পল্লবীতে ব্যবসায়ী হত্যায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের যাবজ্জীবন
Published: 25th, February 2025 GMT
২০০৭ সালে রাজধানীর পল্লবী এলাকায় ব্যবসায়ী মুনসুর মল্লিক হত্যা মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে চারজনকে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৩–এর বিচারক মোহাম্মদ আবু তাহের আজ মঙ্গলবার এ রায় দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ওই আদালতের সাঁটলিপিকার মেহেদী হাসান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন জহিরুল হাসান ও আবদুর রহিম। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া চারজন হলেন আবদুল করিম, হাতি বাবু, মোফাজ্জেল হোসেন ও সফিউদ্দিন আদনান। আসামিদের মধ্যে হাতি বাবুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা পলাতক।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে ২০০৭ সালের ১২ মে ব্যবসায়ী মুনসুর মল্লিককে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় পুলিশ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। বিচার চলাকালে দুজন আসামি—গনি মাতবর ও আলাউদ্দিন মারা যান।
আইনজীবী মশিউর রহমান আরও বলেন, মুনসুর মল্লিক মিরপুরে কাটা কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির নেতা ছিলেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে মনসুরকে হত্যা করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস য়
এছাড়াও পড়ুন:
আদালতে আতিকুলের অস্থিরতা, জানতে চাইলেন পরিবারের খবর
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকালে মো. সোহাগ মিয়া নামের এক কিশোরকে হত্যার অভিযোগে রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন সকালে আতিকুল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হলে তাকে অনেক অস্থির দেখা যায়। এর মাঝেই তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে পরিবারের খবর নেন।
সোমবার সকাল ১০টার পরে আমির হোসেন আমু, আতিকুল ইসলাম, সাদেক খান, পুলিশ কর্মকর্তা শাহেন শাহসহ ১১ আসামিকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট ও হাতকড়া পরিয়ে আদালতে তোলা হয়। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের কাছে যান। তখন সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম তার আইনজীবীকে বলেন, “সবাই কেমন আছে?” আইনজীবী হাত দিয়ে ইশারা করে বলেন, “সবাই ভালো আছে।” এরপর আইনজীবীকে আরো কিছু বলার চেষ্টা করেন আতিকুল ইসলাম। কিন্তু, মানুষের ভিড় ও শব্দ বেশি থাকায় তা সম্ভব হয়নি। তখন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মাথা উঁচু করে কাউকে খুঁজতে থাকেন আতিকুল ইসলাম। এ সময় অনেক অস্থির দেখা যায় তাকে।
পরে বাড্ডা থানার হত্যা মামলায় আতিকুল ইসলামকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে শুনানি হয়। ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানাধীন মাদানী এভিনিউয়ে ফরাজী হাসপাতালের সামনে আন্দোলনে অংশ নেন কিশোর মো. সোহাগ মিয়া (১৬)। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে একটি গুলি তার বাম কান দিয়ে ঢুকে মাথায় পেছনে দিয়ে বেরিয়ে যায়। এতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ২০ আগস্ট ৯১ জনকে আসামি করে ভাটারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
ঢাকা/মামুন/রফিক