কুমিল্লা মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন উদবাতুল বারী আবু, সাধারণ সম্পাদক ইউছুফ মোল্লা টিপু ও সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিউর রহমান রাজিব।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের ভোটে মহানগর বিএনপির নেতা নির্বাচিত হওয়ার কথা থাকলেও তিনপদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতায় না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তারা।

এদিন বিকালে সম্মেলনে বিএনপির কাউন্সিলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট আলী আক্কাস এই তিন পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত নেতৃবৃন্দদের নাম ঘোষণা করেন। 

দলীয় সূত্র বলেছে, ২০১১ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা হলেও ২০২২ সালের ৩০ মে প্রথমবারের মতো মহানগর বিএনপির ৪৪ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। এতে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আমিরুজ্জামানকে আহ্বায়ক ও মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লাকে সদস্যসচিব করা হয়। 

উল্লেখ্য, তফসিল অনুযায়ী ১৯ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, এবং মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমার দিন ছিল ২০ ফেব্রুয়ারি। ২১ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই। প্রত্যাহারের দিন ছিল ২২ ফেব্রুয়ারি। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ২৩ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া কথা ছিল ২৪ ফেব্রুয়ারি। আর নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল আজ মঙ্গলবার।

এতে সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, সাধারণ সম্পাদক পদে মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রাজিউর রহমান একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

ঢাকা/রুবেল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষে আহত ১০, উত্তেজনা

মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। গত সোমবার বিকেলে এ ঘটনার জেরে দু’পক্ষে উত্তেজনা বিরাজ করছে।  
গত মঙ্গলবার দিনভর মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে বিএনপির দু’পক্ষের নেতাকর্মীরা একে অপরকে ঘায়েল করতে নানা তৎপরতা চালিয়েছে বলে স্থানীয় গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে। 
সোমবার বিকেলে শহরের থানারপুল এলাকায় মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে মেহেদী হাসান (২৬) ও অপু খানকে (১৯) মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত নাদিম (১৭), আরিফুজ্জামান (৩৭), উজ্জল (৪৫), মাসুদ মিয়া (২০), মনির হোসেন (৫৮) ও জসিম উদ্দিনসহ (৫২) অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বিকেলে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা ও পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবিলাসহ বিভিন্ন দাবিতে জেলা বিএনপি সমাবেশের আয়োজন করে। এ সমাবেশে যোগ দিতে এসে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। 
ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে সংঘর্ষের ঘটনার প্রভাব মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দিনভর ইউনিয়নের একাধিক গ্রামে বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করতে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এর জেরে ইউনিয়ন বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। 
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, জেলা বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন থেকে বিএনপি নেতা আওলাদ হোসেন মোল্লার নেতৃত্বে ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে যায়। মিছিলটি সমাবেশস্থলের অদূরে থানারপুল এলাকায় এলে একই ইউনিয়নের প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতা রহিম মোল্লার নেতৃত্বে আসা মিছিলটি মুখোমুখি হয়। এ সময় দু’পক্ষের নেতাকর্মীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
বিএনপিকর্মী আওলাদ হোসেন মোল্লা বলেন, তাদের মিছিলের সামনে রহিমের লোকজন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তাদের সরানোর চেষ্টা করা হয়। এ সময় রহিমের লোকজন মিছিলে হামলা চালিয়ে মারধর করে।
বিএনপি নেতা রহিম মোল্লার দাবি, আওলাদের লোকজন নিজেরাই মারামারি করেছে। এ সময় এগিয়ে গেলে তাঁর লোকজনকেও মারধর 
করে তারা।
সদর থানার ওসি সাইফুল আলম জানান, সমাবেশে যাওয়ার পথে একাধিক স্থানে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যেও মারামারি হয়েছে। তবে এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ