নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি করলে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে: সেনাপ্রধান
Published: 25th, February 2025 GMT
ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ না করতে পারলে, কাদা ছোড়াছুড়ি করলে, মারামারি-কাটাকাটি করলে দেশ ও জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সেনাপ্রধান বলেন, “যদি নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে একসাথে কাজ না করতে পারেন, নিজেরা যদি কাদা ছোড়াছুড়ি করেন, মারামারি-কাটাকাটি করেন, এই দেশ ও জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। আমি সতর্ক করে দিচ্ছি আপনাদের; পরে বলতে পারবেন না যে, সতর্ক করিনি। প্রধান উপদেষ্টা ড.
তিনি বলেন, “আমার অন্য কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই। আই হ্যাড এনাফ লাস্ট সেভেন-এইট মান্থস। আই হ্যাড এনাফ।”
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ করবেন না। সেনাবাহিনী এবং সেনাপ্রধানের প্রতি বিদ্বেষ কারো কারো, কী কারণে জানি না। আমাদের সাহায্য করেন, আক্রমণ নয়। আমাদের উপদেশ দেন, আমি সবার শরণাপন্ন হই। আমরা ভালো উপদেশ গ্রহণ করব। আমরা এক থাকতে চাই। দেশ ও জাতিকে আমরা রক্ষা করতে চাই।”
তিনি বলেন, “একটা অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে বিরাজ করছি, অপরাধীরা এর সুযোগ নিচ্ছে।”
সেনাপ্রধান বলেন, “আজকে পুলিশ সদস্য কাজ করছে না। কারণ, তাদের অনেকেই জেলে। র্যাব, বিজিবি প্যানিকড। দেশের শান্তিরক্ষার দায়িত্ব শুধু সেনাবাহিনীর না। আনসার বাহিনী আছে। ৩০ হাজার সেনাবাহিনী সদস্য নিয়ে আমরা কীভাবে করব?”
নির্বাচন বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেন, “আমার মনে হয়, আমরা নির্বাচনের দিকেই ধাবিত হচ্ছি। ১৮ মাসের কথা বলেছিলাম। ডিসেম্বরের মধ্যে একটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করছি।”
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “আমি চাই, দেশ ও জাতিকে একটা সুন্দর জায়গায় রেখে আমরা সেনানিবাসে ফেরত আসব। আরেকটা জরুরি বিষয়, যেটা ভাবলাম যে, আপনাদের সাথে আমি শেয়ার করি— দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপের পেছনে কিছু কারণ আছে। প্রথম কারণ হলো, আমরা নিজেরা হানাহানির মধ্যে ব্যস্ত। একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে বিষোদগারে ব্যস্ত। এটা একটা চমৎকার সুযোগ অপরাধীদের জন্য। যেহেতু, আমরা একটা অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে বিরাজ করছি; তারা খুব ভালোভাবেই জানে যে, এই সময়ে যদি এই সমস্ত অপরাধ করা যায়, তাহলে এখান থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। সেই কারণে এই অপরাধগুলো হচ্ছে।”
সেনাপ্রধান বলেন, “আমরা যদি সংগঠিত থাকি, একত্রিত থাকি, তাহলে অবশ্যই এটা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।”
ঢাকা/হাসান/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘গাজায় কোনো মানবিক সাহায্য প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না’
ইসরায়েলের অতিডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির বলেছেন, হামাসের সাথে কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি হবে না এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত ছিটমহলে কোনো মানবিক সাহায্য প্রবেশ করবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেছেন।
২০২৩ সালে গাজায় হামলা শুরুর পর ত্রাণের প্রবেশ একরকম বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। উপত্যকতার ২০ লাখেরও বেশি মানুষ এখন দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হচ্ছে।
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে বেন গাভির বলেছেন, “হামাস কোনো শর্ত রাখতে পারবে না। এটি তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করা হবে। কোনো চুক্তি নেই, কোনো যুদ্ধবিরতি নেই, কোনো সাহায্য নেই - গাজায় (হামাস) পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত কেবল যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া।”
যুদ্ধবিধ্বস্ত ছিটমহলে খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানি এবং পানিসহ সকল মানবিক সরবরাহের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর প্রায় ৫০ দিনের অবরোধের কারণে গাজায় ফিলিস্তিনিদের বেঁচে থাকার পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সতর্ক করে দিয়েছে। সেই সতর্কবার্তাকে উড়িযে দিয়ে বেন গাভির ‘চাপ’ বাড়ানোরও আহ্বান জানিয়েছেন।
উগ্রপন্থী এই নেতা লিখেছেন, “সব শক্তি প্রয়োগ করুন - যতক্ষণ না হামাস হাঁটু গেড়ে বসে ভিক্ষা করে। সম্পূর্ণ বিজয় না হওয়া পর্যন্ত।”
ঢাকা/শাহেদ