সাভারে ব্যাটারি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ২
Published: 25th, February 2025 GMT
ঢাকার সাভারে রহিম আফরোজ ব্যাটারি কারখানায় ফায়ার স্টিম বুশার বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকার রহিম আফরোজ কারখানায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শ্রমিক হলেন অলি উল্লাহ ও হয়জুদ্দিন। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ জানায়, রাজধানীর মেট্রো নেট বাংলাদেশ লিমিটেড কারখানার মালামাল নিয়ে একটি গাড়ি সাভারে রহিম আফরোজ ব্যাটারি কারখানায় পৌঁছায়। দুপুরে কারখানার ভিতরে মালামাল নামানোর সময় হঠাৎ ফায়ার স্টিম বুশার বিস্ফোরণ হয়। এতে ওই দুই শ্রমিক নিহত হন। ঘটনার খবর পেয়ে বিকেলে দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/সাব্বির/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চুরির সময় ‘চিনে ফেলায়’ নারীকে হত্যা
নোয়াখালী সদর উপজেলায় চুরি করতে গেলে চোরকে ‘চিনে ফেলায়’ তাসলিমা বেগম রোজি (৬০) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে এ কথা স্বীকার করেছেন ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার মো. ওবায়দুল হক তারেক (৩৮)।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এক প্রেস কনফারেন্সে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. ইব্রাহীম।
এর আগে, সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নে ৯নম্বর ওয়ার্ডের জালিয়াল গ্রামের আলী আহমেদ চাপরাশির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রোজি ওই বাড়ির আমিন আলীর মেয়ে। তিনি স্বামী পরিত্যক্তা ও এক সন্তানের জননী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে বিনোদপুর ইউনিয়নের জালিয়াল গ্রামে রোজির ঘরে চুরি করতে ঢুকে একই গ্রামের তারেক। এ সময় রোজি দেখে ফেলায়, একা ঘরে তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে চলে যায় তারেক। শব্দ শুনে বাড়ির লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোজিকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা চাপাতি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের ভাই আহসান উল্যাহ জসিম বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সুধারাম মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইব্রাহীম আরো বলেন, ‘‘মামলার একমাত্র আসামি জালিয়াল গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে তারেককে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে আসামি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।’’
ঢাকা/সুজন/এনএইচ