলটিকে ডেঢথ ঘোষণা করে দুইদলকে মাঠে নামার অনুরোধ করেন। তবে অর্থনীতি বিভাগ আম্পায়ারের এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে রাজি হয়নি। অর্থনীতি বিভাগের এই সিদ্ধান্তের ফলে শেষ পর্যন্ত বল মাঠে গড়ায়নি। 

অর্থনীতি বিভাগের দাবি, আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী বোলার বল শুরু করা থেকে বলটি মাটিতে ফেলা পর্যন্ত কোন খেলোয়ার তার জায়গা পরিবর্তন করতে পারবেনা। যদি কোন খেলোয়ার তার জায়গা পরিবর্তন করেন তাহলে বলটি নো হবে এবং পাঁচ রান পেনাল্টি হবে। কিন্তু ইইই এর অধিনায়ক বলারকে থামাতে পিচের মধ্যেই ঢুকে পরে। সে হিসেবে শেষের বলটি নো হয়েছে এবং ব্যাটসম্যান চার মেরেছেন। সে হিসেবে শেষ বলে ছয় রান হয় এবং পেনাল্টি পাঁচ রান হলে শেষ বলে মোট রান এগারো রান হয়। ফলে তারা ম্যাচে জয়লাভ করেন।

ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দাবি, খেলার সব সিদ্ধান্ত আম্পায়ারের কাছে। আম্পায়ার শেষ বলটি চার ঘোষণা করেছেন। আম্পায়ার বলটি চার ঘোষণার পরেই খেলার ফলাফল চূড়ান্ত হয়ে যায় এবং তারা ম্যাচে জয়লাভ করেন। 

এদিকে, এ বিষয়ে সন্ধ্যার পরেও কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি খেলা টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটি। তারা জানিয়েছেন, দুই একের মধ্যে দুই বিভাগের সঙ্গে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

এ বিষয়ে টুর্নামেন্টের আহ্বায়ক ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, “আমি ছুটিতে থাকার কারণে মাঠে উপস্থিত থাকতে পারিনি। আপাতত খেলার ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। আমি গিয়ে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।”

ঢাকা/আতিক/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাবিপ্রবির ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় হ য ব র ল
  • ঘরের মাঠে পাকিস্তান সিরিজের চেষ্টা বিসিবির   
  • জাতিসংঘের ভোটাভুটিতে রাশিয়াকে দোষারোপে রাজি হয়নি যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয়দের সঙ্গে বিভক্তি
  • দূরদূরান্ত থেকে ভাবির হোটেলে যে কারণে খেতে আসেন লোকজন
  • কুয়েট হামলায় সরকার কি দায় এড়াতে পারবে
  • নতুন মামলায় গ্রেপ্তার আমির হোসেন আমু
  • কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলেন না আমু
  • পঞ্চকবিকে নিয়ে ‘পঞ্চদ্যুতি’
  • পাবিপ্রবিতে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে উত্তেজনা, খেলা স্থগিত