পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে সেনাপ্রধানের ‘ফুলস্টপ’ যেখানে
Published: 25th, February 2025 GMT
পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের সম্পূর্ণটাই তদানীন্তন বিডিআর সদস্য দ্বারা সংঘটিত। ফুলস্টপ।
পিলখানায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডে শাহাদাতবরণকারী সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি হত্যাকাণ্ডে যুক্তদের নিয়ে তার অবস্থান তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, একটা জিনিস সব সময় মনে রাখতে হবে, এই বর্বরতা কোনো সেনাসদস্য করেনি। সম্পূর্ণটাই তদানীন্তন বিডিআর সদস্য দ্বারা সংঘটিত। ফুলস্টপ।
“এখানে কোনো ‘ইফ’ এবং ‘বাট’ অর্থাৎ যদি ও কিন্তু নাই। এখানে যদি ‘ইফ’ এবং ‘বাট’ আনেন, এই যে বিচারিক কার্যক্রম এত দিন ধরে হয়েছে, ১৬ বছর ধরে, ১৭ বছর ধরে যারা জেলে আছে, যারা কনভিকটেড, সেই বিচারিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। যে সমস্ত সদস্য শাস্তি পেয়েছে, তারা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য।”
নিজেকে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের চাক্ষুষ সাক্ষী হিসেবে বর্ণনা করেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, “আজকে একটা বেদনাবিধুর দিবস। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আমরা এই ৫৭ জন চৌকস সেনা অফিসার এবং শুধু তা–ই নয়, তাদের কিছু কিছু পরিবারের সদস্যদের আমরা হারিয়েছি। এগুলো আমার সব চাক্ষুষ দেখা। আমি একটা চাক্ষুষ সাক্ষী এই সমস্ত বর্বরতার।”
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বা বাইরের শক্তি জড়িত আছে কি না, তারা জন্য তদন্ত কমিশন করা হয়েছে, তারা খুঁজে করে সেটি জানাবে।
সেনাপ্রধান দৃঢ়তার সঙ্গে আবার বলেন, তদানীন্তন বিডিআর সদস্যদের গুলিতেই সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা প্রাণ হারিয়েছেন। এটা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা মঙ্গলজনক হবে না।
ঢাকা/হাসান/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র সদস সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারে ৫ হাজার কারাবন্দিকে মুক্তি
নববর্ষ উপলক্ষে প্রায় ৪ হাজার ৮৯৩ বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার। বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নতুন বছর উপলক্ষে জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লেইং ৪ হাজার ৮৯৩ বন্দিকে ক্ষমা করেছেন।
মুক্তি পাওয়া বন্দিদের মধ্যে কতজন রাজনৈতিক বন্দি, তা এখনও পরিষ্কার নয়। মিয়ানমারের স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা পলিটিক্যাল প্রিজনার্স নেটওয়ার্ক বলেছে, জান্তাপ্রধানের ঘোষণায় কমপক্ষে ২২ রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
দেশটির বিভিন্ন কারাগারে গত সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার ১৯৭ রাজনৈতিক বন্দিকে আটক রাখা হয়। এই বন্দিদের মাঝে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া দেশটির গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিও রয়েছেন। মুক্তি পাওয়া বন্দিরা আইন অমান্য করলে বাকি সাজা ভোগ করতে হবে। ইরাবতী।