বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, “একটি দেশের ক্ষতি করতে হলে সেই দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে হয়। আর আওয়ামী লীগ সেটাই করেছে। আওয়ামী লীগ দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষাখাত চালাত।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান চেয়েছিলেন শিক্ষিত ছেলে-মেয়েদের দিয়ে দেশ পরিচালনা করতে। যার ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন উদ্যোগও নিয়েছিলেন তিনি। বিএনপি আগামী দিনে ক্ষমতায় এলে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে শিক্ষাখাতে। বিএনপি এই ভেঙে পড়া শিক্ষাখাতকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার শ্রীশচন্দ্র বিদ্যানিকেতনে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষার্থীরা পাস করে চাকরির জন্য নেতাদের পেছনে ঘুরতে হবে না। লেখাপড়া শেষ করলেই যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।”

অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনাদের সন্তানরা ঠিকমতো লেখাপড়া করছে কি না সেদিকে খোঁজ রাখবেন। কেননা এখনই তাদের জীবন গড়ার সময়। শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাতে কেউ ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেদিকেও অভিভাবকদের সজাগ থাকতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “নাটোরে গত ১৫ বছর ছিল অশিক্ষিত নেতা। অন্যজন এদের এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে দিত। এসব নেতারা স্কুল-কলেজের কমিটিতে এসে প্রতিষ্ঠানের গাছ চুরি করে খেত। এমন চোরেরা যদি দেশ চালায় তাহলে এ দেশের ভাগ্যে কী হতে পারে?”

নলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মারুফ ইসলাম সৃজন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর আলী, নলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আতিকুর রহমান তালুকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন, নলডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ হাফিজ ও পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব আরিফ হোসেন প্রমুখ।

ঢাকা/আরিফুল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র স ব ক স নলড ঙ গ ব যবস থ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সাভারে ঈদের রাতে নৈশপ্রহরীকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যার অভিযোগ

ঈদের দিনে ঢাকার অদূরে সাভারে এক নৈশপ্রহরী হত্যার শিকার হয়েছেন। দুর্বৃত্তরা তাঁকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাভার পৌর এলাকার বাঁশপট্টি মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রুবেল (৩০) বরিশাল জেলার নূর মোহাম্মদ খলিফার ছেলে। তিনি সাভার পৌর এলাকার বাঁশপট্টি মহল্লায় মনিরের মালিকাধীন বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

রুবেলের স্ত্রী রহিমা বেগম বলেন, রুবেল রাতে ডিউটি করে বাসায় আসেন। জামাকাপড় পরিবর্তনের পর ১১টার দিকে কেউ তাঁকে ফোন করেন। এরপর ‘এক ভাই ওইখানে ডাকছে’ বলে তিনি দেখা করতে যান। পরে শুনছেন, তাঁকে গুলি করা হয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সাভারের বেসরকারি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার পলাশ চন্দ্র দাস প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাত ১১টা ৫২ মিনিটে রুবেলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, গুলি করে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অটল বিহারী বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির চোখের ওপরে কপালের দিকে একটি গভীর ক্ষত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে গুলি বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জানান, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘সাভারের জনগণ’ নামের এক ফেসবুক পেজে আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়কার একটি ভিডিও আপলোড করা হয়। এ কে এম আসাদুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি ভিডিওটি আপলোড করেন। ওই ভিডিওতে তিনি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাভার থানার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তার হোসেন আগ্নেয়াস্ত্রসহ এবং নৈশপ্রহরী রুবেল রয়েছেন বলে দাবি করেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাভারের দক্ষিণ বক্তারপুর এলাকায় ৫ শতাংশের একটি জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আসাদুজ্জামানের সঙ্গে মুক্তারের বড় ভাই মনির হোসেনের দ্বন্দ্ব চলছে। অস্ত্র হাতে মুক্তারের ভিডিও ভাইরালের পেছনে জমির বিরোধ কাজ করেছে—এমন ধারণা ছিল মুক্তারের। এ নিয়ে দুই ভাই মুক্তার ও মনিরের মধ্যেও দ্বন্দ্ব শুরু হয়। রুবেল হত্যার পেছনে দ্বন্দ্বের বিষয়টি থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তাঁরা।

সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. হেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, হত্যার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা জানতে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ