এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য হতে পারত ঐতিহাসিক এক টুর্নামেন্ট। হ্যাঁ, দেশ ছাড়ার আগে অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের ‘চ্যাম্পিয়ন হতে চাই’ ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ সে রকম কিছু ঘটিয়ে ফেললে তো অবশ্যই একটা ইতিহাস হতো। তবে এই টুর্নামেন্ট অন্যভাবেও হতে পারত বাংলাদেশের জন্য বিশেষ কিছু।

আরও পড়ুনএই পাকিস্তান ভারতের ‘বি’ দলকেও হারাতে পারবে না, মনে করেন গাভাস্কার৫৯ মিনিট আগে

বাংলাদেশের ক্রিকেটের বছরখানেক আগের অবস্থাটা একবার ভাবুন। তখন কি মনে হয়নি, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দিয়েই একসঙ্গে শেষ হতে পারে বাংলাদেশ দলের চার অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ আর মুশফিকুর রহিমের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার! ২০২৩ বিশ্বকাপের আগে সাকিব নিজেই সে রকম আভাস দিয়েছিলেন। তামিমের কথাবার্তায়ও একসময় মনে হয়েছিল, এই টুর্নামেন্টই হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর শেষ টুর্নামেন্ট। একই রকম ধারণা ছিল মাহমুদউল্লাহ আর মুশফিককে নিয়েও। মাহমুদউল্লাহ তো নাকি তিন–চার মাস আগেও বিসিবিকে জানিয়েছিলেন, এই টুর্নামেন্ট দিয়েই শেষ টানতে চান আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের। এই চারজনের একসঙ্গে অবসর বাংলাদেশের ক্রিকেটে বেদনার বিউগল নিশ্চয়ই বাজাত। তবে কখনো না কখনো বিদায় যেহেতু নিতে আর দিতেই হবে, তাঁদের মতো ক্রিকেটারদের বেলায় সে ক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো বড় আসরই হতে পারত সেরা উপলক্ষ।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দুই ম্যাচে রান পাননি মুশফিক.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মধ্যযুগের স্থাপনার অনন্য নিদর্শন নারায়ণগঞ্জের বন্দর শাহি মসজিদ

শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে অবস্থিত বন্দর শাহি মসজিদ। মধ্যযুগের স্থাপত্যকলার অনন্য নিদর্শন এই মসজিদ। কালো ব্যাসেল্ট পাথরের মসজিদের গায়ে লাগানো শিলালিপিতে মসজিদের নির্মাতা ও নির্মাণকাল সম্পর্কে জানা যায়, ১৪৮১-৮৮ খ্রিষ্টাব্দে সুলতান জালাল উদ্দিন ফতেহ শাহের রাজত্বকালে মালিক আল মুয়াজ্জেম বাবা সালেহ মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন।

১৯২০ সালের ২৬ নভেম্বর প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিদটি সংরক্ষিত হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত প্রাচীন এই মসজিদে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেছেন। মসজিদটিতে স্থানসংকুলান না হওয়ায় পূর্ব দিকে স্থানীয় উদ্যোগে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য বারান্দা নির্মাণ করা হয়। পরবর্তী সময়ে ঝুঁকির কারণে ১৯৯৭ সালে দক্ষিণ পাশে নতুন তিনতলা মসজিদ নির্মাণ করা হলে প্রাচীন মসজিদটিতে নামাজ পড়া বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৫৫০ বছর আগে নির্মিত মসজিদটি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ বহু মানুষ আসেন।

চুন-সুরকি দিয়ে ইটের তৈরি বর্গাকার এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ এটি। মসজিদের চার কোণে চারটি অষ্টভুজাকৃতি বুরুজ এবং তার ওপর ছত্রী আছে। চার কাতারে প্রাচীন মসজিদটিতে একসঙ্গে ৬০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারতেন। বর্তমানে নতুন মসজিদে একসঙ্গে ৫০০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করেন।

৩৪ বছর ধরে বন্দর শাহি মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. মনিরুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনায়। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, নিখুঁত হাতে বন্দর শাহি মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। মুসল্লিরা প্রাচীন এই মসজিদে নামাজ আদায় করতেন। মসজিদে শীতের সময় গরম এবং গরমের সময় ঠান্ডা অনুভব হতো। পুরোনো হওয়ায় ঝুঁকি বিবেচনায় এবং মেঝে নিচু হওয়ার কারণে বর্ষায় পানি ওঠায় ১৯৯৭ সালে প্রাচীন মসজিদে নামাজ আদায় বন্ধ হয়ে যায়।

প্রায় ৫৫০ বছর আগে নির্মিত মসজিদটি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ বহু মানুষ আসেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ড. ইউনূস ও বাংলাদেশের জনগণকে ট্রাম্পের শুভেচ্ছা
  • আমি আর জিৎ ৬ বছর একসঙ্গে ছিলাম: স্বস্তিকা
  • চার বছর পর একসঙ্গে আফজাল ও মৌ
  • হামলায় পিঠাপিঠি তিন বোন একসঙ্গে নিহত, এক কবরে দাফন
  • একসঙ্গে গলায় ফাঁস নিলেন স্বামী-স্ত্রী 
  • মধ্যযুগের স্থাপনার অনন্য নিদর্শন নারায়ণগঞ্জের বন্দর শাহি মসজিদ
  • তিন শহীদ বোনের স্মৃতি নিয়ে শুরু শিল্প প্রদর্শনী
  • ‘দেশ যেদিন স্বাধীন হলো, সেদিনই ছিল সত্যিকার ঈদের মতো’
  • নাজমুল–লিটনদের কোচ থাকছেন সিমন্সই
  • সেকালের হাট এবং ঈদের ব্যস্ততা নিয়ে কিছু কথা