নতুন প্রেমে মজেছেন হার্ডিক, কে এই জেসমিন
Published: 25th, February 2025 GMT
দীর্ঘ প্রেমের পর সার্বিয়ান মডেল ও ড্যান্সার নাতাশা স্টানকোভিচের সঙ্গে বিয়ে হয় ভারতীয় পেস অলরাউন্ডার হার্ডিক পান্ডিয়ার। তাদের একটি ছেলে সন্তানও আছে। তবে অনেক দিন ধরে চলা গুঞ্জনের পর বিচ্ছেদ হয়ে গেছে হার্ডিক-নাতাশার।
ওই খবরও আনুষ্ঠানিক হয়েছে প্রায় মাস হলো। এরই মধ্যে খবর এসেছে, নতুন প্রেমে মজেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক পান্ডিয়া। তার নতুন প্রেমিকার নাম নাকি জেসমিন ওয়ালিয়া। অর্থাৎ হার্ডিকের এবারের প্রেমিকাও বিদেশি।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, সম্প্রতি গ্রীসে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন হার্ডিক পান্ডিয়া। সেখানে এক সুইমিংপুলে ছবি তুলে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন হার্ডিক। একই সময়ে একই সুইমিংপুলে ছিলেন জেমসিনও। তিনিও ইনস্টায় দিয়েছেন ছবি। আগে থেকে চলা গুঞ্জনের সঙ্গে একে একে দুই মিলিয়ে দিয়েছে গ্রীসের ওই ছবি।
গুঞ্জন চলা হার্ডিকের নতুন এই প্রেমিকা জেসমিন বিট্রিশ গায়িকা। বয়স ২৯ বছর। হার্ডিকের চেয়ে নাতাশা বয়সে এক বছরের বড় হলেও জেনসিন দুই বছরের ছোট। তার আরও একটি পরিচয় আছে। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত।
হার্ডিকের সঙ্গে প্রেমের আগে জেসমিন ব্রিটিশ অভিনেতা রস ওয়ারসিকের সঙ্গে প্রেম করতেন বলে দাবি করেছে সংবাদ মাধ্যম। তেমনি হার্ডিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নাকি নাতাশা মজেছেন সার্বিয়ান মডেল অ্যালেক্সজান্ডার অ্যালেক্সের সঙ্গে প্রেম করছেন নাতাশা। তিনি আবার নাকি দিশা পাটানির সাবেক প্রেমিক।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সেচ খরচ নিয়ে গলদঘর্ম কৃষক
চলতি মৌসুমে জিকে খালের পানি না পেয়ে অতিরিক্ত দামে তেল কিনে বোরো ধান ও ভুট্টায় সেচ দেওয়া হচ্ছে। ভূগর্ভস্থ পানি কমতে থাকায় শ্যালো মেশিনেও ঠিকমতো পানি উঠছে না। এতে জ্বালানি খরচও বেশি হওয়ায় লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন তারা। কথাগুলো আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের ঘোষবিলা গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলামের।
পদ্মা নদীতে পলি জমে ও পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় দেশের বৃহত্তম গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের খালে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে ফসলি জমিতে সেচ দিতে না পারায় আলমডাঙ্গা উপজেলায় জাহিদুলের মতো হাজারো কৃষক বিপদে পড়েছেন। বিকল্প হিসেবে শ্যালো মেশিন ও বৈদ্যুতিক মোটরের সাহায্যে জমিতে পানি সরবরাহ করছেন তারা। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় সেচ দিতে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।
কৃষকরা বলছেন, জিকে সেচ প্রকল্পের আওতায় গত কয়েক বছর ঠিকমতো পানি পাওয়া যায়নি। জানুয়ারিতে খালে পানি সরবরাহের কথা ছিল। এখনও খাল পানিশূন্য। গত বছর সেচ পাম্প বিকল থাকলেও এবার নদীতে পলি জমে ও স্তর নেমে যাওয়ায় পানি আসেনি। এতে চৈত্র-বৈশাখ মাসে বোরো ক্ষেতে সেচ দিতে বেগ পেতে হবে কৃষকদের। আবাদের খরচও বেড়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেড়ামারা গঙ্গা-কপোতাক্ষ প্রধান পাম্প হাউসের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের ভাষ্য, পদ্মায় পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এ ছাড়া নদীর চ্যানেলে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় তা অপসারণের কাজ চলমান রয়েছে। এ কারণে নির্দিষ্ট সময়ে খালে পানি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। দ্রুত জিকে খালে পানি সরবরাহের আশ্বাস দেন এ কর্মকর্তা।
পাম্পহাউস কর্তৃপক্ষ জানায়, বছরের ১০ মাস (১৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত) ২৪ ঘণ্টা তিনটি পাম্পের মাধ্যমে পানি তোলা হয়। বাকি দুই মাস রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ থাকে। এ পানি চার জেলায় ১৯৩ কিলোমিটার প্রধান খাল, ৪৬৭ কিলোমিটার শাখা খাল ও ৯৯৫ কিলোমিটার প্রশাখা খালে যায়। প্রকল্পের প্রধান ও শাখা খালে পানি থাকলে সেচ সুবিধাসহ আশপাশের টিউবওয়েল ও পুকুরে পানি স্বাভাবিক থাকে। পদ্মায় পানির স্তর স্বাভাবিক থাকলে প্রতি পাম্পে সেকেন্ডে গড়ে ২৮ হাজার ৩১৬ দশমিক ৮৫ লিটার পানি সরবরাহ হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, দীর্ঘদিন পানি না থাকায় খাল শুকিয়ে ফাটল ধরেছে। বিভিন্ন অংশে পলি জমে তা এখন দৃশ্যমান। মৌসুমে এসব খালে জেলেদের দেশি মাছ ধরতে জাল নিয়ে সব সময় ব্যস্ত থাকতে দেখা যেত। এবার পানি সংকটে তাদের দেখা মেলেনি। হাউসপুর এলাকার কৃষক শফিকুল ইসলাম বলছিলেন, ‘গত বছর জিকে খাল থেকে পানি পাইনি। এবার সাত বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ আছে। যতটুকু বুঝতে পারছি, এ বছরও পানি আসবে না। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। গত বছর কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন পাইনি, এবারও হয়তো হবে না।’
কৃষক বলছেন, সেচ খালের পানি দিয়ে চাষাবাদ করতে বিঘাপ্রতি খরচ হয় মাত্র ৩০০ টাকা। শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে অনেক জমি অনাবাদি থেকে যায়। পাম্পে জ্বালানি তেলের দাম ১০৫ টাকা নিলেও খুচরা বাজারে তা ১০৮ থেকে ১১০ টাকা লিটার কিনতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তা আরিফ আহমেদ বলেন, ‘পদ্মা নদীতে পানির স্তর কমে যাওয়ায় ও চ্যানেলে পলি জমায় ড্রেজিং কার্যক্রম চলছে। আমরা কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পাম্প হাউসের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। চলতি মাসেই জিকে খালে পানি সরবরাহ করা যাবে বলে আশ্বাস তাঁর।’