ওয়ানডেতে কোহলিই সর্বকালের সেরা, বললেন পন্টিং, নাসের ও আথারটন
Published: 25th, February 2025 GMT
২০১২ এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে ৩৩০ রান তাড়া করে জয়ে ভারতকে উপহার দিয়েছিলেন ১৮৩ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস। একই বছর হোবার্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮৬ বলে অপরাজিত ১৩৩। সেদিন ভারত ৩২১ রানের লক্ষ্য সফলভাবে তাড়া করে ৩৬.৪ ওভারেই। তখন থেকেই বিরাট কোহলিকে ‘চেজ মাস্টার’ ডাকা হয়। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসেও তিনি এই নামের প্রতি সুবিচার করে যাচ্ছেন।
দুবাইয়ে গত রোববার পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ১০০ করে ভারতকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে তুলেছেন কোহলি, যা ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তাঁর ৫১তম সেঞ্চুরি। ম্যাচটা হেসেখেলেই জিতেছে ভারত। যা একটু উত্তেজনা ছড়িয়েছিল কোহলির সেঞ্চুরি হওয়া–না হওয়ার চিন্তায়। জয়ের জন্য ভারতের দরকার যখন ২ রান, কোহলির প্রয়োজন ছিল ৪। বাউন্ডারি মেরেই তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন এই ব্যাটিং জিনিয়াস।
কারও কারও চোখে, কোহলির এই সেঞ্চুরি অন্যতম সেরা। কারণ, পুরো ইনিংসে মেরেছেন মাত্র সাতটি চার। অর্থাৎ বাউন্ডারি থেকে এসেছে ২৮ রান, বাকি ৭২ রান নিয়েছেন দৌড়ে। এর মধ্যে সিঙ্গেল ৪৬টি, ডাবল ১৩টি। তবু স্ট্রাইক রেট ৯০–এর ওপর! এই বুড়ো বয়সেও যেভাবে নিয়মিত এক–দুই রান বের করে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে গেছেন, সেটারই তারিফ বেশি করা হচ্ছে।
দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে ভারতকে জিতিয়েছেন কোহলি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জিনদের আহার্য
মহানবী (সা.) একবার তার সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.)-কে বললেন কিছু পাথর নিয়ে আসতে। তবে হাড় বা গোবর আনতে নিষেধ করলেন। আবু হুরায়রা (রা.) কাপড়ে করে কিছু পাথর এনে সেগুলো নবীজি (সা.)-এর পাশে রেখে চলে গেলেন। নবীজি (সা.) কাজ সেরে ফিরে আসার পর আবু হুরাইরা জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহর রাসুল, হাড় ও গোবরে সমস্যা কী? তিনি উত্তরে বললেন, সেগুলো জিনদের খাবার। নাসিবিন শহরে (সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যে আলজাযিরার একটি নগরী) জিনদের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। তারা সবাই খুব ভালো জিন। আমার কাছে খাবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল। আমি আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দোয়া করি। তাই তারা যে হাড় বা গোবরের পাশ দিয়ে যাবে, তাতেই নিজেদের জন্য খাবার খুঁজে পাবে। (বুখারি, হাদিস: ৩,৫৭৮)
আরও পড়ুনইবলিস কি জিন নাকি ফেরেশতা১৬ মার্চ ২০২৫তাই কেউ যদি বিসমিল্লাহ বলে খাবার খায় এবং হাড় থেকে মাংস খাওয়ার পর নাপাক স্থানে না ফেলে, মুমিন জিনেরা সেই হাড় হাতে নিলে তাতে গোশত ফিরে আসবে। (তিরমিজি, হাদিস: ৩,২৫৮)
আর দুষ্ট জিন ও শয়তানরা খায় এমন খাবার, যাতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয় না। যেসব খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হয়, সেগুলো তারা ছুঁয়েও দেখে না।
গোবরে জিনদের পশুদের জন্য খাবার জমা হয়। তার মানে জিনদের পোষা প্রাণী আছে এবং তারা তাতে আরোহণ করে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘গোবর বা হাড় নাপাকি পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার করো না। কারণ এগুলো তোমাদের ভাই জিনদের খাবার।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৮)
আরও পড়ুনকোরআন শুনে একদল জিন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন০৬ আগস্ট ২০২৩