আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আহ্বান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার
Published: 25th, February 2025 GMT
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, “স্থানীয় সরকার বিভাগের সব পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং জনগণকে সাথে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত যে ধরনের উদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা দূরীভূত করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”
মঙ্গলবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত ‘জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস ২০২৫’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যকালে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা আরো বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তা মোকাবিলা করতে হবে। এছাড়া নাগরিক ভোগান্তি কমাতে অন্তত সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভাগুলোতে দ্রুত নির্বাচন হয়ে যাওয়া উচিত।”
নাগরিক সেবায় গতিশীলতা আনতে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন উপদেষ্টা।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, “প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের পাশাপাশি আমাদের নিজেদের চিন্তা-চেতনা-আচরণের মধ্যেও সংস্কার আনা জরুরি। জুলাই গণঅভ্যুত্থান-২০২৪ এর পর বাংলাদেশের মানুষ সব ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে চায়। কিন্তু এখনো অনেক রাজনৈতিক নেতারা বিব্রতকর বক্তব্য দিচ্ছেন। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বক্তব্য আরো মার্জিত এবং ভদ্রোচিত হওয়া উচিৎ।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের কমিশন প্রধান ড.
এছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স থ ন য় সরক র ব ভ গ র উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
অর্থনীতি সমিতিতে হামলায় জড়িতদের বিচার চাইল অন্তর্বর্তী কমিটি
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির কার্যালয়ে হামলার নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের বিচার চাইলেন সমিতির অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্যরা।
রাজধানীর পুরানা পল্টনে অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইআরএফ অডিটরিয়ামে আজ সোমবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন অর্থনীতি সমিতির অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্যরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী কমিটির আহ্বায়ক মাহবুব উল্লাহ, সদস্যসচিব মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সদস্য মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সদস্য মোস্তফা সাইফুল আনোয়ার বুলবুল প্রমুখ। কমিটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল চারটায় সংবাদ সম্মেলনের নাম করে অর্থনীতি সমিতির কার্যালয়ে হামলা চালায় সমিতির স্বঘোষিত অ্যাডহক কমিটি, যা সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্রবিরোধী ও বিধিবহির্ভূতভাবে গঠিত। তার আগে ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেল পাঁচটার দিকে সমিতির কার্যালয়ে সশস্ত্র আক্রমণ, সিসিটিভি ভাঙচুর এবং ব্যাংকের চেকবইসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র গায়েব করা হয়।
সমিতির অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্যরা দাবি করেন, এ ঘটনায় নেতৃত্ব দেন স্বঘোষিত অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. আজিজুর রহমান এবং ১৯৯৬ সালের জনতার মঞ্চের নেতৃত্বদানকারী সাবেক যুগ্ম সচিব সৈয়দ মাহবুব-ই-জামিল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদসহ ছাত্রলীগ যুবলীগের ৫০-৬০ জন সশস্ত্র ক্যাডার। অর্থনীতি সমিতিতে আবারও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগকে পুনর্বাসনের লক্ষ্য নিয়েই যে এই লোকজন একত্র হয়েছেন। গঠিত তথাকথিত অ্যাডহক কমিটিতে ৮–১০ জন আছেন, যাঁরা অর্থনীতি সমিতির সদস্যই নন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ২৯ সদস্যবিশিষ্ট অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির কাছে গত ৭ জানুয়ারি দায়িত্ব হস্তান্তর করে বিদায়ী কমিটি।
অন্তর্বর্তী কমিটির আহ্বায়ক মাহবুব উল্লাহ বলেন, সমিতির যেকোনো সদস্য যেকোনো দাবির বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন; দাবি জানাতে পারেন। এ ধরনের অপেশাদার মনোভাব নিয়ে দখল, হামলা ও জিম্মি করে কিছু আদায়ের হীন প্রচেষ্টা মেনে নেওয়া যায় না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বর্তমান সরকারকে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
সদস্যসচিব মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। খুব দ্রুতই একটি অবাধ সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। নির্বাচনের মাধ্যমে যাঁরাই নেতৃত্বে আসবেন, তাঁদের কাছে সমিতির দায়িত্ব তুলে দেওয়াই অন্তর্বর্তী কমিটির মূল লক্ষ্য। অর্থনীতি সমিতির ঐতিহ্য রক্ষায় সব সদস্যকে দায়িত্বশীল আচরণ ও সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।