চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে হেরেছে বাংলাদেশ। নাজমুল শান্ত-মুশফিক-রিয়াদদের এমন পারফরম্যান্স হতাশ করেছে বাংলাদেশের সাবেক পারফরম্যান্স অ্যানালিস্ট মসকিন শেখকে। 

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান এই অ্যানালিস্টের মতে, এভাবে খেলতে থাকলে বাংলাদেশের দশা জিম্বাবুয়ের মতো হবে। এছাড়া বাংলাদেশ দলের এমন বাজে পরিণতির জন্য বোর্ডের অব্যবস্থাপনা, ঘরোয়া কাঠমো ধসে পড়া ও মেধার অবমূল্যায়নকে দায়ী করেছেন তিনি। 

অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তান দলের অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মহসিন শেখ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্ট করে লেখেন, ‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতির সাধারণ সমস্যা একেবারেই এক!’

সেই সমস্যাগুলো উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘শুরুতেই ভুলটা হয়েছে দুর্বল দল নির্বাচন করে। এর সঙ্গে চরম অব্যবস্থাপনা, মেধার অবমূল্যায়ন ও জবাবদিহির অভাব রয়েছে বোর্ডে। যারা বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তারা কারও কাছে দায়বদ্ধ নন। ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামো ধ্বংসের পথে, অথচ সমাধানের উদ্যোগ নেই। বরং সেখানে ভুলভাল সিদ্ধান্তই বেশি অগ্রাধিকার পায়!’

তিনি আশঙ্কা করেছেন, এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অবস্থা হবে জিম্বাবুয়ের মতো। এক সময় সম্ভাবনাময় ক্রিকেট খেলুড়ে দেশ ছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, বর্ণবাদ ইত্যাদি কারণে জৌলুস হারিয়েছে তারা। মসহিন তাই লিখেছেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অবস্থা  জিম্বাবুয়ের মতো হয়ে যাবে।’ 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মহস ন শ খ

এছাড়াও পড়ুন:

ইংল্যান্ডে ফিরেই শেফিল্ডকে শীর্ষে তুললেন হামজা

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ভারতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ের পর তিনি ঢাকায় ফিরে এলেও বৃহস্পতিবার উড়াল দেন ইংল্যান্ডে। ফেরার পরই তার দল শেফিল্ড ইউনাইটেড ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে দারুণ জয় পেয়েছে। কভেন্ট্রি সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে লিগের শীর্ষে উঠে গেছে শেফিল্ড।  

শেফিল্ডের হয়ে গোল করেছেন গুস্তাভো হ্যামার, টেরিস ক্যাম্পবেল ও রিয়ান ব্রুস্টার। কভেন্ট্রির একমাত্র গোলটি এসেছে জ্যাক রুডোনির পা থেকে। যদিও গোল বা অ্যাসিস্ট না পেলেও ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন বাংলাদেশি তারকা হামজা চৌধুরী।  

৮৯ মিনিট মাঠে থেকে শেফিল্ডের মিডফিল্ড নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন তিনি। ৪৮ বার বল স্পর্শ করা হামজা ফাইনাল থার্ডে তিনটি সফল পাস দিয়েছেন, তিনটি লং বলের মধ্যে দুটি ছিল নিখুঁত। দুটি ট্যাকলে শতভাগ সফল ছিলেন, প্রতিপক্ষের সঙ্গে তিনটি ডুয়েলের মধ্যে দুটিতেই জয়ী হয়েছেন। পুরো ম্যাচে কেউ তাকে ড্রিবল করে পেরোতে পারেনি। শেষ মুহূর্তে বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় দর্শকেরা করতালি দিয়ে তাকে অভিবাদন জানান।  

ফুটবলভিত্তিক পোর্টাল ফুটমব হামজার পারফরম্যান্সকে ৭.৫ রেটিং দিয়েছে। তবে পরিসংখ্যান ছাড়াও মাঠে তার প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো।  

এই জয়ের ফলে ৩৯ ম্যাচে ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষে উঠে গেছে শেফিল্ড ইউনাইটেড। এতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ফেরার পথ আরও সুগম হলো তাদের জন্য। শেফিল্ডের পরবর্তী ম্যাচ আগামী ৫ এপ্রিল অক্সফোর্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইংল্যান্ডে ফিরেই শেফিল্ডকে শীর্ষে তুললেন হামজা