জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচারকাজ নিয়ে শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আস্থার অভাব ছিল। তিনি বলেছেন, বর্তমান সরকার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের আবার তদন্ত করছে। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে তদন্ত ও বিচারকাজ হবে বলে আশা করছেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে বনানী সামরিক কবরস্থানে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের জি এম কাদের এ কথা বলেন।

২০০৯ সালে তৎকালীন বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার ৫৭ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে জি এম কাদেরের বোনের ছেলে শহীদ কর্নেল কুদরত-ই-এলাহী রহমানও ছিলেন। এ প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, ‘আমিও শহীদ পরিবারের সদস্য বলা যায়। আমার ভাগনে (বোনের ছেলে) শহীদ কর্নেল কুদরত-ই-এলাহী রহমান মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞে শহীদ হয়েছে। সেই প্রিয় ভাগনের জন্য সব সময় অন্তরে ব্যথা অনুভব করি। শহীদ পরিবারের মনোযন্ত্রণা যাতে লাঘব হয়, সে লক্ষ্যে সবাই কাজ করবেন, এ প্রত্যাশা করছি।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাপার কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ ও মো.

হেলাল উদ্দিন, চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী, দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম ও এম এ রাজ্জাক খান, শ্রমিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ প্রমুখ।

বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে শোক

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের। এক বিবৃতিতে প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। সেই সঙ্গে শোকাহত পরিবার ও তাঁর রাজনৈতিক অনুসারীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এম ক দ র পর ব র তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

সার আমদানি ও ইপিজেড এলাকায় ভূমি উন্নয়নে ব্যয় ৬২০ কোটি টাকা

রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কৃষি মন্ত্রণালয় দুটি প্রস্তাবের মাধ্যমে মরক্কো থেকে ৭০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানি ও ‘যশোর এক্সপোর্ট প্রসেজিং জোন’ প্রকল্পের আওতায় ভূমি উন্নয়নের পৃথক দুটি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রস্তাব ৩টিতে মোট ব্যয় হবে ৬২০ কোটি ৬৮ লাখ ৭ হাজার ৫৭২ টাকা।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় প্রস্তাব দুটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্রে জানা যায়, বিএডিসির মরক্কো থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ডিএপি সার আমদানি করা হয়। ইতোঃপূর্বে সম্পাদিত চুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় বিদ্যমান চুক্তির শর্তসমূহ অভিন্ন রেখে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর পুনরায় চুক্তি নবায়ন করা হয়। সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করে মরক্কো থেকে ৫ম লটে ৪০ হাজার (+১০%) মেট্রিক টন ডিএপি সার বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য প্রতি মেট্রিক টন ৬২২.৫০ মার্কিন ডলার হিসেবে ২ কোটি ৪৯ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় হবে ৩০৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। প্রস্তাবটিতে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মরক্কো থেকে ডিএপি সার আমদানির লক্ষ্যমাত্রা ৩.৭২ লাখ মেট্রিক টন। এ পর্যন্ত আমদানি ২.৯৫ লাখ মেট্রিক টন।

এছাড়া সভায় টেবিলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মরক্কো থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়ে কমিটি। প্রতি মেট্রিক টন টিএসপি সারের দাম ৪৪৫.০০ মার্কিন ডলার হিসেবে এই সার ক্রয়ে ব্যয় হবে ১৬২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

সূত্র জানায়, সভায় ‘যশোর এক্সপোর্ট প্রসেজিং জোন’ প্রকল্পের আওতায় ভূমি উন্নয়নের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পের আওতায় ভূমি উন্নয়নের-এর পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য ওয়ান স্টেজ টু এনভেলপ টেন্ডারিং পদ্ধতিতে পুনঃদরপত্র আহ্বান করা হলে ৫টি দরপ্রস্তাব জমা হয়। তাদের মধ্যে ২টি দরপত্র রেসপনসিভ বিবেচিত হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা যৌথভাবে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড এবং খোকন কন্সট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে  ১৫৪ কোটি ৩ লাখ ৭ হাজার ৫৭২ টাকা। প্রকল্পের ভূমি উন্নয়নের জন্য ৭৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩৯১ ঘনমিটার মাটি ভরাট করা হবে।

ঢাকা/হাসনাত/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ