ক্ষমতার পথ প্রশস্ত করতে পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়: এবি পার্টি
Published: 25th, February 2025 GMT
ক্ষমতার পথ প্রশস্ত করতেই ভারতের সরাসরি ইন্ধনে হাসিনা সরকার পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন এবি পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার। তিনি বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জন্য একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে এবি পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় আব্দুল ওহাব এ কথা বলেন। বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়। দলটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল ওহাব বলেন, ওই সময় সেনা অপারেশন না চালানোই ছিল সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক। সব ভালো কর্মকর্তাকে পরিকল্পিতভাবে একত্র করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়।
এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লে.
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, এ বি এম খালিদ হাসান ও যুব পার্টির আহ্বায়ক শাহাদাতুল্লাহ, যশোর জেলা আহ্বায়ক ইয়ামিনুর রহমান বক্তব্য দেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সচিবালয়ে বৈঠকে সন্তুষ্ট নন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা, আন্দোলন চলবে
অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে সন্তুষ্ট নন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। তাই আন্দোলন চলমান রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে পরবর্তী কর্মসূচি আরো কঠোর করার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রেহানা ইয়াসমিনের সঙ্গে তিন ঘণ্টার বৈঠক শেষে এ কথা জানান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, “আজ আন্দোলন শিথিলভাবে চলছে। পরবর্তীতে কোন প্রক্রিয়ায় আন্দোলন হবে সেটা জানানো হবে।” তবে জনদুর্ভোগ করে আন্দোলন না করার কথা জানান তারা। দাবি অযৌক্তিক নয় এ কথা জানিয়ে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা বলেন, “এই দাবি দীর্ঘদিনের।”
আরো পড়ুন:
খুলনায় রেলপথ অবরোধ করে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সুনামগঞ্জ-সিলেট
মহাসড়ক অবরোধ করে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, যান চলাচল বন্ধ
তারা বলেন, “আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। আজ শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের বৈঠক করার জন্য ডেকে আনা হয়েছিল। কিন্তু একজন অতিরিক্ত সচিব বৈঠক করেছেন। আমাদের দাবি-দাওয়া লিখে নিয়ে সচিবের কাছে উপস্থাপন করবেন, তারপর উপদেষ্টার কাছে দেবেন। আমরা চেয়েছিলাম উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করতে। আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।”
তারা আরো বলেন, “আমাদের আন্দোলন বর্তমানে শিথিল আছে। কিন্তু আমরা প্রতিষ্ঠানে ফিরে গিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করব।”
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কারিগরি অনুবিভাগ) রেহানা ইয়াছমিনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেন।
শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক) পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক ডিপ্লোমা প্রকৌশল ডিগ্রি থাকতে হবে। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরসহ দেশের কারিগরি সব পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিতে হবে।
অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে-কারিগরি (পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদের জন্য) সব বিভাগীয় শহরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে। কারিগরি শিক্ষা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কারিগরি শিক্ষা চালু ও শিক্ষক পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের চাকরির আবেদনের সুযোগ বাস্তবায়ন করতে হবে। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য প্রাইভেট সেক্টরে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দিতে হবে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সাতরাস্তা মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। ঢাকার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সারা দেশে জেলায় জেলায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা/হাসান/সাইফ