বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রায় পুলিশি বাধার প্রতিবাদে সারাদেশে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে এ ঘোষণা দেন জাতীয়করণ প্রত্যাশী ঐক্য জোটের নেতারা।
শিক্ষক নেতারা জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, শতভাগ উৎসব ভাতা, সরকারি কর্মচারীদের মতো একই হারে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতার ঘোষণা দিতে হবে। আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগেই শতভাগ উৎসব ভাতার ঘোষণা দিতে হবে। এ ঘোষণা না এলে ঈদের নামাজ যমুনায় পড়বেন তারা।
জাতীয়করণ প্রত্যাশী ঐক্য জোটের যুগ্ম সদস্য সচিব আবুল বাসার সমকালকে বলেন, বারবার আমাদের কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিচ্ছে। কর্তৃপক্ষও মুখে মুখে আশ্বাস দিয়ে আন্দোলন দমিয়ে দিতে চাইছে। আমরা ফাঁকা বুলিতে আর ঘরে ফিরব না। আগামীকাল থেকে সারাদেশে সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জনের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষকরা সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করলে তাতে বাধা দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষকদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ও হাতাহাতি ঘটে। পরে শিক্ষকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আবার প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলেও ঘোষণা দেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। এ কর্মসূচি চলাকালে সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচিও করেছেন তারা। কর্মসূচিতে একাধিকবার বাধা দিয়েছে পুলিশ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ত য়করণ জ ত য়করণ শ ক ষকর
এছাড়াও পড়ুন:
শিল্পীদের বেঁচে থাকা অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে: নুসরাত ফারিয়া
গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিভিন্ন জায়গায় সাংস্কৃতিক আয়োজনে অংশ নিতে গিয়ে বাঁধার মুখে পড়ছেন তারকাশিল্পীরা। আবার কোনো কোনো জায়গায় কনসার্টেও ‘মব’ সৃষ্টি করে সবকিছু পন্ড করে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। এবার এসব বিষয়ে মুখ খুললেন তারকা অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া।
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) আয়োজনে গতকাল ২২ ফেব্রুয়ারি পর্দা উঠেছে ১১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের। দুই দিনব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধনী দিনে অতিথি ছিলেন নুসরাত ফারিয়া। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন অভিনেত্রী।
সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা আসলে খুবই কষ্টকর একটা ব্যাপার। আমার কাছে মনে হয় যে এ রকমটা হওয়া ঠিক না। কারণ আমাদের দেশের সংস্কৃতি আমাদেরই বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এই পুরো জিনিসটাকে যারা দেখছেন তারা যদি একটু ঠিকঠাকভাবে জিনিসটাকে মেইনটেইন করেন, আমার মনে হয় খুব শিগগিরই এটাও কমে আসবে। কারণ এই জিনিসটা বন্ধ হয়ে গেলে আর্টিস্টরা কী করে খাবে!’
যোগ করে তিনি বলেন, ‘সিনেমা বাদেও আমাদের অনেক কাজ আছে। আমরা চাই দর্শকদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে; এমন জায়গায় যেতে, যেখানে দর্শক-ফ্যানরা আমাদের কাছে আসতে পারে। সেখানে যদি আমাদের বাধা দেওয়া হয়, আর্টিস্টদের বেঁচে থাকাটা অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে।’
প্রসঙ্গত, স্টার সিনেপ্লেক্সের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত এবারের মোবাইল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ২৮টি দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। আজ শেষ হবে এই এই চলচ্চিত্র উৎসব।