গাইবান্ধায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, শ্বশুর গ্রেপ্তার
Published: 25th, February 2025 GMT
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ঝরনা বেগম (১৯) নামে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ছাউনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত ঝরনা বেগম রামপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে এবং ছাউনিয়া গ্রামের রেজ্জাক মিয়ার ছেলে আশিকের স্ত্রী। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকেই আশিক ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য ঝরনাকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতেন। মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা ঝরনার মরদেহে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান, যা সন্দেহ আরও ঘনীভূত করে। এ ঘটনায় নিহত ঝরনার বাবা শহিদুল ইসলাম চারজনের নাম উল্লেখ ও চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পলাশবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, পুলিশ ইতোমধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি গৃহবধূর শ্বশুর রেজ্জাক মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিস্তিন মুক্ত করার দাবিতে বায়তুল মোকাররমের সামনে বিক্ষোভ মিছিল
‘আল–কুদস’ বা ‘মসজিদুল আকসা’ মুক্ত করা, গাজায় গণহত্যা বন্ধ এবং ফিলিস্তিন স্বাধীন করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আল-কুদস কমিটি বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
মিছিল থেকে ‘বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়ো, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো’, ‘দুনিয়ার মুসলিম এক হও লড়াই করো’, ‘ইসরায়েলের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’-সহ নানা স্লোগান দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হয়েছে।
আল–কুদস কমিটি বাংলাদেশের সেক্রেটারি মোস্তফা তারেক উল হাসান বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ফিলিস্তিনের নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। তারা কখনো এ যুদ্ধে জয়ী হতে পারবে না। আমরা ফিলিস্তিন মুক্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আল-কুদস কমিটি বাংলাদেশের অফিস সম্পাদক মোস্তফা হাফেজ আলী, উপদেষ্টা মাওলানা হায়দার আলী। এ সময় কমিটির অন্য সদস্য ও নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।