সরকারের ৯ মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরে নতুন সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন সচিব নতুন দপ্তর পেয়েছেন। বাকি ৭ জন অতিরিক্ত সচিব থেকে পদোন্নতি পেয়ে সচিব হয়েছেন। মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আলেয়া আক্তার পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব হয়েছেন। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো.

কামাল উদ্দিন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মো. তাজুল ইসলামকে সচিব করে পাঠানো হয়েছে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে। যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয়ের নিবন্ধক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মিজানুর রহমানকে দেওয়া হয়েছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবের দায়িত্ব। ঢাকা ম্যাস র্যা পিড ট্র্যানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ পেয়েছেন সেতু বিভাগের সচিবের দায়িত্ব। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাহেদা পারভীনকে একই বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) করা হয়েছে। আর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুর রহমান এখন থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের চেয়ারে বসবেন।

দুজন সচিবের দপ্তর বদল: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খানকে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে সদস্য করে। আর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সচিব) মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়েছে। এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, দু-এক দিনের মধ্যে নয়জনকে সচিব পদে শূন্য থাকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন করা হবে। 

ওই দিন তিনি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, চারটি সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের সভায় সচিব পদের জন্য ১২ জনকে নির্বাচন করা হয়েছে। তাঁরা অধিকাংশই যোগ্য ও বঞ্চিত। তাঁদের মধ্যে কেউ চুক্তিতে নন। চাকরিতে কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্য থেকেই সচিব করা হচ্ছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

সহস্রাধিক অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা আটক

চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ। নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজের নির্দেশনায় নগরজুড়ে পরিচালিত এই বিশেষ অভিযানে দুই দিনে সহস্রাধিক ব্যাটারিচালিত রিকশা আটক করে ডাম্পিং করা হয়েছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম নগরীতে অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা’র দাপটে অসহায় হয়ে উঠে নগরবাসী। বাহনটি বেপরোয়া কোন নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে নগরের অলি-গলি থেকে শুরু করে প্রধান সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রতিদিন। এসব রিকশার কারণে একদিকে নগরীতে যেমন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে, অপরদিকে একের পর এক দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারী। 

নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এসব রিকশার চালকরা কোন নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা করেন না। তাদের নেই কোন প্রশিক্ষণ, দ্রুত গতির ব্যাটারিচালিত রিকশায় নেই কার্যকর ব্রেকিং সিস্টেম। ফলে এসব রিকশা নগরীতে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। 

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, “চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে অভিযানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নগরীর প্রধান সড়কে চলাচলকারী সকল অবৈধ রিকশা আটক করতে পুলিশ দুই দিন ধরে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এরমধ্যে অনেক ব্যাটারিচালিত রিকশা আটক করা হয়েছে। অভিযান চলমান আছে।” 

এদিকে নগরীর ডবলমুরিং থানার মনসুরাদস্থ ট্রাফিক বিভাগের ডাম্পিং স্টেশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে গত ২ দিনে সহস্রাধিক ব্যাটারিচালিত রিকশা আটক করে ডাম্পিং করা হয়েছে। প্রতিদিন নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাটারি রিকশা আটক করে ডাম্পিং করা হচ্ছে। পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। 

ঢাকা/রেজাউল/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ