খুলনার আলোচিত যুব মহিলা লীগ নেত্রী ফাতেমা আফরোজ রিক্তাকে গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাকে নগরীর খালিশপুর হাউজিং এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

তিনি খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি। 

নগর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি তৈমুর আলম জানান, ফাতেমা আফরোজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। এসব নিয়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে খুলনা সদর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। 

ফাতেমা খালিশপুরের বাসিন্দা মো.

মুজিবর রহমান শেখের মেয়ে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ য বল গ

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রমায় ভুগছে শিল্পী মানবেন্দ্রর পরিবার

অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে ট্রমায় ভুগছে শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের পরিবার। পহেলা বৈশাখে মোটিফ তৈরিতে যুক্ত ছিলেন তিনি। ফেসবুকে অপপ্রচারের পর তাঁর বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। সেই মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা অর্থবিষয়ক সম্পাদক আল আমিন ওরফে তমাল (২২), সদর উপজেলার ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাইনউদ্দিন আহাম্মদ পিয়াস (২২), ছাত্রলীগ কর্মী মীর মারুফ (২০), ছাত্রলীগ কর্মী আমিনুর রহমান (২৪), ছাত্রলীগ কর্মী মীর মোহাম্মদ রাফি ওরফে সিজন (১৮), গড়পাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন (৫৪), শিবালয় উপজেলার শিবালয় ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন (৪৮) ও  যুবলীগ কর্মী সঞ্জীব ঘোষ (৪০)।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মানবেন্দ্রর বাড়ি পরিদর্শন করেন পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা ও পুলিশ সুপার ইয়াসমিন খাতুন।

মোস্তাফিজুর বলেন, শিল্পীর পরিবারের নিরাপত্তা জোরদার এবং জড়িতদের কীভাবে আইনের আওতায় আনা যায়, সেটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ইয়াসমিন বলেন, শিগগির বের করে ফেলব, কারা কীভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

শিল্পী মানবেন্দ্র বলেন, ‘আমার ওপরে যে এমন একটি ঘটনা ঘটতে পারে, তা বিশ্বাস করতে পারছি না। পরিবার ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে, এটা অনেক বড়। সবাই ভয়ে রয়েছে। এটা আমার শিল্পসত্তার ওপর আঘাত। জানি না ভবিষ্যতে আমি শিল্পচর্চা করতে পারব কিনা। আমি চাই কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন শাস্তি না পায়। যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ