পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, “আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও রাশিয়া একসঙ্গে কাজ করবে। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক যেন সব সময় দৃঢ় থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।”

মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকার রাশিয়ান হাউসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আমাদের দুটি দেশকেও বন্ধুত্বের এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। পরবর্তী ৫০ বছর যেন আরো বেশি সাফল্য, সহযোগিতা এবং যৌথ অর্জনে পরিপূর্ণ হয়। আমাদের দুটি দেশ যেন একসঙ্গে কাজ করে উভয় জাতি এবং বিশ্বব্যাপী একটি উজ্জ্বল, আরো শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ অর্জন করতে পারে।”

আরো পড়ুন:

ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘে রাশিয়ার পক্ষ নিল যুক্তরাষ্ট্র

ফ্রান্সে রাশিয়ার কনস্যুলেটে ককটেল হামলা

উপদেষ্টা বলেন, “আমরা যখন ঢাকায় রুশ হাউজের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করছি, তখন চলুন ভবিষ্যতের দিকেও দৃষ্টি দিই। এ মহান মাইলফলক উদযাপন শুধুমাত্র অতীতের প্রতিফলন নয়, বরং আগামী দিনে আরো শক্তিশালী এবং প্রাণবন্ত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার নতুন অঙ্গীকার।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ-রাশিয়া সম্পর্কের এক অসাধারণ মাইলফলক উদযাপন উপলক্ষে, রাশিয়ান হাউজের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আপনাদের সামনে দাঁড়ানো এক বিরাট সম্মান ও গৌরবের বিষয়। আজকের এই অনুষ্ঠান শুধু এই মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের অর্ধশতাব্দী পূর্তির প্রতীক নয়, বরং এটি আমাদের দুই মহান জাতির মধ্যে সাংস্কৃতিক বোঝাপড়া, পারস্পরিক সম্মান এবং ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্বের একটি যৌথ যাত্রার উদযাপন।”

তিনি আরো বলেন, “এই ঐতিহাসিক উপলক্ষে আমি রাশিয়ান সরকার, ঢাকায় রাশিয়ান দূতাবাস এবং রাশিয়ান হাউজের কর্মকর্তা ও কর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টার জন্য অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা এই বন্ধুত্বের বন্ধন দৃঢ় করতে নিরলস কাজ করেছেন। পাশাপাশি, গত পাঁচ দশকে রাশিয়ান হাউজের সাফল্য ও ঐতিহ্য নির্মাণে যারা অবদান রেখেছেন তাদের প্রতিও আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।”

‌“১৯৭৪ সালে ঢাকায় রাশিয়ান হাউজ যাত্রা শুরু করেছিল দুই দেশের জনগণের মধ্যে একটি দৃঢ় বন্ধন গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে। অর্ধশতাব্দী পর, আমি গর্বের সাথে বলতে পারি যে রাশিয়ান হাউজ সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ সফল হয়েছে।এটি সাংস্কৃতিক বিনিময়, বুদ্ধিবৃত্তিক সংলাপ এবং মানুষে-মানুষে সংযোগ স্থাপনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করেছে।”

তৌহিদ হোসেন বলেন, “উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রুশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুযোগ-সুবিধা থেকে উপকৃত হয়েছেন। আজ, তাদের অনেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই জ্ঞান ও দক্ষতার বিনিময় আমাদের ব্যক্তিগত জীবনকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি আমাদের সমাজের সামগ্রিক অগ্রগতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।”

তিনি বলেন, “ঢাকায় রুশ হাউজ আরো বহু বছর ধরে আমাদের দুই জনগণের মধ্যে গভীর সংযোগ অনুপ্রাণিত ও লালন করে যাক। বাংলাদেশ-রাশিয়া বন্ধুত্ব চিরজীবী হোক।”

ঢাকা/হাসান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বন ধ ত ব আম দ র দ উপদ ষ ট ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রোনালদোই সেরা বেনজেমার চোখে, তবে ক্রিস্টিয়ানো নন

রিয়াল মাদ্রিদে তাঁরা একসঙ্গে ৯ মৌসুম কাটিয়েছেন। সে সময় রিয়ালে রোনালদো যদি হন ‘ব্যাটম্যান’, বেনজেমাকে তাঁর সহকারী ‘রবিন’ মনে করা হতো। আসলে রোনালদোকে গোল বানিয়ে দেওয়াই ছিল বেনজেমার মূল দায়িত্ব কি না, তাই। আর রোনালদোর ক্যারিয়ারে সেরা সময়ও কেটেছে ঠিক তখন। রিয়ালে সোনালি সময় বিচারে কিছুদিন আগে করা রোনালদোর দাবির সঙ্গে সহমত প্রকাশ করতেই পারতেন বেনজেমা। কিন্তু তা না করে ফরাসি তারকা হাঁটলেন অন্য পথে। যে পথের শেষেও আছেন আরেক রোনালদো!

আরও পড়ুনব্যালন ডি’অরের পথে সালাহ, প্রিমিয়ার লিগ জয়ের পথে লিভারপুল১১ ঘণ্টা আগে

ঘটনা খুলে বলা যাক। এ মাসের শুরুতে স্প্যানিশ টিভি শো ‘এল চিরিনগুইতো’য় দেওয়া সাক্ষাৎকারে আল নাসর তারকা রোনালদো দাবি করেন, ‘আমি সর্বকালের সেরা কমপ্লিট খেলোয়াড়। ক্রিস্টিয়ানো পরিপূর্ণ নয়, বলাটা হবে মিথ্যার নামান্তর।’ পর্তুগিজ কিংবদন্তি আরও দাবি করেন, ‘আমি এতই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ যে কখনো কখনো নিজের অর্জন ভুলে যাই। কারণ, প্রতিবছর আরও ভালো করার প্রেরণা পাই এতে। আমার মতে, অন্যদের সঙ্গে এখানেই আমার পার্থক্য। আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে ১০ বছর আগেই ফুটবল ছেড়ে যেত। আমি আলাদা। এ নিয়ে তর্কের সুযোগ নেই।’

কিন্তু রোনালদোর এই মন্তব্যের পরই শুরু হয় তর্ক–বিতর্ক। পক্ষে–বিপক্ষে অনেকেই বিভিন্ন মন্তব্য করেন, এখনো করছেন। যেমন রোনালদোরই সাবেক রিয়াল সতীর্থ বেনজেমা। ঘুরেফিরে প্রসঙ্গটি তাঁর কাছেও তোলা হয়েছে। পর্তুগিজ কিংবদন্তিকেই বেনজেমা সর্বকালের সেরা মনে করেন কি না?

টিএনটি স্পোর্টস ব্রাজিলকে বেনজেমা এর উত্তরে বলেছেন, ‘যার যা খুশি বলতে পারে। সে নিজেকে ইতিহাসের সেরা মনে করতেই পারে...উদাহরণ হিসেবে আমার কাছে যেমন সেরা হলেন ব্রাজিলের রোনালদো।’ তবে খেলোয়াড়ের মধ্যে তুলনা পছন্দ নয় বেনজেমার। বলেছেন সে কথাও, ‘খেলোয়াড়দের মধ্যে তুলনা আমার অপছন্দ। একেকজনের গল্প একেক রকম, আর তারটাও (রোনালদো) ভিন্ন। সে খুব ভালো।’

আরও পড়ুনস্পেনে রিয়াল-বার্সা-আতলেতিকোর রুদ্ধশ্বাস ত্রিমুখী লড়াই, ইতালিতে নাপোলির পতন৭ ঘণ্টা আগে

পর্তুগিজ তারকা ২০১৮ সালে রিয়াল ছেড়ে জুভেন্টাস ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ঘুরে এখন সৌদি প্রো লিগের দল আল নাসরে। বেনজেমাও ২০২৩ সালে রিয়াল ছেড়ে পাড়ি জমান সৌদি ফুটবলে ক্লাব আল ইত্তিহাদে। রিয়ালে গোল করায় তাঁদের ওপরে আর কেউ নেই। রোনালদো ৪৫০ গোল করে শীর্ষে, বেনজেমা ৩৫৪ গোল নিয়ে দ্বিতীয়। বার্নাব্যুর ৯ বছরে দুজনে মিলে রিয়ালকে উপহার দিয়েছেন মোট ৮০৪ গোল, জিতেছেন ১৬টি ট্রফি। রিয়ালের জার্সিতে একসঙ্গে খেলেছেন ৩৪২ ম্যাচ, আক্রমণভাগে এই জুটির কাছ থেকে গোল এসেছে ৭৬টি। ২০১৩ সালে গ্যারেথ বেল রিয়ালে যোগ দেওয়ার পর তাঁরা তিনজন মিলে ইউরোপে অন্যতম ভয়ংকর ‘বিবিসি’ আক্রমণভাগ গড়েছিলেন।

৩৭ বছর বয়সী বেনজেমার শৈশবের আদর্শ ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক স্ট্রাইকার রোনালদো নাজারিও। তাঁকে নিয়ে মুগ্ধতার কথা অনেকবারই বলেছেন বেনজেমা। ব্রাজিলের এই রোনালদোও একসময় খেলেছেন রিয়ালে। ২০২১ সালে রোনালদোকে নিয়ে বিইন স্পোর্টসে বেনজেমা বলেছিলেন, ‘আমি সৌভাগ্যবান যে মাদ্রিদে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে। তিনি আমার রোল মডেল ছিলেন। এখনো আছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে ‘বিদায়’ জানাতে চায় বিসিবি
  • মেহজাবীন–আদনানের ৪৬৯৪ দিনের গল্প
  • বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে ব্যবহার কমানোয় জোর: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
  • রোনালদোই সেরা বেনজেমার চোখে, তবে ক্রিস্টিয়ানো নন
  • বিয়ের পর প্রেমের গল্প শোনালেন মেহজাবীন
  • মোশাররফ-হাসানকে নিয়ে দুঃসাহসী পদক্ষেপ নিয়েছি: শামীম জামান
  • দুঃসাহসী পদক্ষেপ আমি নিয়েছি: শামীম জামান
  • দুঃসাহস নিয়ে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছি: শামীম জামান
  • কোহলির এক ম্যাচে দুই রেকর্ড