বাংলাদেশ-রাশিয়া সম্পর্ক শক্তিশালী রাখা দরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 25th, February 2025 GMT
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, “আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও রাশিয়া একসঙ্গে কাজ করবে। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক যেন সব সময় দৃঢ় থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।”
মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকার রাশিয়ান হাউসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমাদের দুটি দেশকেও বন্ধুত্বের এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। পরবর্তী ৫০ বছর যেন আরো বেশি সাফল্য, সহযোগিতা এবং যৌথ অর্জনে পরিপূর্ণ হয়। আমাদের দুটি দেশ যেন একসঙ্গে কাজ করে উভয় জাতি এবং বিশ্বব্যাপী একটি উজ্জ্বল, আরো শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ অর্জন করতে পারে।”
আরো পড়ুন:
ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘে রাশিয়ার পক্ষ নিল যুক্তরাষ্ট্র
ফ্রান্সে রাশিয়ার কনস্যুলেটে ককটেল হামলা
উপদেষ্টা বলেন, “আমরা যখন ঢাকায় রুশ হাউজের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করছি, তখন চলুন ভবিষ্যতের দিকেও দৃষ্টি দিই। এ মহান মাইলফলক উদযাপন শুধুমাত্র অতীতের প্রতিফলন নয়, বরং আগামী দিনে আরো শক্তিশালী এবং প্রাণবন্ত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার নতুন অঙ্গীকার।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ-রাশিয়া সম্পর্কের এক অসাধারণ মাইলফলক উদযাপন উপলক্ষে, রাশিয়ান হাউজের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আপনাদের সামনে দাঁড়ানো এক বিরাট সম্মান ও গৌরবের বিষয়। আজকের এই অনুষ্ঠান শুধু এই মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের অর্ধশতাব্দী পূর্তির প্রতীক নয়, বরং এটি আমাদের দুই মহান জাতির মধ্যে সাংস্কৃতিক বোঝাপড়া, পারস্পরিক সম্মান এবং ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্বের একটি যৌথ যাত্রার উদযাপন।”
তিনি আরো বলেন, “এই ঐতিহাসিক উপলক্ষে আমি রাশিয়ান সরকার, ঢাকায় রাশিয়ান দূতাবাস এবং রাশিয়ান হাউজের কর্মকর্তা ও কর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টার জন্য অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা এই বন্ধুত্বের বন্ধন দৃঢ় করতে নিরলস কাজ করেছেন। পাশাপাশি, গত পাঁচ দশকে রাশিয়ান হাউজের সাফল্য ও ঐতিহ্য নির্মাণে যারা অবদান রেখেছেন তাদের প্রতিও আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।”
“১৯৭৪ সালে ঢাকায় রাশিয়ান হাউজ যাত্রা শুরু করেছিল দুই দেশের জনগণের মধ্যে একটি দৃঢ় বন্ধন গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে। অর্ধশতাব্দী পর, আমি গর্বের সাথে বলতে পারি যে রাশিয়ান হাউজ সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ সফল হয়েছে।এটি সাংস্কৃতিক বিনিময়, বুদ্ধিবৃত্তিক সংলাপ এবং মানুষে-মানুষে সংযোগ স্থাপনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করেছে।”
তৌহিদ হোসেন বলেন, “উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রুশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুযোগ-সুবিধা থেকে উপকৃত হয়েছেন। আজ, তাদের অনেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই জ্ঞান ও দক্ষতার বিনিময় আমাদের ব্যক্তিগত জীবনকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি আমাদের সমাজের সামগ্রিক অগ্রগতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।”
তিনি বলেন, “ঢাকায় রুশ হাউজ আরো বহু বছর ধরে আমাদের দুই জনগণের মধ্যে গভীর সংযোগ অনুপ্রাণিত ও লালন করে যাক। বাংলাদেশ-রাশিয়া বন্ধুত্ব চিরজীবী হোক।”
ঢাকা/হাসান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বন ধ ত ব আম দ র দ উপদ ষ ট ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
আউটসোর্সিং সেবা কর্মীদের জন্য সেবাগ্রহণ নীতিমালা জারি
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষ্যে আউটসোর্সিং সেবা কর্মীদের জন্য 'সেবা গ্রহণ নীতিমালা, ২০২৫' জারি করেছে সরকার। নতুন এই নীতিমালার মূল উদ্দেশ্য হল—আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দক্ষ, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করা এবং একই সঙ্গে সেবা কর্মীদের উৎসাহিত করা।
মঙ্গলবার সরকারপ্রধানের দপ্তর থেকে বলা হয়, এই নীতিমালা প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে নববর্ষের বিশেষ উপহার।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন নীতিমালায় পাঁচটি সাধারণ ক্যাটাগরি এবং তিনটি বিশেষ সেবার মাসিক সেবামূল্য বাড়ানো হয়েছে।
সেবাকর্মীরা বছরে দুটি উৎসবে এক মাসের সেবামূল্যের অর্ধেক (৫০ শতাংশ) হারে উৎসব প্রণোদনা পাবেন। আর বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বৈশাখী প্রণোদনা পাবেন মাসিক সেবামূল্যের এক-পঞ্চমাংশ (২০ শতাংশ) হারে।
সেবাকর্মীদের জন্য বার্ষিক ১৫ দিনের ছুটি রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে তাদের মৌলিক কাজের বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে।
প্রতি অর্থবছরে প্রতিটি সেবাকর্মীকে দুটি করে ইউনিফর্ম সরবরাহ করা হবে এবং দায়িত্ব পালনের সময় তা পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
নারী কর্মীদের জন্য রয়েছে ৪৫ দিনের মাতৃত্বকালীন ছুটি এবং নারীবান্ধব কাজে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা।
সেবাকর্মীদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে নীতিমালায়। তাদের জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকবে।
সেবামূল্য সরাসরি কর্মীর নিজস্ব ব্যাংক হিসাব অথবা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস)-এর মাধ্যমে দেওয়া হবে। এবং মাসিক সেবামূল্য পরিশোধ করা হবে কর্মকালীন মাসের পরবর্তী মাসের প্রথম সপ্তাহেই।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, সেবাকর্মীদের সেবামূল্য ও প্রণোদনার পরিমাণ অর্থ বিভাগের সময়োপযোগী নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।
নির্ধারিত সেবাঘণ্টাকে সেবা সময় হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তবে সেবা ক্রয়কারীর চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত সেবার প্রয়োজন হলে, অর্থ বিভাগের সম্মতিক্রমে চুক্তিভিত্তিক অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দেওয়া হবে।