বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, “তারেক রহমানের নাম মুখে নিতে হলে নাবালক বাচ্চাদের অযু করতে হবে। নাবালক বাচ্চারা তারেক রহমানকে নিয়ে যা বলছেন, এগুলো এদেশের মানুষ মেনে নেবে না।”

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া মেয়েদের বিনা বেতনে বই ও পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছেন, খালেদা জিয়ার শিক্ষা নীতির কারণে দেশের নারী শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। আমরা শুনতে পাচ্ছি, আমাদের কিছু নেতা আওয়ামী প্রীতি দেখান। তারা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেক টাকা আছে, তাদের দলে ঢোকাতে হবে। আমরা বলবো এই সুযোগ নেই, টাকা আসছে বসে থাকেন। পাঁচ বছর পরে আমরা চিন্তা করবো দলে ঢোকানো যায় কি না। আমাদের নেতাকর্মীরা হামলা-মামলার শিকার হয়েছে, তাদের আগে গুরুত্ব দিতে হবে।”

এসময় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন চেয়াপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিনুর রশীদ ইয়াছিন, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, মোস্তাক মিয়া প্রমুখ।

সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির সভাপতি উদ্বাস্তুল বারী আবু। সম্মেলন সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু।

ঢাকা/রুবেল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত র ক রহম ন ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

দুপুরে গণমিছিল করবে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা

আন্দোলনরত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। এ কারণে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সে অনুযায়ী আজ শুক্রবার দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একযোগে কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে গণমিছিল করবেন আন্দোলনকারীরা।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে গিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করে ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠকের পর বিকেলে দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মাশফিক ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে বসেছিলাম; কিন্তু মন্ত্রণালয়ের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। আমরা কঠোর কর্মসূচির দিকে যাব। 

এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় নেতৃত্ব দেন কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের কারিগরি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব রেহানা ইয়াসমিন। 

আন্দোলনের নেতা জুবায়ের পাটোয়ারী সমকালকে বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ, কথাবার্তা কিছুই হয়নি। সচিবরাও ছিলেন না। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। 

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ