বৈষম্যবিরোধী নেতাদের ওপর হামলা: ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৩
Published: 25th, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাইবান্ধা জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম আকাশ, মেহেদী হাসান ও যুগ্ম সদস্য সচিব শেফাউর রহমান শিপনের ওপর হামলার ঘটনায় ৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৯ থেকে ১০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
গতকাল সোমবার সংগঠনটির জেলা শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে রাতেই সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বাদির লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত সুমন, কিরণ ও নাজমুল নামে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আসামিদের বাড়ি শহরের বিভিন্ন মহল্লায়।
এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শহরের পৌর পার্কের শহীদ মিনার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে গাইবান্ধা সরকারি কলেজে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা পরিকল্পিত হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এসময় হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন ছাত্রনেতারা। একই সঙ্গে হামলার ঘটনার সময় সদর থানার ওসিসহ পুলিশের নীরব ভূমিকায় প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের শাস্তির দাবি জানানো হয়।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের স্বাধীনতা প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী কুটির শিল্প ও পণ্য মেলায় একদল দুর্বৃত্ত ছাত্র নেতাদের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা ধারালো ছোড়া দিয়ে আঘাত করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাইবান্ধা জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম আকাশ, মেহেদী হাসান ও যুগ্ম সদস্য সচিব শেফাউর রহমান শিপন আহত হন।
পরে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর রাত ১২টার দিকে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সদর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সদর থ ন সদস য ঘটন র শহর র
এছাড়াও পড়ুন:
নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনয়ন পেলেন ইমরান খান
পাকিস্তানের কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রচারে তার প্রচেষ্টার জন্য নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ইমরান খানের নাম প্রস্তাব করেছে পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স (পিডব্লিউএ) এবং নরওয়ে ভিত্তিক সংগঠন পার্টিয়েট সেন্ট্রাম। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে পার্টিয়েট সেন্ট্রাম বলেছে, “আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, মনোনয়নের অধিকারী এমন একজনের সঙ্গে (পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স) জোটবদ্ধ হয়ে, আমরা পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে তার কাজের জন্য নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করেছি।”
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানকে বিধ্বস্ত করে সিরিজ জিতল নিউ জিল্যান্ড
পাকিস্তানে ঈদ উপলক্ষে ট্রেনের ভাড়া কমল ২০ শতাংশ
বিবৃতিতে গণতন্ত্রের সংগ্রামে পিটিআই প্রধান ইমরান খানের নেতৃত্ব, মানবাধিকারের প্রতি তার অবস্থান ও পাকিস্তানিদের সমস্যা সমাধানে তার নিষ্ঠার প্রশংসা করা হয়েছে।
এর আগে, ২০১৯ সালে দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার জন্য ইমরান খানকে নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। সেবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য ইমরান খানের নাম মনোনীত করেছিল মার্কিন পত্রিকা ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটর।
প্রতি বছর, নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শত শত মনোনীতদের নাম পায়, যার পরে তারা দীর্ঘ আট মাসের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচন করে।
পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মামলায় তাকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এটি চতুর্থ বড় মামলা যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রি, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস এবং বেআইনি বিবাহ সম্পর্কিত তিনটি দোষ উচ্চ আদালত কর্তৃক বাতিল বা স্থগিত হয়েছে।
২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের পর ইমরান খান ক্ষমতা হারান। তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন, এগুলোকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেন।
ঢাকা/ফিরোজ