আবাসন খাতে উদ্ভাবনী চিন্তাধারা জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখবে
Published: 25th, February 2025 GMT
রিয়েল এস্টেট খাতের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রিয়েল এস্টেট ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ‘নেক্সট জেন রিয়েল এস্টেট সামিট ২০২৫’।
সাভারের বিরুলিয়ায় অবস্থিত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে গত রোববার ও গতকাল সোমবার আয়োজিত সম্মেলনে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন, রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষসহ (এনএইচএ) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে ছিল প্যানেল আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত প্যানেল আলোচনায় বিশেষজ্ঞ বক্তারা রিয়েল এস্টেট শিল্পের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন এবং টেকসই আবাসনব্যবস্থার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশল ইউনিভার্সিটির সহ–উপাচার্য অধ্যাপক এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার, একাডেমিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগের ডিন অধ্যাপক মোস্তফা কামাল, ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ মাসুম ইকবাল, রূপায়ণ সিটি উত্তরার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম মাহবুবুর রহমান, রিহ্যাবের পরিচালক মো.
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রিয়েল এস্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রধান আমির আহমেদ। সম্মেলনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা। মূল প্রতিপাদ্য ছিল রিয়েল এস্টেট ও আবাসন খাতে উদ্ভাবনী চিন্তাধারা, যা ভবিষ্যতে মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এই প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে মোট ১০টি দল অংশ নেয়। প্রতিটি দলে ছিলেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর–পরিকল্পনা, স্থাপত্য, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ও রিয়েল এস্টেট বিভাগের দুজন করে সদস্য। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের গবেষণালব্ধ ধারণা, ডিজাইন ও পরিকল্পনার মাধ্যমে ভবিষ্যতের রিয়েল এস্টেট উন্নয়নের নকশা তুলে ধরেন।
বিচারকদের মূল্যায়নে যৌথভাবে মিরাজুল ইসলাম ও তাসনুহা পাশা (ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি) এবং আবরার মুহতাসিম পাঠান ও সাওদা সামিহা (খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়) প্রথম স্থান; ফাওজান আনোয়ার ও ফাতহান আনোয়ার (ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি) দ্বিতীয় স্থান এবং মিনহাজুর রহমান শাফিন ও হামীম মুবতাসিম (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। পুরস্কার হিসেবে তাঁরা যথাক্রমে সাত হাজার, পাঁচ হাজার ও তিন হাজার টাকা পান।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রিয়েল এস্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রধান আমির আহমেদ বলেন, এ ধরনের প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের নতুন চিন্তা ও গবেষণার প্রতি আগ্রহী করে তোলে। রিয়েল এস্টেট শিল্পে প্রযুক্তির ব্যবহার ও উদ্ভাবনী ধারণার প্রয়োগ ভবিষ্যতে আবাসনব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
নেক্সট জেন রিয়েল এস্টেট সামিট ২০২৫ কেবল একটি সম্মেলন নয়, এটি ভবিষ্যৎ নগর–পরিকল্পনা ও রিয়েল এস্টেট খাতে প্রযুক্তির ভূমিকা নিয়ে ভাবনার এক উন্মুক্ত মঞ্চ। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ, গবেষণা ও উদ্ভাবনী উপস্থাপনা রিয়েল এস্টেট খাতের উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বিজ্ঞপ্তি
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কানাডা ইমিগ্রেশনে নতুন দিগন্ত: ফ্রেঞ্চ ভাষা জানলেই মিলছে বাড়তি সুযোগ
২০২৫ সালের শুরু থেকে কানাডা সরকারের এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রামে ফ্রেঞ্চভাষী আবেদনকারীদের প্রতি অগ্রাধিকার বাড়ানো হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৩৫ হাজার ৫৮৮ জন আবেদনকারীকে ITA (Invitation to Apply) প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষ আবেদনকারীদের জন্য তিনটি পৃথক ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ১৮ হাজার ৫০০ জন আবেদনকারী আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
এতে এটা স্পষ্ট হয় যে কানাডা বর্তমানে দ্বিভাষিক (ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ) সমাজকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে এবং ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষ ব্যক্তিদের স্থায়ী বসবাসের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে।
কেন এই অগ্রাধিকার ফ্রেঞ্চ ভাষাভাষীদের জন্য?
কানাডা একটি দ্বিভাষিক দেশ। ইংরেজির পাশাপাশি ফ্রেঞ্চও সরকারি ভাষা। বিশেষ করে কুইবেক প্রদেশসহ পূর্বাঞ্চলের অনেক এলাকায় ফ্রেঞ্চ হলো প্রথম ভাষা। স্থানীয় অর্থনীতি, শিক্ষা ও সামাজিক খাতে ফ্রেঞ্চভাষীদের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এ কারণে কানাডা সরকার চায় যেন অভিবাসীরা শুধু ইংরেজিভাষী না হয়ে ফ্রেঞ্চ ভাষায়ও দক্ষ হন।
ভাষা জানলে বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুযোগ
বাংলাদেশে শিক্ষার্থী ও তরুণ পেশাজীবীদের জন্য এখনই সুবর্ণ সুযোগ—ফ্রেঞ্চ শেখার মাধ্যমে কানাডায় স্থায়ী বসবাসের রাস্তা সহজ করে নেওয়া। তুলনামূলক কম CRS (Comprehensive Ranking System) স্কোরে কানাডায় যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষরা।
আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর রুটিন, কোন পরীক্ষা কবে২০ মার্চ ২০২৫বাংলাদেশে কোথায় শেখা যায় ফ্রেঞ্চ ভাষা?
ফ্রেঞ্চ শেখার জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের খোঁজ পাওয়া যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:
1. Alliance Française de Dhaka
অবস্থান: ধানমন্ডি ও গুলশান
ওয়েবসাইট: www.afdhaka.org
ফ্রেঞ্চ ভাষা শেখানোর জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান।
2. Institute of Modern Languages (IML), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
এখানে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি ফ্রেঞ্চ কোর্স রয়েছে।
3. Online Platforms:
Duolingo (বিনা মূল্যে)
Babbel, Coursera, Udemy (সার্টিফিকেটসহ কোর্স)
ফ্রেঞ্চ শেখা কতটা কঠিন সময়সাপেক্ষ?
বাংলাদেশিদের জন্য এই ভাষা শেখা হয়তো একটু কঠিন হতে পারে। সাধারণভাবে, একজন শিক্ষার্থী যদি প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা সময় দেন, তাহলে ৬ মাসের মধ্যে একটি ভালো বেসিক লেভেল অর্জন করা সম্ভব। উচ্চতর দক্ষতা অর্জনে সময় লাগতে পারে ১ থেকে দেড় বছর, তবে এর বিনিময়ে কানাডার মতো দেশের স্থায়ী বসবাসের সুযোগ এক অনন্য প্রাপ্তি।
শেষ কথা
বর্তমান বিশ্বে শুধু ডিগ্রিই নয়, ভাষাদক্ষতাও হয়ে উঠেছে অভিবাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। কানাডার মতো দেশে ফ্রেঞ্চ শেখার মাধ্যমে বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীরা সহজেই গড়তে পারেন তাঁদের ভবিষ্যৎ। শুধু দরকার একটু আগ্রহ, নিয়মিত চর্চা এবং সঠিক দিকনির্দেশনা।
আরও পড়ুনমাদ্রাসা ও কারিগরির শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা পাবেন অনুদান, আবেদনের সময় আরও ১০ দিন১৪ এপ্রিল ২০২৫