ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬০৪ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি
Published: 25th, February 2025 GMT
ফরিদপুর জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সদস্য সচিব আরিফ সোহেল এ কমিটির অনুমোদন দেন। মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার সমন্বয়করা।
৬০৪ সদস্যে বিশিষ্ট এ কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাজী রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজকে এবং সদস্য সচিব হয়েছেন ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী সোহেল রানা।
কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক পদে সাইফ খাঁ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব পদে মো.
কমিটির আহ্বায়ক কাজী রিয়াজুল ইসলাম জানান, ৬ মাসের জন্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীতে কলেজ, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়েও কমিটি গঠন করা হবে। যারা বাদ পড়েছেন, তাদের এই সকল কমিটিতে রাখা হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কুবির ৪ ছাত্রীর বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সুনীতি শান্তি হলের চার আবাসিক নারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সুনীতি শান্তি হলের প্রাধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগপত্রে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হলে কিছু শিক্ষার্থী ২১৪ নম্বর কক্ষ দখল করে সেখানে মাদক সেবন করছেন। ওই কক্ষে (২১৪ নম্বর) কারো সিট বরাদ্দ হলে তারা হুমকি দিয়ে বের করে দেন এবং হলের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উগ্র আচরণ করেন।
অভিযোগপত্রে আরো বলেন, মাদকাসক্ত শিক্ষার্থীদের হল থেকে বহিষ্কার, জড়িতদের ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ, হলের নিরাপত্তা জোরদার ও বহিরাগত প্রবেশে বিধি-নিষেধ আরোপ এবং মাদক ও অপরাধ প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে ক্যাম্পেইন ও কাউন্সেলিংয়ের দাবি জানাচ্ছি।
অভিযোগপত্রে মাদক সেবনে অভিযুক্ত ছাত্রীদের পরিচয় দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের সবাই ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ও সুনীতি শান্তি হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
তারা হলেন, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের রাবিনা ঐশি (২১৪ নম্বর কক্ষ), একই বিভাগের লাবিবা ইসলাম (২১৩ নম্বর কক্ষ), ফার্মেসী বিভাগের আতিফা লিয়া (৩২৩ নম্বর কক্ষ) এবং আইন বিভাগের মাইশা রহমান রোদিতা (২১৭ নম্বর কক্ষ)।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সুনীতি শান্তি হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাদিয়া ফেরদৌস বলেন, “আমরা প্রতিনিয়ত দেখছি, ২১৪ নম্বর রুমে মাদকের আসর বসে। এর আগেও কয়েকবার প্রাধ্যক্ষ ম্যামকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। আজকে হলের শিক্ষার্থীরা মিলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, “২১৪ নম্বর কক্ষে প্রতিনিয়ত মাদকের আসর বসে। গতকালও (সোমবার) বসেছে। গন্ধে সারা হলে টেকা যায় না, আমরা অতিষ্ঠ। হল প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, দ্রুত এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আতিফা লিয়া বলেন, “আমি তো ২১৪ নম্বর রুমে থাকি না। আমার রুম নম্বর ৩২৩ ৷ ওই রুমে আমার ফ্রেন্ড থাকে, মাঝেমধ্যে যাওয়া হয়। আমি এগুলো করেছি বা করি, ওদের কাছে অ্যাভিডেন্স কী? যা অভিযোগ আনা হয়েছে, তা হল প্রশাসন দেখবেন। দরকার হলে আমি রুম খুলে দেব। হল প্রশাসন বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে, হল প্রশাসন দেখবে। এখানে আমার কিছু বলার নেই।”
অভিযুক্ত মাইশা রহমান রোদিতা বলেন, “ওই রুমে আমার ফ্রেন্ড থাকে। এছাড়া, আমার ফ্রেন্ডের সঙ্গে ঝামেলা হওয়ায় কয়েকদিন আমি যায়নি ওই রুমে। তবে গতকাল (সোমবার) তার বার্থডে থাকায় গিয়েছিলাম। কিন্তু এমন কিছু তো হয়নি।”
অভিযুক্ত লাবিবা ইসলাম বলেন, “যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তার কি কোনো প্রমাণ আছে কারো কাছে? কেউ দেখেছে? আমাকে শুধু শুধু হয়রানি করা হচ্ছে। আমি আগে ছাত্রলীগ করতাম। বিবেকের তাড়নায় আমি আন্দোলনও করেছি। এখন আমার পড়াশোনার শেষ দিকে এসে হয়রানি এবং হল থেকে বের করার জন্য এ অভিযোগ সাজানো হয়েছে।”
তবে অভিযুক্ত রাবিনা ঐশিকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে সুনীতি শান্তি হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোছা. শাহিনুর বেগম বলেন, “হল প্রশাসনের সবাই বসে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি পেতে হবেই।”
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী