চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট কালুশাহ সেতুর নিচে থেকে বিস্কুটের কার্টনের ভেতরে রাখা একটি নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নবজাতকের লাশ একটি সাদা কাপড়ে মোড়ানো ছিল।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল রানা।

পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সলিমপুর ইউনিয়নের কালুশাহ সেতুর নিচে নির্মাণাধীন সীমানাপ্রাচীরের ইটের ওপর একটি বিস্কুটের কার্টন দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। কার্টন দেখে লোকজনের সন্দেহ হলে তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। পরে তিনি নবজাতকের লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নবজাতকটি একটি ছেলেশিশু।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক র টন

এছাড়াও পড়ুন:

ফরম পূরণের টাকা আত্মসাৎ, ছাত্রদল নেতাকে আটকে রাখল শিক্ষার্থীরা

ফরম পূরণের টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনায় কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আকাশকে আটকে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা তাকে কলেজের বিজয় ২৪ হলের একটি কক্ষে আটকে রাখেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাকে আটকে রাখা হয়েছে। এ সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সেখানে উপস্থিত রয়েছে।

কলেজ প্রশাসন জানায়, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের বিজয় ২৪ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কম টাকায় অনার্স তৃতীয় বর্ষের ফরম পূরণের জন্য টাকা নেন আকাশ। এ সময় তিনি কলেজের ৯৮ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৪ হাজার ৫০০ টাকা করে নেন। তবে আজ তৃতীয় বর্ষের ফরম পূরণের শেষ দিন হলেও আকাশ কারও ফরম পূরণ করেননি। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে ফরম পূরণের কথা জানালে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাকে ধরে এনে কলেজের বিজয় ২৪ হলে আটকে রাখেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের একজন মো. জীবন। তিনি বলেন, ‘তৃতীয় বর্ষে ফরম পূরণে ৯ হাজার টাকা লাগে। আকাশ ভাই ৪ হাজার টাকা কমানোর অফার দেন আমাদের। আমরা তার কথায় রাজি হয়ে ৫ হাজার করে টাকা দিয়েছি। কিন্তু আজ লাস্ট ডেট (শেষ দিন), তিনি আমাদের কাজ করে দেননি।’

আরেক শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফরম পূরণ করেননি আকাশ। আজ রাত ১২টা পর্যন্ত সময়। তাই আমরা তাকে আটকে রেখেছি।’

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক আতাউল হক খান চৌধুরী বলেন, কলেজের দরিদ্র তহবিল থেকে প্রকৃত হতদরিদ্রদের সহায়তা করা হয়। তবে কোনো দলীয় সুপারিশে তা করা হয় না। ছাত্রদল নেতা দরিদ্র তহবিল থেকে কম টাকায় ফরম পূরণ করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারণ ১০৩ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। কাজ না করায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করেছেন।’

জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ইকবাল রাব্বী বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি আকাশ স্বীকার করেছেন। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ায় আমরা সাংগঠনিকভাবে বহিষ্কারের বিষয়টি কেন্দ্রে জানিয়েছি। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’

কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ জানান, ‘অভিযুক্ত আশিক কলেজে শিক্ষার্থীদের হাতে আটক রয়েছেন। শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্তে পরবর্তী বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ