ঢাকার সাভারে রহিম আফরোজ ব্যাটারি কারখানায় ফায়ার স্টিম বুশার বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকার রহিম আফরোজ কারখানায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত দুই শ্রমিক হলেন অলি উল্লাহ ও হয়জুদ্দিন। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ জানায়, রাজধানীর মেট্রো নেট বাংলাদেশ লিমিটেড কারখানার মালামাল নিয়ে একটি গাড়ি সাভারে রহিম আফরোজ ব্যাটারি কারখানায় পৌঁছায়। দুপুরে কারখানার ভিতরে মালামাল নামানোর সময় হঠাৎ ফায়ার স্টিম বুশার বিস্ফোরণ হয়। এতে ওই দুই শ্রমিক নিহত হন। ঘটনার খবর পেয়ে বিকেলে দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।

এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/সাব্বির/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে ৬৬ ভাগ কারখানা ছুটি, মহাসড়কে থেমে থেমে যানজট 

ঈদের বাকি আর তিন দিন। পরিবার সঙ্গে ঈদ পালন করতে শহর ছেড়ে গ্রামের পথে কর্মজীবী মানুষেরা। শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকেল পর্যন্ত ৬৬ ভাগ কারখানা ছুটি হয়েছে। এতে বিকেল হতে মহাসড়কে যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। ফলে বিভিন্ন পয়েন্টে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়।

শিল্পঅধ্যুষিত গাজীপুরে ২১৭৬টি নিবন্ধিত কলকারখানা। এরমধ্যে ১১৫৪টি পোশাক কারখানা। এসব কারখানায় কাজ লাখ লাখ কর্মী। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ১৪৭৯.৬৬ ভাগ কারখানা ছুটি হয়েছে। 

এসব কারখানা ছুটি হওয়ার পর শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। অন্যান্য ঈদের থেকে এবার ঈদে তুলনামূলক বেশি ছুটি থাকায় অধিকাংশ মানুষ বাড়ি যাচ্ছেন। 

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় দিনভর স্বস্তি নিয়ে ঘরমুখী মানুষ যাতায়াত করলেও আসরের পর থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। চন্দ্রা থেকে তিন দিকে প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার যানজট দেখা দেখা দেয়। 

এতে দুর্ভোগে পড়েছে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনের শত শত যাত্রীরা। অপরদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর অংশে কয়েকটি পয়েন্ট থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে পুলিশের তৎপরতার কারণে সেসব স্থানে ধীরগতিতে যানবাহন চলছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী উপ কমিশনার আশোক কুমার পাল বলেন, “ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সারাদিন কোথাও কোনো যানজট ছিল না। সন্ধ্যার পর শিল্প কারখানা ছুটি হওয়ায় মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। মানুষ বিভিন্ন পয়েন্টে উঠানাম করায় কিছুটা জটলার সৃষ্টি হচ্ছে। চাপ থাকলেও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।” 

নাওজোর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইছ উদ্দিন বলেন, “মহাসড়কের নিরাপত্তা রক্ষায় জেলা, মেট্রোপলিটন ও হাইওয়ে পুলিশের চার হাজার সদস্য কাজ করছেন। চন্দ্রা এলাকায় সারাদিন যানবাহনের চাপ থাকলেও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। তবে সন্ধ্যার পর মানুষ আর অতিরিক্ত যানবাহনের চাপের কারণে তিনদিকেই কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের সারি হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যানজট নিরসনের দায়িত্ব পালন করছে।”

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর এসপি একে এম জহিরুল ইসলাম বলেন, “শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ৬৬ ভাগ কারখানা ছুটি হয়েছে। বাকি কারখানাগুলো শনিবারের মধ্যে ছুটি হয়ে যাবে। এছাড়াও কারখানাগুলো মার্চ মাসের বেতন ৮০ ভাগ ও ৯৫ ভাগ বোনাস পরিশোধ করেছে।”

ঢাকা/রেজাউল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ