ছবি নয়, ফিঙ্গারপ্রিন্টে এনআইডি চায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পর্দানশীন নারীরা
Published: 25th, February 2025 GMT
ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে পরিচয় যাচাইসহ এনআইডি কার্ড প্রদানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন করেছেন পর্দানশীন নারীরা। এ ছাড়া তারা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপিও প্রদান করে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে পর্দানশীন নারী সমাজের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়। স্মারকলিপিতে তারা তিন দফা দাবি তুলে ধরেন।
মানববন্ধনে পর্দানশীন নারী সমাজের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ফারহানা হক, আহমেদ আয়িশা সিদ্দিকা ও শাহনাজ পারভীন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ধর্মীয় কারণে ছবি তুলতে না পারায় এনআইডি কার্ড পাচ্ছেন না পর্দানশীন নারীরা। এজন্য তারা নাগরিক সেবাও নিতে পারছেন না। প্রায় ৩০ লাখ পর্দানশীন নারীর এনআইডি আটক রয়েছে। গত ১৬ বছর নির্বাচন কমিশনের ‘কতিপয় স্বৈরাচারী’ কর্মকর্তা মুখচ্ছবি না তোলার অজুহাতে পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখেছেন। ফলে এনআইডি কার্ড ছাড়া পর্দানশীন নারী নিজের জমি বিক্রি করতে পারছেন না, সরকারি ত্রাণ সহায়তাও নিতে পারছেন না। এছাড়া সন্তানদের স্কুলেও ভর্তি করাতে সমস্যা হচ্ছে এনআইডি কার্ড না থাকার কারণে। তাই বৈষম্যহীন দেশ গঠনের অংশ হিসেবে মুখচ্ছবির বদলে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মতো আধুনিক পদ্ধতিতে পরিচয় যাচাইয়ের মাধ্যমে এনআইডি কার্ড প্রদানের দাবি জানান তারা।
মানববন্ধন শেষে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেন মানববন্ধনকারীরা। মানববন্ধনে তিন দফা দাবি তুলে ধরেন তারা।
দাবিগুলা হল- বিগত ১৬ বছর যাবত যে সমস্ত সাবেক ইসি কর্মকর্তা পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখে মানবাধিকার বঞ্চিত করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনা, পর্দানশীন নারীদের ধর্মীয় ও প্রাইভেসির অধিকার অক্ষুণ্ন রেখে অবিলম্বে এনআইডি ও শিক্ষা অধিকার প্রদান করা। এজন্য সকল ক্ষেত্রে পরিচয় শনাক্তে চেহারা ও ছবি মেলানোর সকল পদ্ধতি বাতিল করে আধুনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করা, পর্দানশীন নারীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার সময় পুরুষ নয়, নারী সহকারী বাধ্যতামূলক রাখা।
ঢাকা/মাইনুদ্দীন/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্ষণের শাস্তি `প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড` করার দাবিতে সোনারগাঁয়ে মানববন্ধন
সম্প্রতি সময়ে দেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ধর্ষকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন সোনারগাঁয়ের সবস্তরের ছাত্র জনতা। এ সময় তারা ধর্ষকের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া এবং সরকারকে এ আইন পাসের অনুরোধ জানান।
রবিবার বিকেলে সোনারগাঁয়ের মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে ছাত্র জনতা এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের বর্ণনা তুলে ধরেন।
এ সময় তারা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ধর্ষকদের শাস্তি নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, 'দেশের প্রশাসনের কাছে দাবি, ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করতে হবে এবং ধর্ষকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রায়ই ধর্ষণের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। কিন্তু ধর্ষকদের কোনো শাস্তির বিষয়ে জানা যায় না।
আমাদের দাবি ধর্ষকদের একমাত্র শাস্তি প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ড করতে হবে। 'ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ১ মাসের মধ্যে কার্যকর করতে হবে। দেশের এই অস্থিতিশীল অবস্থা যদি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঠিক করতে ব্যর্থ হন তবে তাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে |
এই সময় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান স্বজন, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল সাইফুল্লাহ, ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী সাব্বির ভুঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুজ্জাম্মিল হোসাইন ।