গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ঝরনা বেগম (১৯) নামে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ছাউনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  

নিহত ঝরনা বেগম রামপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে এবং ছাউনিয়া গ্রামের রেজ্জাক মিয়ার ছেলে আশিকের স্ত্রী। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহতের পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকেই আশিক ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য ঝরনাকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতেন। মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা ঝরনার মরদেহে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান, যা সন্দেহ আরও ঘনীভূত করে। এ ঘটনায় নিহত ঝরনার বাবা শহিদুল ইসলাম চারজনের নাম উল্লেখ ও চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পলাশবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন। 

এ বিষয়ে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, পুলিশ ইতোমধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি গৃহবধূর শ্বশুর রেজ্জাক মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ হবধ র মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রীকে খুনের পর পালাল স্বামী, পুলিশ বলছে পারিবারিক কলহ

পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর পালিয়েছে স্বামী। বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের চাড়ালকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ছুরিকাঘাতে নিহত সীমা আক্তার কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বাসিন্দা মাহমুদুল হক করিমের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে সীমা আক্তারকে ছুরিকাঘাত করে তার স্বামী মাহমুদুল হক। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে তিনটার দিকে মারা যান।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবুর রহমান বলেন, মাহমুদুল হক উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের পিএইচপি গ্লাস তৈরির কারখানায় চাকরি করেন। সেই সুবাদে স্ত্রী সীমা আক্তারকে নিয়ে কারখানা কাছাকাছি চাড়ালকান্দি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতে শুরু করেন। রাতে কলহের জের ধরে স্ত্রী সীমা আক্তারকে ছুরিকাঘাত করেন মাহমুদুল হক।

আহত সীমার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মাহমুদুল হক পলাতক রয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ