মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে ‘বিদায়’ জানাতে চায় বিসিবি
Published: 25th, February 2025 GMT
এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য হতে পারত ঐতিহাসিক এক টুর্নামেন্ট। হ্যাঁ, দেশ ছাড়ার আগে অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের ‘চ্যাম্পিয়ন হতে চাই’ ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ সে রকম কিছু ঘটিয়ে ফেললে তো অবশ্যই একটা ইতিহাস হতো। তবে এই টুর্নামেন্ট অন্যভাবেও হতে পারত বাংলাদেশের জন্য বিশেষ কিছু।
আরও পড়ুনএই পাকিস্তান ভারতের ‘বি’ দলকেও হারাতে পারবে না, মনে করেন গাভাস্কার৫৯ মিনিট আগেবাংলাদেশের ক্রিকেটের বছরখানেক আগের অবস্থাটা একবার ভাবুন। তখন কি মনে হয়নি, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দিয়েই একসঙ্গে শেষ হতে পারে বাংলাদেশ দলের চার অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ আর মুশফিকুর রহিমের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার! ২০২৩ বিশ্বকাপের আগে সাকিব নিজেই সে রকম আভাস দিয়েছিলেন। তামিমের কথাবার্তায়ও একসময় মনে হয়েছিল, এই টুর্নামেন্টই হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর শেষ টুর্নামেন্ট। একই রকম ধারণা ছিল মাহমুদউল্লাহ আর মুশফিককে নিয়েও। মাহমুদউল্লাহ তো নাকি তিন–চার মাস আগেও বিসিবিকে জানিয়েছিলেন, এই টুর্নামেন্ট দিয়েই শেষ টানতে চান আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের। এই চারজনের একসঙ্গে অবসর বাংলাদেশের ক্রিকেটে বেদনার বিউগল নিশ্চয়ই বাজাত। তবে কখনো না কখনো বিদায় যেহেতু নিতে আর দিতেই হবে, তাঁদের মতো ক্রিকেটারদের বেলায় সে ক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো বড় আসরই হতে পারত সেরা উপলক্ষ।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দুই ম্যাচে রান পাননি মুশফিক.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যানসারের চিকিৎসায় অর্থের অপচয় চান না, তাই স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা করলেন ব্যবসায়ী
ভারতের দিল্লির কাছে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে এক আবাসন ব্যবসায়ী স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেন এবং পরে আত্মহত্যা করেন। গতকাল বুধবার এ ঘটনা ঘটেছে।
কুলদীপ ত্যাগী (৪৬) নামের ওই ব্যবসায়ী একটি সুইসাইড নোট রেখে গেছেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, তাঁর ক্যানসার ধরা পড়েছে। আর তিনি চান না, তাঁর চিকিৎসায় অর্থ অপচয় হোক। কারণ, সুস্থ হওয়াটা পুরোপুরি অনিশ্চিত।
ওই সুইসাইড নোটে আরও লেখা ছিল, তিনি স্ত্রী অনশু ত্যাগীকে হত্যা করেছেন। কারণ, তাঁরা একসঙ্গে থাকার শপথ করেছিলেন। এ দম্পতি দুই ছেলেসন্তান ও কুলদীপের বাবার (অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা) সঙ্গে বসবাস করতেন।
পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, কুলদীপ তাঁর স্ত্রীকে একটি লাইসেন্স করা রিভলভার দিয়ে গুলি করে হত্যা করেন এবং তারপর তিনি নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। গতকাল স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে রাজনগর এক্সটেনশনের রাধাকুঞ্জ সোসাইটিতে এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার সময় তাঁদের দুই ছেলে বাড়িতে ছিলেন। গুলির শব্দ শোনার পর তাঁরা দৌড়ে তাঁদের মা–বাবার কক্ষে যান। কুলদীপের মরদেহ মেঝেতে পাওয়া যায় এবং অনশুর মরদেহ বিছানায় ছিল। দুজনকে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
ওই কক্ষে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। নোটে লেখা ছিল: ‘আমি ক্যানসারে আক্রান্ত। আমার পরিবার তা জানে না। আমি চাই না চিকিৎসায় অর্থ অপচয় হোক। কারণ, বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনিশ্চিত। আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে যাচ্ছি। কারণ, আমরা চিরকাল একসঙ্গে থাকার শপথ নিয়েছিলাম। এটি আমার সিদ্ধান্ত। কেউ, বিশেষ করে আমার সন্তানেরা দায়ী নয়।’
পুলিশ রিভলবারটি জব্দ করেছে এবং মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা পুনম মিশ্র বলেন, ‘কুলদীপ ত্যাগী তাঁর স্ত্রীর এবং তারপর নিজের ওপর লাইসেন্স করা রিভলভার দিয়ে গুলি চালিয়েছেন। একটি সুইসাইড নোটে কুলদীপ ত্যাগী বলেছেন, তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত এবং তাঁর পরিবার তা জানে না। তিনি চান না তাঁর চিকিৎসায় অর্থ খরচ করা হোক। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তিনি স্ত্রী ও নিজেকে হত্যা করবেন। আমরা এই বিষয়টি তদন্ত করছি।’