চাঁদপুরে ফ্ল্যাট বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্ত্রীর লাশ ফ্লোরে ও স্বামীর লাশ রুমে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুর শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ড পালপাড়া শাহজাহান পাটোয়ারীর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- জিন্নাত আলীর ছেলে সবুজ আহমেদ (৪০) ও তার স্ত্রী শিউলী আক্তার (৩৫)। তারা ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় ৫-৬ মাস ধরে ভাড়া থাকতেন। স্ত্রী একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন বলে জানা গেছে।

ভবনের মালিক শাহজাহান পাটোয়ারী বলেন, সবুজ ও শিউলী ৫-৬ মাস ধরে আমার ভবনে ভাড়া থাকতেন। দুপুরে শিউলীর মা দরজা খোলা না পেয়ে আমাদের জানান। পরে ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

চাঁদপুর মডেল থানার ওসি বাহার মিয়া জানান, আমাদের কাছে প্রথমে ৯৯৯-এ কল আসে। পরে থানার এসআই শফিকুল ইসলামকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। সেখানে গিয়ে রুমের দরজা ভেঙে স্বামী-স্ত্রীর লাশ পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কারণে স্বামী-স্ত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। তবে সবুজের স্ত্রী শিউলীর গলায় আঘাতের চিহ্ন ও মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ছোট্ট শিশুকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কোলের ছোট্ট শিশুকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় জাকারিয়া প্রকাশ নয়ন (৩০) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১ ও র‌্যাব-৮। বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল জেলার কোতয়ালী থানাধীন নাজির মহল্লা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-১১ সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর অনাবিল ইমাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার জাকারিয়া প্রকাশ নয়ন মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার মধ্যপাড়ার মো. ফারুকের ছেলে। র‌্যাব জানায়, ভিকটিমের বিয়ের পূর্বে মামলায় অভিযুক্ত মাহিমের সঙ্গে ভিকটিমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ভিকটিমের অন্যত্র বিয়ের পর বিভিন্ন সময় রাস্তা ঘাটে অভিযুক্ত মাহিম বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করতেন ও কু-প্রস্তাব দিতেন। এরই ধারাবাহিকাতায় গত ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার গাবতলী এলাকায় কোলের শিশুকে জিম্মি করে ভিকটিমকে দফায় দফায় ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রায় এক মাস ধরে অভিযুক্ত মাহিম এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামির সহায়তায় দফায় দফায় ভিকটিমকে ধর্ষণ করছিল। গত ৭ এপ্রিল সর্বশেষ ধর্ষণের পর ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়েন।

ভিকটিমের স্বামী র‌্যাবকে জানান, রমজান শুরু হওয়ার আগে তার স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে ইসদাইর-গাবতলী লিংক রোড দিয়ে যাওয়ার সময় ইসদাইর বটতলা এলাকার সজিব ওরফে বদনা সজিব, গাবতলী মাজার এলাকার রাকিব ওরফে মাইন, জাকারিয়া প্রকাশ নয়ন ও নজরুলসহ অজ্ঞাত দুজন সহযোগী তার সন্তানকে জিম্মি করে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। এ সময় অভিযুক্তরা ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আরও কয়েক দফা ধর্ষণ করে। সর্বশেষ গত ৭ এপ্রিল তাকে পুনরায় ফতুল্লা মডেল থানাধীন গাবতলী প্রাইমারী স্কুলের পাশের পাঁচ তলা বাড়ির নিচ তলার রুমের ভেতরে ডেকে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ