দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে আ.লীগ: দুলু
Published: 25th, February 2025 GMT
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, “একটি দেশের ক্ষতি করতে হলে সেই দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে হয়। আর আওয়ামী লীগ সেটাই করেছে। আওয়ামী লীগ দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষাখাত চালাত।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান চেয়েছিলেন শিক্ষিত ছেলে-মেয়েদের দিয়ে দেশ পরিচালনা করতে। যার ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন উদ্যোগও নিয়েছিলেন তিনি। বিএনপি আগামী দিনে ক্ষমতায় এলে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে শিক্ষাখাতে। বিএনপি এই ভেঙে পড়া শিক্ষাখাতকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার শ্রীশচন্দ্র বিদ্যানিকেতনে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষার্থীরা পাস করে চাকরির জন্য নেতাদের পেছনে ঘুরতে হবে না। লেখাপড়া শেষ করলেই যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।”
অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনাদের সন্তানরা ঠিকমতো লেখাপড়া করছে কি না সেদিকে খোঁজ রাখবেন। কেননা এখনই তাদের জীবন গড়ার সময়। শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাতে কেউ ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেদিকেও অভিভাবকদের সজাগ থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “নাটোরে গত ১৫ বছর ছিল অশিক্ষিত নেতা। অন্যজন এদের এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে দিত। এসব নেতারা স্কুল-কলেজের কমিটিতে এসে প্রতিষ্ঠানের গাছ চুরি করে খেত। এমন চোরেরা যদি দেশ চালায় তাহলে এ দেশের ভাগ্যে কী হতে পারে?”
নলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মারুফ ইসলাম সৃজন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর আলী, নলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আতিকুর রহমান তালুকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন, নলডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ হাফিজ ও পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব আরিফ হোসেন প্রমুখ।
ঢাকা/আরিফুল/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র স ব ক স নলড ঙ গ ব যবস থ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
এসএসসির চতুর্থ পরীক্ষার দিনে বহিষ্কার ৭৮
মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার চতুর্থ দিনে ৭৫ পরীক্ষার্থী এবং তিনজন কক্ষ পরিদর্শকসহ মোট ৭৮ জন বহিষ্কার হয়েছেন; আর অনুপস্থিত ছিল ২৮ হাজার ১২০ পরীক্ষার্থী।
এসএসসি ও সমমানের চতুর্থ দিনের পরীক্ষা শেষে সোমবার (২১ এপ্রিল) এই তথ্য দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
এদিন এসএসসিতে গণিত ও দাখিলে বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা হয়। এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালে কোনো পরীক্ষা ছিল না।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে চতুর্থ দিনে ২৮ হাজার ১২০ জন পরীক্ষার্থীর অনুপস্থিতি এবং ৭৮ জনের বহিষ্কৃত হওয়ার তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সোমবারের পরীক্ষায় ১৬ লাখ ৬২ হাজার ১৪৩ পরীক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও অংশ নেন ১৬ লাখ ৩৪ হাজার ২৩ জন। বাকি ২৮ হাজার ১২০ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
পরীক্ষার ৩ হাজার ১৪টি কেন্দ্রের মধ্যে বিদেশের ৯টি কেন্দ্র ছাড়া ৩ হাজার ৭টি কেন্দ্রের তথ্য দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
গণিত পরীক্ষায় বহিষ্কার অর্ধশত
৯টি সাধারণ ধারার শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ হাজার ২৯১টি কেন্দ্রে এসএসসির গণিত পরীক্ষায় ৪৭ পরীক্ষার্থী এবং তিনজন পরিদর্শক বহিষ্কৃত হয়েছেন।
বিদেশের ৯টি কেন্দ্র ছাড়া ২ হাজার ২৮২টি কেন্দ্রের তথ্য তুলে ধরে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি বলেছে, ঢাকা বোর্ডে সাতজন, রাজশাহী বোর্ডে দুজন, কুমিল্লা বোর্ডের ১২ জন, যশোর বোর্ডের চারজন, বরিশাল বোর্ডের চারজন, দিনাজপুর বোর্ডের পাঁচজন ও ময়মনসিংহ বোর্ডের ১১ পরীক্ষার্থী বহিষ্কৃত হয়েছে।
ময়মনসিংহ বোর্ডে দুজন পরিদর্শক এবং সিলেট বোর্ডে একজন পরিদর্শককে বহিষ্কার করা হয়েছে সোমবার।
১৩ লাখ ৫৭ হাজার ৩৭৪ পরীক্ষার্থীর এই বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল, যেখানে অংশ নেয় ১৩ লাখ ৪১ হাজার ৫৬১ জন; আর অনুপস্থিত ছিল ১৫ হাজার ৮১৩ জন।
ঢাকা বোর্ডের ৪৩৮টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ৭৬৬ জন, রাজশাহী বোর্ডের ২৬৯টি কেন্দ্রে ২ হাজার ৭ জন, কুমিল্লা বোর্ডের ২৭৩টি কেন্দ্রে ২ হাজার ১০১ জন, যশোর বোর্ডের ২৯৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৯৭৩ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডের ২১৯ টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৩৮৪ জন, সিলেট বোর্ডের ১৫৪টি কেন্দ্রে ১ হাজার ১০৭ জন, বরিশাল বোর্ডের ১৯৪টি কেন্দ্রে ১ হাজার ২৭৪ জন, দিনাজপুর বোর্ডের ২৮০টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭০৭ জন এবং ময়মনসিংহ বোর্ডের ১৫৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ১৭১ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
দাখিলের বাংলা পরীক্ষায় বহিষ্কার ২৮
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিলের বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষায় ২৮ জন পরীক্ষার্থীর বহিষ্কৃত হওয়ার তথ্য দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
কমিটির তথ্য বলছে, ৭২৫টি কেন্দ্রে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৭০৩ পরীক্ষার্থীর এদিন পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও অংশ নেয় ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭৩ জন। ১০ হাজার ৬৩০ জন অনুপস্থিত ছিল।
আরো পড়ুন:
কৃষিবিদদের বৈষম্য নিরসনে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ৬ দাবি
জবি শিক্ষার্থীদের কাঁথা-বালিশ কর্মসূচি ঘোষণা
ঢাকা/হাসান/রাসেল