ক্ষমতার পথ প্রশস্ত করতেই ভারতের সরাসরি ইন্ধনে হাসিনা সরকার পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন এবি পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার। তিনি বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জন্য একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে এবি পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় আব্দুল ওহাব এ কথা বলেন। বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়। দলটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল ওহাব বলেন, ওই সময় সেনা অপারেশন না চালানোই ছিল সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক। সব ভালো কর্মকর্তাকে পরিকল্পিতভাবে একত্র করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়।

এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লে.

কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম বলেন, পিলখানার যে ঘটনা প্রচার করা হয় সেটি আসলে বাস্তবচিত্র নয়, বাস্তবচিত্র ছিল আরও ভয়ংকর। ডাল-ভাত কর্মসূচির প্রচারণা ছিল নামমাত্র, মোটেও এ ঘটনা ডাল–ভাতের জন্য ঘটেনি, এটি ছিল বিগত ফ্যাসিবাদ সরকারের ষড়যন্ত্রের ফল।

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, এ বি এম খালিদ হাসান ও যুব পার্টির আহ্বায়ক শাহাদাতুল্লাহ, যশোর জেলা আহ্বায়ক ইয়ামিনুর রহমান বক্তব্য দেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাসে বাড়তি ভাড়া গুনে ঢাকা ছাড়ছেন নগরবাসী

বড় কোম্পানির বাসগুলোর টিকিট আগাম বিক্রি হয়ে গেছে। ছোট কোম্পানির বাসগুলোয় আসন ফাঁকা আছে, তবু নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে টিকিটপ্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি খরচ করে ঢাকা ছাড়ছেন নগরবাসী।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল, মাজার রোড ও কল্যাণপুরের বাস কাউন্টারগুলোয় গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র।

ঈদের আগে গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল শেষ কর্মদিবস। গতকাল বিকেল থেকেই কাউন্টারগুলোয় যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। বাস কাউন্টার মাস্টাররা জানান, এবার লম্বা ছুটি থাকায় প্রান্তিক জেলাগুলোর যাত্রীরা ধাপে ধাপে রাজধানী ছেড়েছেন।

হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, এনা পরিবহন, শাহ ফতেহ আলীর মতো বড় কোম্পানির বাসগুলো এখন আগাম টিকিটের যাত্রী পার করছে। এসব বাসে অগ্রিম টিকিটেও অন্তত ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। ছোট কোম্পানির বাসগুলোয় ডেকে ডেকে যাত্রী নিলেও সেখানেও বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

গাবতলীর হানিফ এন্টারপ্রাইজের বাস কাউন্টারে স্ত্রী–সন্তানকে নিয়ে বাসের জন্য বসে আছেন সৈয়দপুরের মো. এনায়েত হোসেন। তিনি বলেন, ‘অগ্রিম দুটি টিকিট কেটেছি। তাও দুই টিকিটের জন্য নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে এক হাজার টাকা বেশি দিতে হয়েছে।’

রংপুর যেতে আজ সকালে মো. শাহেদ হোসেন নামের বেসরকারি এক চাকরিজীবী গাবতলী টার্মিনালে আসেন। কিন্তু বেশ কয়েকটি বাসের কাউন্টার ঘুরেও তিনি টিকিট জোগাড় করতে পারেননি। মো. শাহেদ হোসেন বলেন, ‘বড় কোম্পানির বাসগুলোতে টিকিট নাই। ছোট কোম্পানির বাসে সিট আছে, কিন্তু তারা ভাড়া কম রাখবে না। সবগুলো বাসে একই রকম ভাড়া চাচ্ছে। রংপুরে নন–এসি বাসের মূল ভাড়া ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা; কিন্তু এখন সেটা ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা রাখছে।’

আজ থেকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হয়েছে। আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিনের ছুটিতে থাকবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। তার আগে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৬ মার্চ সরকারি ছুটি থাকায় মূল ঈদের ছুটি শুরুর আগেই ধাপে ধাপে মানুষ রাজধানী ছাড়তে শুরু করেন।

তবে শেষ কর্মদিবস থাকায় গতকাল থেকে যাত্রীদের চাপ কিছুটা বেড়েছে বলে জানান বাস কাউন্টার মাস্টাররা।

গাবতলী বাস টার্মিনালে হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার মাস্টার গোলাম মোস্তফা জানান, গতকাল পর্যন্ত যাত্রীর চাপ কিছুটা কম ছিল। কালকের পর থেকে চাপ বেড়েছে। এখন কোনো বাসে সিট নেই। অনেক যাত্রী ফেরত যাচ্ছেন।

আলম এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বাসগুলো ফিরতি ট্রিপে ফাঁকা আসন নিয়ে আসছে। যে টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে, সেটা আসলে বেশি না। এর চেয়ে কম ভাড়া নিলে ঈদযাত্রায় কোম্পানি পোষাতে পারবে না।

বাড়তি ভাড়া আদায় করলেও বিষয়গুলো যাত্রীরা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে অভিযোগ করছেন না বলে জানান কর্মরত পুলিশ সদস্যরা।

গাবতলী বাস টার্মিনালের পুলিশ কন্ট্রোল রুমের উপপরিদর্শক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘মানুষ বাড়ি ফিরতে পারলেই খুশি। কন্ট্রোল রুম থেকে আমরা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দিকে বেশি নজর রাখছি। কিন্তু কোনো যাত্রী বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করছে না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ