এক অতিরিক্ত আইজিপি, ১০ ডিআইজিসহ পুলিশের ৮২ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ওএসডি
Published: 25th, February 2025 GMT
পুলিশের ৮২ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (আইজি), ১০ জন উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), অর্ধশতাধিক অতিরিক্ত ডিআইজি এবং ১৫ জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে পুলিশের এসব কর্মকর্তাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করার কথা জানানো হয়।
ওএসডি করা অতিরিক্ত আইজিপি হলেন মোহা.
ওএসডি হওয়া অতিরিক্ত ডিআইজিদের মধ্যে শামসুন্নাহার, মাশরুকুর রহমান খালেদ, সঞ্জিত কুমার রায়, মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, আসমা সিদ্দিকা মিলি, আবদুল মোমেন, শাহ আবিদ হোসেন, জয়দেব চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেন, কাজী আশরাফুল আজীম, এ বি এম মাসুদ হোসেন, সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রমুখ রয়েছেন।
আর ওএসডি করা পুলিশ সুপারদের মধ্যে রিফাত রহমান শামীম, আবদুল মোমেন, মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার, মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, জয়নুল আবেদীন প্রমুখ রয়েছেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত র রহম ন ড আইজ
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসকের ওএসডির আদেশ বাতিলের দাবিতে সেবা বন্ধ করে মানববন্ধনে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা
চিকিৎসককে ওএসডি করার আদেশ বাতিলের দাবিতে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্সরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রায় দুই ঘণ্টা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ইন্টার্ন চিকিৎসক সুবর্না, মো. বায়জিদ ও মিমি আক্তার বলেন, এক শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় জেলা প্রশাসন তদন্ত কমিটি করেছে। কমিটির কাজ শেষ না হতেই দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে কার্ডিওলজি বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট এ এস এম শামীম আল আজাদকে ওএসডি করা হয়েছে, যা অযৌক্তিক। ওএসডির আদেশ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত জরুরি বিভাগ ও ওয়ার্ডে তাঁরা কোনো চিকিৎসা দেবেন না।
কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক দাবি করেন, ১৪ এপ্রিল বিকেলে পানিতে ডুবে যাওয়া এক রোগীকে ওয়ার্ডে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু রোগীর সঙ্গে ওয়ার্ডে জড়ো হওয়া ৩০ থেকে ৪০ যুবকের বিশৃঙ্খলার কারণে অনেকের মধ্যে ভয়ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। তাঁরা এ সময় ওয়ার্ডে ভাঙচুরের চেষ্টা ও চিকিৎসকদের গালমন্দ করেন। রোগী নিয়ে আসার পর তাঁর মুখ থেকে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। এ লক্ষণ পানিতে ডোবার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ছিল না। রোগীর মৃত্যুর পরে তাঁর মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের দাবি করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু রোগীর সঙ্গে আসা লোকজন তা না করে মরদেহ নিয়ে যান।
পটুয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলরুবা ইয়াসমিন বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা তাঁদের জায়গা থেকে একটি দাবি তুলে সেবা বন্ধ রেখেছেন। তিনি তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন, যাতে রোগীরা কোনো সেবা থেকে বঞ্চিত না হন। এ ছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
১৪ এপ্রিল পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হুসাইন মোহাম্মদকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁর বন্ধুরা। জানানো হয়, পানিতে ডুবে অসুস্থ হওয়ার কথা। পরে ওয়ার্ডে আশিকের মৃত্যু হলে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তোলা হয়। কয়েক দফায় বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এতে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়ন করে পরিস্থিতি শান্ত রাখা হয়।
ওই রাতেই জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন, পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক কাজী রফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার জাহিদ দ্রুত হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন। পরে আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। এরপর আশিকের মরদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে যান বন্ধুরা।
গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত আদেশে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক ও কার্ডিওলজি বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট এ এস এম শামীম আল আজাদকে ওএসডি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।