প্রথম প্রেমিককে প্রাক্তন মনে করি না, সে আমার শত্রু: প্রভা
Published: 25th, February 2025 GMT
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা ব্যক্তিগত জীবনে নানারকম চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। তারপরও দৃঢ় সংকল্পে নিয়মিত নাটকে অভিনয় করছেন। ‘রাইজিংবিডি স্পেশাল’-এর এবারের পর্বে অতিথি প্রভা।
রাহাত সাইফুল সঞ্চালিত সাক্ষাৎকারভিত্তিক এ অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত জীবন ও অভিনয় ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন প্রভা। পাশাপাশি জীবন নিয়েও উপলব্ধির কথা জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
তার দৃষ্টিতে প্রেম দোষের কিছু না। প্রভা বলেন, “চলার পথে কাউকে ভালো লাগতে পারে। মনে হতে পারে এর সঙ্গে চলা যেতে পারে। আবার দুইটা মানুষের সম্পর্ক একটা সময় নাও থাকতে পারে, এটা অন্যায় কিছু না। দোষটা তখনই হয়, যখন একটা মানুষের সঙ্গে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার পরও অন্য একটা মানুষকে ভালোবাসে।”
আরো পড়ুন:
আমি ভালোবাসলে সেরাটা দিয়েই ভালোবাসি: প্রভা
আপনি অনেক সুন্দর, শাকিব খানকে প্রভা
আপনার জীবনে কোন প্রেমটা ভুল ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রভা বলেন, “প্রাক্তন শব্দটা আমার কাছে ভীষণ প্রিয় একটা শব্দ। যে মানুষটার সঙ্গে খারাপ ঘটনা ঘটেছে বলেই তো সম্পর্কটা শেষ হয়েছে। তার সঙ্গে সুন্দর ঘটনাও কিন্তু আছে। ‘প্রাক্তন’ আমার কাছে সুন্দর একটা নাম। তার সঙ্গে সুন্দর মুহূর্ত ছিল। আমার জন্য রাতেরবেলায় দাঁড়িয়েছিল, এটা করেছে ওটা করেছে। অনেক সুন্দর সুন্দর স্মৃতি থাকে। আমার জীবনের প্রথম প্রেমটাকে প্রাক্তন মনে করি না। আমি মনে করি, সে প্রাক্তন নয়, শত্রু। কারণ প্রাক্তন এতটা হিংস্র হতে পারে না! আমার কাছে যে অস্বস্তিকর, সে আমার প্রাক্তন হতে পারে না। এরপরও যাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক হয়েছে তাদের সঙ্গে আমার অনেক সুন্দর মুহূর্ত আছে। এতে গুণবান প্রাক্তনদের সঙ্গে আমি তাকে তুলনাই করতে চাই না।”
প্রাক্তনদেরকে কী বার্তা দিতে চান প্রভা? উত্তরে এই অভিনেত্রী বলেন, “তাদের জন্য আমার তেমন কোনো বার্তা নেই। তারা প্রত্যেকেই ভালো মানুষ। তারা ভালো থাকুক, সুন্দর করে বাঁচুক। প্রত্যেকেই নিজের কাজের বিষয়ে সৎ থাকুক।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক স ন দর
এছাড়াও পড়ুন:
চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে ভারত যাচ্ছেন জেডি ভ্যান্স
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স চার দিনের সফরে ভারত যাচ্ছেন। তিনি এমন সময় ভারতে যাচ্ছেন যখন প্রতিদেশী দেশ চীনের সঙ্গে শুল্ক আরোপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে। দুই শক্তিশালী দেশের এই দ্বন্দ্বে বিশ্ব অর্থনীতিতে কী প্রভাব পড়তে পারে তা নিয়ে দেনদরবারের মধ্যে এই সফরে জেডি ভ্যান্স ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। অন্যদিকে জেডি ভ্যান্সের এ সফরের ঠিক আগ মুহূর্তে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সহযোগী দেশগুলো সফর শেষ করেছেন। পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে চীনকে একটি স্থিতিশীল ও নির্ভরযোগ্য বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শি জিনপিং এ সফর করেন। সর্বশেষ দুই দিন আগে তিনি মালয়েশিয়া সফরে ছিলেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জেডি ভ্যান্সের সফরের কথা জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সফরে দুই দেশই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা-পর্যালোচনার সুযোগ দেবে।
ভ্যান্সের সফরসূচি অনুযায়ী, দিল্লি যাওয়ার আগে আজ শুক্রবার তিনি ইতালি সফরে যাবেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৃতীয় মেয়াদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ রক্ষায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভ্যান্স। এ বছরের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প এখনও কোনো দেশ সফর করেননি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (২১ এপ্রিল) সফরের প্রথম দিন অর্থনীতি ও ভূ-রাজনৈতিক ইস্যুতে তাদের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। উভয় দেশ আগামী কয়েক মাসের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে কাজ করছে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন ছাড়া বাকি সব দেশের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন। অন্যদিকে অন্য দেশগুলো উচ্চ শুল্ক এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যে ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছেন, কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে এই হার ২৪৫ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। তার জবাবে মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে চীন। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীন এখন শুল্ক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। এর ফলে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি গতি কিছুটা ধীর হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
মার্কিন শুল্কনীতি ঘোষণার পরপরই দিল্লি ও ওয়াশিংটন বাণিজ্যিক সমঝোতায় দ্রুত পৌঁছাতে কাজ করে যাচ্ছে। ভারত ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি পণ্যের উপর শুল্ক কমিয়েছে এবং ট্রাম্পের হুমকির মুখে আরও বিস্তৃত পরিসরে শুল্ক কাটছাঁটের কথা বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার ছিল যুক্তরাষ্ট্র, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য পৌঁছেছিল ১৯০ বিলিয়ন ডলারে। ট্রাম্পের অভিষেকের পরপরই ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং দুই নেতা আলোচনায় বসেছিলেন।