Samakal:
2025-04-18@00:15:26 GMT

বিশ্বমঞ্চে দেশের উদ্যোক্তা

Published: 25th, February 2025 GMT

বিশ্বমঞ্চে দেশের উদ্যোক্তা

বাংলাদেশের বহুজাতিক আইটি পরিষেবায় জড়িত রিভ সিস্টেমস মার্চের প্রথম সপ্তাহে স্পেনের বার্সেলোনায় অনুষ্ঠেয় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে (এমডব্লিউসি) অংশগ্রহণ করবে। টেলিকম প্রযুক্তির বিশেষ আয়োজনে তারা এআই ও টেলিকম সফটওয়্যার পণ্য প্রদর্শন করবে বলে জানায়।
রিভ গ্রুপের সিইও এম রেজাউল হাসান বলেন, কংগ্রেসে নতুন সংযোজিত সবকটি প্রযুক্তি প্রদর্শনের উদ্যোগ নিয়েছি। নিজেদের উদ্ভাবিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং টেলিকম পরিষেবা বা পণ্য অপারেটরদের টেলিযোগাযোগ সেবা ও গ্রাহকসেবা খাতের উন্নয়নে সহায়ক শক্তি হবে।
রিভ সিস্টেমসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সৌদি টেলিকম কুয়েতের (এসটিসি কুয়েত) সঙ্গে সফল প্রকল্পের প্রসঙ্গে বলেন, এসটিসি কুয়েতের জন্য রিভ এআই পরিচালিত চ্যাটবট ও লাইভ চ্যাট সল্যুশন দিয়েছে, যা লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল, কয়েকটি ভাষায় গ্রাহকসেবা ও কিছু ডিজিটাল বা সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত। ইতোমধ্যে কয়েকটি বৈশ্বিক টেলিকম অপারেটর রিভ সল্যুশনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে রিভ সিস্টেমের চ্যাটবট ও লাইভচ্যাট ব্যবহৃত হচ্ছে, যার মধ্যে বিকাশ ও গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স অনতম।
ই-কমার্স খাতের জন্য রিভ উদ্ভাবিত নতুন প্রযুক্তি ‘ভার্চুয়াল  ট্রায়াল  রুম’ উন্মোচন করে, যা গ্রাহককে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অগমেন্টেড রিয়েলিটির অভিজ্ঞতা দেবে। ফলে গ্রাহক পণ্য কেনার আগেই ভার্চুয়ালি তা দেখার সুযোগ পাবেন।
‘ভার্চুয়াল  ট্রায়াল  রুম’ ডিজিটাল ও ফিজিক্যাল অভিজ্ঞতায় গ্রাহককে নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি করবে। অন্যদিকে, অনলাইন কেনাকাটাকে উৎসাহিত করবে বলে উদ্যোক্তারা জানান। টেলিকম খাতের জন্য রিভ তার সবকটি সল্যুশন প্রদর্শন করবে, যা অপারেটরদের জন্য নতুন আয়ের খাত তৈরি করবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। সুদানের মোবাইল অপারেটর কানার রিভের ভার্চুয়াল রোমিং সল্যুশন গ্রহণে সমঝোতা করেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য ট ল কম

এছাড়াও পড়ুন:

হাত জোড় করছি, ফিরিয়ে দিন সন্তানদের

‘কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়। দোষ থাকলে, অন্যায় করলে উপযুক্ত শাস্তি দিন। তবু সন্তান হারানোর বেদনা যেন কারও বুকে না লাগে। আমি হাত জোড় করছি, আমাদের সন্তানদের ফিরিয়ে দিন।’

গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে এমন আকুতিই জানান অপহৃত দিব্যি চাকমার মা ভারতী দেওয়ান। বিজু উৎসব শেষে খাগড়াছড়ির কুকিছড়া থেকে ফেরার পথে গত বুধবার ভোর ৬টার দিকে পাহাড়ি পাঁচ শিক্ষার্থী অপহৃত হন। এ অপহরণের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) সশস্ত্র গোষ্ঠী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট- ইউপিডিএফকে (প্রসীত) দায়ী করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অপহৃতদের উদ্ধরে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে।

পিসিপির কেন্দ্রীয় শাখার সভাপতি নিপন ত্রিপুরা বৃহস্পতিবার সমকালকে বলেন, ‘আমরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি, ইউপিডিএফ অপহৃতদের অভিভাবকদের একটি স্থানে ডেকেছে। বিকেলে অভিভাবকরা সেখানকার উদ্দেশে রওনা হন। পরে আর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি।’ তিনি অবিলম্বে অপহৃতদের সুস্থ শরীরে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি অন্বেষ চাকমা বলেন, অপহরণকারীরা সকালে একটি স্থানের নাম বলেছিল অভিভাবকদের। পরে পরিবর্তন করে আরেকটি স্থানে ডাকে। বিকেল থেকে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। 

অপহৃতরা হলেন– চবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও পিসিপির চবি শাখার সদস্য রিশন চাকমা, চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী অলড্রিন ত্রিপুরা, একই বিভাগের মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমা ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী লংঙি ম্রো। তাদের মধ্যে রিশন চাকমার বাড়ি রাঙামাটির জুরাছড়ির মৈদং ইউনিয়নের জামেরছড়িতে। লংঙি ম্রোর বাড়ি বান্দরবানের আলীকদমের কুরুকপাতা ইউনিয়নে; একই জেলায় বাড় অলড্রিন ত্রিপুরার; রাঙামাটির বরকল সদরের চাইল্যাতুলিতে দিব্যি চাকমা ও একই জেলার বাঘাইছড়ির বটতলায় মৈত্রীময় চাকমার।

এর আগে অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থী বিজু উৎসব উপলক্ষে রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে বেড়াতে যান। উৎসব শেষে গত মঙ্গলবার তারা চট্টগ্রামে ফেরার উদ্দেশ্যে বাঘাইছড়ি থেকে দীঘিনালা হয়ে খাগড়াছড়ি সদরে আসেন। সেখানে বাসের টিকিট না পাওয়ায় খাগড়াছড়ি শহর থেকে কিছুদূরে পানছড়ি সড়কের কুকিছড়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাতযাপন করেন। গত বুধবার ভোরে কুকিছড়া থেকে অটোরিকশায় খাগড়াছড়ি সদরে আসার পথে গিরিফুল নামক জায়গায় দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে তাদের অপহরণ করে। 

এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও অপহৃতদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যয়নরত ১৮৩ আদিবাসী শিক্ষার্থী যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথী ভুবন চাকমার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থী বিজু উৎসব শেষে খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে অপহরণের শিকার হলেও তাদের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এমন অপহরণের ঘটনা পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে মানবাধিকারবিরোধী ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষার পরিপন্থি। অপহৃতদের উদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।

ইতোমধ্যে অপহৃতদের উদ্ধারে জোর তৎপরতা শুরু করেছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল ঢাকা সেনানিবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাসদর মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, খাগড়াছড়ি থেকে অপহরণের শিকার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। তাদের অবস্থান কিছুটা শনাক্ত করা গেছে।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, বিভিন্নভাবে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে আসলে ঘটনাটি কী, কাদের হেফাজতে তারা রয়েছে। যৌথ অভিযানে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ