আইসিসির মঞ্চে ভারতের কাছে পাকিস্তানের হার যেন নির্ধারিত। সবশেষ কবে আইসিসির টুর্নামেন্টে ওয়ানডে ফরম্যাটে ভারতের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল পাকিস্তান সেটা খুঁজে পেতে নিঃসন্দেহে বেগ পেতে হবে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুবাইতে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচে ভারতের কাছে পাত্তা পায়নি পাকিস্তান। হেরেছে ৬ উইকেটের ব্যবধানে।

পাকিস্তানের পারফরম্যান্স দেখার পর সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার জানিয়েছেন, ভারতের ‘বি’ টিমের সঙ্গেও পারবে না পাকিস্তান। ‘সি’ টিমের সঙ্গে পারবে কিনা সেটা তিনি নিশ্চিত নন।

“আমি মনে করি (ভারতের) ‘বি’ টিমের বিপক্ষেও জিততে কষ্ট হয়ে যাবে পাকিস্তানের।। ‘সি’ দলের সঙ্গে পারবে কিনা আমি খুব বেশি নিশ্চিত নই। কিন্তু বর্তমান ফর্মে পাকিস্তানের জন্য ভারতের ‘বি’ দলকে হারানো খুব কঠিন হবে।’’

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের সামনে ৬ কোটি টাকার হাতছানি

বৃষ্টির পেটে অস্ট্রেলিয়া-দ.

আফ্রিকার ম্যাচ

পাকিস্তানের এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সের পেছনের কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন তাদের বেঞ্চ স্ট্রেন্থ না থাকাটাকে, ‘‘আমি মনে করি এটা আশ্চর্যজনক, বেঞ্চ স্ট্রেংথের অভাব। পাকিস্তানের সবসময়ই ন্যাচারাল ট্যালেন্ট ছিল। এই ধারনা থেকে ন্যাচারাল বলছি, যে তারা সবসময় টেকনিক্যালি সঠিক নাও হতে পারে, তবে ব্যাট এবং বলের উপর তাদের সহজাত ধারণা ছিল। উদাহরণস্বরূপ, ইনজামাম-উল-হককে দেখুন। যদি আপনি তার ট্যান্স দেখেন, তাহলে আপনি একজন তরুণ ব্যাটসম্যানকে এটি ফলো করতে পরামর্শ দিবেন না। তবে তার দুর্দান্ত টেম্পারামেন্ট ছিল। এই ধরণের টেম্পারামেন্টের কারণে তিনি যেকোনো টেকনিক্যাল ত্রুটি পূরণ করতে পেরেছিলেন।’’

ভারত কীভাবে এতো এতো খেলোয়াড় পাচ্ছে? সে বিষয়ে গাভাস্কার বলেছেন, ‘‘সাদা বলের ক্রিকেটে ভারত এত তরুণ তারকা কীভাবে তৈরি করেছে? এর কারণ আইপিএল। সেখানকার খেলোয়াড়রা রঞ্জি ট্রফিতে খেলেছে এবং শেষ পর্যন্ত ভারতের হয়ে খেলেছে। এটা এমন কিছু যা পাকিস্তান ক্রিকেট বিশ্লেষণ করতে পারে। তাদের খুঁজে বের করতে হবে কেন তাদের আর আগের মতো বেঞ্চ স্ট্রেন্থ নেই।’’

শেষ ম্যাচে ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। আর ভারত লড়বে গ্রুপসেরা হওয়ার লক্ষে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কেমন খেলল আর্জেন্টিনা, কেমন ‘ছেলেখেলা’র শিকার হলো ব্রাজিল

আর্জেন্টিনার জন্য স্মরণীয় এবং ব্রাজিলের জন্য ম্যাচটি ভুলে যাওয়ার। কিন্তু চাইলেই কি ভোলা সম্ভব! হারটা ৪-১ গোলের। ১৯৮৭ কোপা আমেরিকায় চিলির কাছে চার গোলে সেই হারের পর দক্ষিণ আমেরিকান কোনো দলের বিপক্ষে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এই প্রথম ৪ গোল হজম করল ব্রাজিল। ম্যাচটি তাই ঐতিহাসিকও। ২০ বছর পর ঘরের মাঠে ব্রাজিলের বিপক্ষে জিতল আর্জেন্টিনা।
এক দলের জালে চার গোল হওয়ার এ ম্যাচে স্বাভাবিকভাবেই দুই দলের পারফরম্যান্স বিপরীতমুখী। আর্জেন্টিনা কেমন খেলল আর ব্রাজিল তাতে কেমন ‘ছেলেখেলা’র শিকার হলো, খেলোয়াড়দের রেটিং পয়েন্টের দেওয়ার মাধ্যমে তা নির্ধারণ করেছে ফুটবলবিষয়ক ওয়েবসাইট গোল ডট কম। আসুন জেনে নিই—আর্জেন্টিনা:

এমিলিয়ানো মার্তিনেজ (৭/১০)

মাথিয়াস কুনিয়ার আকস্মিক শটে গোল হজম করেছেন। এ ছাড়া ম্যাচে এমিলিয়ানো মার্তিনেজের আর তেমন কিছুই করার ছিল না।

নাহুয়েল মলিনা (৭/১০)

ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে বোতলবন্দী করে রাখার কাজটা দক্ষতার সঙ্গে সেরেছেন। আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোলে ক্রসটি তাঁর। চোখজুড়ানো খেলেননি কিন্তু যথেষ্ট কার্যকর ছিলেন।

ক্রিস্টিয়ান রোমেরো (৬/১০)

কুনিয়ার কাছে সহজে বল হারিয়ে গোল হজম করেছেন। তারপর অবশ্য যথারীতি নির্ভরতার প্রতীক। ভিনিসিয়ুসকে মার্কিং করতে অতিরিক্ত ছোটাছুটিও করেছেন।

নিকোলাস ওতামেন্দি (৭/১০)

ট্যাকল করতে কুণ্ঠা করেননি। ওয়ান-অন-ওয়ানস জিতেছেন। জায়গার ব্যবহার করেছেন দারুণভাবে। অধিনায়কসুলভ পারফরম্যান্স।

আরও পড়ুনব্রাজিলকে নিয়ে ‘ছেলেখেলা’ আর্জেন্টিনার, চার গোলে ‘সুখবর’ উদ্‌যাপন ৩ ঘণ্টা আগে

নিকোলাস তালিয়াফিকো (৭/১০)

তাঁর প্রান্ত দিয়ে ব্রাজিলের আক্রমণ খুব করলেও সামলেছেন খুব ভালোভাবে। একটি গোলের উৎসও তিনি।

লিয়ান্দ্রো পারেদেস (৭/১০)
মাঝমাঠের মূল স্তম্ভ। মাঠের গভীর থেকে খেলেছেন, চাপ নিরসনে চাতুরীপূর্ণ পাসও দিয়েছেন।

অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার (৮/১০)
পাস কাড়া থেকে দেওয়ার কাজটা করেছেন। বলের ওপর নিয়ন্ত্রণও ছিল ভালো। চোখজুড়ানো একটি গোল করেছেন।

দুর্দান্ত খেলেছেন এনজো ফার্নান্দেজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কেমন খেলল আর্জেন্টিনা, কেমন ‘ছেলেখেলা’র শিকার হলো ব্রাজিল