তিন চাকার যান চলাচল বন্ধের দাবিতে সালথা-ফরিদপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সালথা-ফরিদপুর সড়কের মেম্বার গট্টি এলাকায় এই বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় পরপর দুজন শিক্ষক নিহত ও দুজন গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভের ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভের খবরে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.

আনিছুর রহমান ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপর শিক্ষার্থীরা ইউএনওর কাছে বেশ কয়েকটি দাবিদাওয়া তুলে ধরে অবরোধ তুলে নেয়। বিক্ষোভ চলাকালে বক্তব্য দেয় শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান, শাহিন খা, সাকিবুল ইসলাম, সজীব শেখ, তুহিন হাসান, মাইমুনা সুলতানা, মারজিয়া ও রাদিয়া আক্তার।

শিক্ষার্থী বলে, গতকাল সোমবার স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে তিন চাকার যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে রাঙ্গারদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসমা বেগম নিহত হন। এর আগে ২০২৪ সালের ২১ নভেম্বর সড়ক দুর্ঘটনায় গোয়ালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এসকেন্দার আলী নিহত হন। এ ছাড়া সম্প্রতি দুর্ঘটনায় খারদিয়া মিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজিয়া আক্তার গুরুতর আহত হন। পরে তাঁর পা কেটে ফেলা হয়। একইভাবে ভাওয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তারুজ্জামান পঙ্গুত্ববরণ করেছেন।

সালথা-ফরিদপুর সড়কে বাস চালু করার জন্য তিন দিনের সময় বেঁধে দিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, তিন দিনের মধ্যে যদি তিন চাকার যান বন্ধ করে দিয়ে বাস চালু না করা হয়, তাহলে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা সালথা-ফরিদপুর সড়কে তিন চাকার যান চলাচল বন্ধ করে বাস চালুর দাবি জানিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিল। খবর পেয়ে ওসিসহ তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ঘটন র সড়ক সরক র অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

চুরির সময় ‘চিনে ফেলায়’ নারীকে হত্যা

নোয়াখালী সদর উপজেলায় চুরি করতে গেলে চোরকে ‘চিনে ফেলায়’ তাসলিমা বেগম রোজি (৬০) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে এ কথা স্বীকার করেছেন ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার মো. ওবায়দুল হক তারেক (৩৮)।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এক প্রেস কনফারেন্সে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. ইব্রাহীম। 

এর আগে, সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নে ৯নম্বর ওয়ার্ডের জালিয়াল গ্রামের আলী আহমেদ চাপরাশির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।    

নিহত রোজি ওই বাড়ির আমিন আলীর মেয়ে। তিনি স্বামী পরিত্যক্তা ও এক সন্তানের জননী ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে বিনোদপুর ইউনিয়নের জালিয়াল গ্রামে রোজির ঘরে চুরি করতে ঢুকে একই গ্রামের তারেক। এ সময় রোজি দেখে ফেলায়, একা ঘরে তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে চলে যায় তারেক। শব্দ শুনে বাড়ির লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোজিকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা চাপাতি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের ভাই আহসান উল্যাহ জসিম বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সুধারাম মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইব্রাহীম আরো বলেন, ‘‘মামলার একমাত্র আসামি জালিয়াল গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে তারেককে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে আসামি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।’’ 
 

ঢাকা/সুজন/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ